ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ১৭ মার্চ ২০১৭

কবিতা

পোয়াতি ধানেরমালা অবশেষে আঁচলের মেঘ ঝরে মেহনতি ঘাসের বুকে দুঃস্বপ্নের দেয়ালে নিরাপত্তার নীল শাড়ি আত্মহত্যার খয়েরি খাম হয় লাল পোস্টারে। পেপসির পোশাকি বাউল চুকে যায় বিবেকের টাওয়ার বেচারী ঘুমচোর লিপিস্টিকের মেয়ে সর্বহারা আলতায় শ্যাম্পু করে আর্সেনিক হাওড়ে একরত্তি বৃষ্টির অঝোরধার। ঝিঙ্গের বন্দরে জোনাকি সংসার নিয়তির দাবা খেলে প্রিয় বিস্কুট মিশিয়ে লেখে ইতি তোমার গহীন বনের সন্ধ্যা রাত ... ...। মাঠের শেষে নাগরিক অরণ্য অবৈতনিক রোদে হার্বাল নেশায় দেখে লখিন্দরের ভেলা স্বদেশী বেহুলার সাথে। অবশেষে সভ্যতার বানবাসি ক্যানভাস ডাহুকের দীপাম্বিতা গাঁথে পোয়াতি ধানের মালায় সংগ্রাম চাষে .. সংগ্রাম ঘরে ... সংগ্রামেই বসবাস। ** অফসাইড কর্নার জীবনের অফসাইডে দাঁড়িয়ে দেখি সময়ের কর্নারে মৃতের জাহাজ নোঙ্গর করা বুকের পাঁজরে নিঃশ্বাস ছুঁয়ে দেখি দুঃখের সৈকতে কষ্টের রেখা আঁকা। ** এক দ্বীপ অভিমান একরত্তি বিষের কী এমন সাধ্য যে স্বপ্নকে নীল করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্ততঃ নীল শাড়ির এক দ্বীপ অভিমান ঘরে। শান্তিপুরী লুঙ্গির দেশে সন্ধ্যা আরতি জলচৌকির মেঘলা রাতে গামছা পেড়ের পুকুর হয়ে আসে সুরমা গ্রামের চিঠি। সেও ভালো আছে খনির ছাঁচে রূপকথার লাবণ্যতা পালিশ করে আত্মহত্যার বেনারসী খোঁপায় মুমূর্ষু স্মৃতির পাড়ে। ** মৃত্যুর এত পাশাপাশি বিষাদের এ্যালবাট্রস চুষে নেয় আত্মা পুড়ে দেয় নেপ-তোষকের অসমাপ্ত গাঁথা ব্যথার সবুজ দ্বীপ আবিষ্কার করে কষ্টের অক্ষরে অক্ষরে ভুলে যাওয়ার অনুরোধপত্রে খুব একা কয়েকটা অশ্রুত বিচ্ছেদের শ্রীকান্ত আস্তিনে বেদনার ক্যান্সার নিয়ে দুঃসময়ের গলিপথে হাঁটি মৃত্যুর এত পাশাপাশি ** দাঙ্গা বুকের গর্তে দাঙ্গার রক্ত সর্বনাশের পায়ে ধেয়ে আসছে নগর বন্দর সন্ধ্যে পাড়া গাঁয়ে। হাড় মাংস দগ্ধ ধোয়ায় জ্বলছে মাড়িয়ে জীবনঝটায় পোড়াবাড়ির জন্ম হারিয়ে। দগ্ দগ্ েঘা কষ্টের ক্ষত দাঙ্গা ছাড়িয়ে পুতছে পেরেক বুকের দেশে দাঙ্গায় জ্বালিয়ে।
×