স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। এতে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় সব বয়সের মানুষ। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে দেশব্যাপী সচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা দরকার। ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। সুস্থ থাকতে হলে গভীর পর্যবেক্ষণ এবং নিজের যতœ নেয়া প্রয়োজন। অসতর্ক থাকলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা মারাত্মকভাবে বেড়ে যেতে পারে এবং নানা রকম জীবননাশী ক্ষতি হতে পারে। একজন ডায়াবেটিস রোগী হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর সমস্যায় পড়ে হার্ট এ্যাটাক ও স্ট্রোকের শিকার হতে পারে। আর কিডনি, স্নায়ুতন্ত্র ও চোখের জটিল সমস্যায় পড়তে পারেন। ডায়াবেটিসও একটি অসংক্রামক ব্যাধি হিসেবে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি হিসেবে আজ সারাবিশ্বে স্বীকৃত। একজন ডায়াবেটিস রোগীর অন্যান্য রোগ চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন হলে ডায়াবেটিস সেন্টার আয়োজিত ডায়াবেটিস সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ডায়াবেটিস সেন্টার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ড. জয়নুল আবেদিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ, ড্রিমার এ্যান্ড টিম বিল্ডারের রুবাইয়াত খান, ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হসপিটালের অধ্যাপক ডাঃ খাজা নাজিম উদ্দীন, এ্যাপোলো হসপিটালের প্রিন্সিপাল ডায়েটিশিয়ান তামান্না চৌধুরী, ডাঃ ফিরোজ আমিন, ডাঃ সালমা পারভিন প্রমুখ।
অধ্যাপক ডাঃ খাজা নাজিম উদ্দীন বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সচেতনতা ও সৃশৃঙ্খল জীবনযাপনের বিকল্প নেই। ডায়াবেটিস এমন এক রোগ, স্বাস্থ্য শিক্ষাই যার প্রধান চিকিৎসা। যথাযথ স্বাস্থ্য শিক্ষা পেলে একজন ডায়াবেটিস রোগী চিকিৎসকের ওপর নির্ভর না হয়ে এ রোগ ভালভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। সারা বিশ্বেই ডায়াবেটিস এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: