ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত হচ্ছে যশোর-বেনাপোল সড়ক

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৩ মার্চ ২০১৭

জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত হচ্ছে যশোর-বেনাপোল সড়ক

আনোয়ার রোজেন ॥ আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যশোর-বেনাপোল সড়কটিকে জাতীয় মহাসড়কমানে পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সড়কটির যশোর জেলা সদর, ঝিকরগাছা ও শার্শা অংশের মান ও প্রশস্ততা যথাযথ পর্যায়ে উন্নীত করা হবে। এ জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩২৯ কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আগামী সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন কাজ শেষ করবে করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কটি জাতীয় মহাসড়ক মানে পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে যশোর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নিরাপদ ও যানজটমুক্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য জুয়েনা আজিজ কমিশনের মতামত দিয়ে বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যথাপোযুক্ত মানসম্পন্ন এবং নিরাপদ সড়কপথে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমদানি ও রফতানিযোগ্য পণ্য ও যাত্রী পরিবহনসহ প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৩৮ দশমিক ২০ কিলোমিটার। সড়কটির ৩৫ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার অংশের প্রস্থ ৭ দশমিক ৩ মিটার। অবশিষ্ট অংশের প্রস্থ ১৪ দশমিক ৬ মিটার। বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে আমদানি ও রফতানিযোগ্য পণ্য পরিবহনে সড়কটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সড়কটি জাতীয় মহসড়ক এবং বেনাপোল স্থলবন্দরগামী যানবাহন চলাচলের জন্য প্রধান সড়ক। সূত্র আরও জানায়, এই সড়কের বিদ্যমান ট্রাফিকের এক্সেল লোড (সড়কের ওপর প্রদত্ত পণ্যবাহী যানের প্রকৃত ভার) বিবেচনায় সড়কের পেভমেন্টের (সড়কের ফুটপাথ অংশ) পুরুত্ব পর্যাপ্ত নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে প্রস্তাবিত মহাসড়কটি যথাযথভাবে জাতীয় মহাসড়ক মানে পুনঃনির্মাণের জন্য মোট ৩২৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এবং ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনর্গঠিত ডিপিপির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৩২৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ পুনর্নির্ধারণ করে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছেÑ চার লাখ ৯৯ হাজার ৬২ ঘনমিটার সড়ক বাঁধ নির্মাণে মাটির কাজ, ৩৫ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার বিদ্যমান ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ, ২ দশমিক ৩১ কিলোমিটার বিদ্যমান ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় ৩৫ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার হার্ডশোল্ডার নির্মাণ, ছয় মিটার আরসিসি বক্স কালভার্ট, ৯০০ মিটার সসার ড্রেন নির্মাণ, তিন হাজার মিটার রক্ষাপ্রদ কাজ, রিলোকেশন অব পাবলিক ইউটিলিটিজ এবং ট্রাফিক সাইন, গাইড পোস্ট, সাইন পোস্ট নির্মাণ করা হবে।
×