ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মারে-ঘাতক পসপিসিল!

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৩ মার্চ ২০১৭

মারে-ঘাতক পসপিসিল!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নাম্বার খেলোয়াড় এ্যান্ডি মারে। কিন্তু মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। যে কারণেই অনেক আশা বুকে নিয়ে শীর্ষ বাছাই হিসেবে ইন্ডিয়ান ওয়েলসে খেলতে নামে গ্রেট ব্রিটেনের এই টেনিস তারকা। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। কানাডিয়ান বাছাই ভাসেক পসপিসিলের কাছে সরাসরি সেটে হেরে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছেন মারে। বিশ্বের ১২৯তম খেলোয়াড় পসপিসিল দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ৬-৪, ৭-৬ (৭/৫) সেটে মারেকে হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডের টিকেট নিশ্চিত করেন। টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাইকে পরাজিত করে দারুণ রোমাঞ্চিত মারে সেইসঙ্গে বিস্মিতও। ইন্ডিয়ান ওয়েলসে ২০০৯ সালে ফাইনাল খেলেছিলেন এ্যান্ডি মারে। কিন্তু সেবার স্প্যানিশ টেনিস তারকা রাফায়েল নাদালের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিলেন গ্রেট ব্রিটেনের এই খেলোয়াড়। এরপর আর কোনদিনই ফাইনালে খেলতে পারেননি তিনি। গত বছরও টুর্নামেন্টের তৃতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়েন এই স্কটিশ। কিন্তু এবার মারেকে নিয়ে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন। কেননা গত সপ্তাহেই যে দুবাই ওপেনের শিরোপা জয়ের স্বাদ পান মারে। কিন্তু সেই প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। যে কারণেই ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে হতাশাজনক কণ্ঠে মারে বলেন, ‘আমি জানি আজ ঠিক কি হয়েছিল। কারণ এখানে অনুশীলনে আমি বেশ ভাল করেছি। এছাড়া গত কয়েক বছরেও এখানেই ভালই খেলেছিলাম। যদিও কিছু কিছু বছর আমার ভাল কাটেনি। কিন্তু আজকের পরাজয় আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’ দুইবার ব্রেক পয়েন্ট পেয়ে এগিয়ে গেলেও মূলত প্রথম সেটে হারটা যেন কিছুতেই মানতে পারছেন না মারে। তবে পিছিয়ে পড়ার পেছনে সাতটি ডাবল ফল্টকেও দায়ী করছেন তিনি। এটাই পরাজয়ের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এর আগে চারবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে একবারও মারেকে পরাজিত করতে পারেননি। প্রথম রাউন্ডে ২৬ বছর বয়সী পসপিসিল তাইওয়ানের লু ইয়ে-সুনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠেন। ২০১৪ সালের পর চতুর্থ শীর্ষ বাছাই হিসেবে তিনি মারেকে পরাজিত করলেন। মূলত আগ্রাসী সার্ভিস ও ভলি স্টাইলের কৌশল দিয়েই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় জয়টি তুলে নিয়েছেন এই কানাডিয়ান। জ্যাক সককে সাথে নিয়ে পসপিসিল উইম্বলডন ডাবলসের শিরোপা জিতেছেন। তিন বছর আগে র‌্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অবস্থান পঁচিশেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে হতাশাজনক পারফর্মেন্সের কারণে নেমে যান ১৩৫-এ। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার মার্ক উডফোর্ডের সাথে কাজ করা শুরু করেন। আর নতুন কোচের অধীনে যে বেশ ভালভাবেই নিজেকে গড়ে তুলছেন তা অনুমিতই। তবে মারে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিলেও দারুণ জয়ে পরবর্তী রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের স্টানিসøাস ওয়ারিঙ্কা, চেকপ্রজাতন্ত্রের টমাস বার্দিচ, ফ্রান্সের গায়েল মনফিলস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন ইসনার এবং বেলজিয়ামের ডেভিড গোফিন।
×