ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গৌরব জি. পাথাং

মুক্তিযুদ্ধে খ্রীস্টানদের অবদান

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১০ মার্চ ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধে খ্রীস্টানদের অবদান

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, আত্মত্যাগ, অসংখ্য নারী পুরুষের জীবন দান, জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং ঐক্যের ফলেই আমাদের বিজয় এসেছে। আর বিজয় এনেছে স্বাধীনতা এবং মুক্তি। এই স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে বাঙালী-মুসলিমদের পাশাপাশি আদিবাসী, বাঙালী ও বিদেশী মিশনারী খ্রীস্টানরাও যার যার অবস্থানে থেকে যুদ্ধ করেছে। তারপরও জাতীয় পত্রপত্রিকা, সরকারী প্রজ্ঞাপনগুলোতে খ্রীস্টানদের অবদানের কথা চোখে পড়ে না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে তারা যে অবদান রেখেছে তা অতি সামান্য নয়। যদিও জনসংখ্যার বিবেচনায় তারা খুবই সীমিত, অল্প সংখ্যক, তথাপি তাদের অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৭১ খ্রীস্টাব্দে সাত কোটি জনসংখ্যার মধ্যে খ্রীস্টানদের জনসংখ্যা ছিল প্রায় তিন লাখের কম। জনসংখ্যার বিবেচনায় তাদের সংখ্যা কম হলেও তাদের অবদান অনেকখানি বেশি। মুক্তিযুদ্ধকালীন খ্রীস্টান প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো বিশেষভাবে ‘খ্রীস্টান ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংস্থা’ দুটি, নটর ডেম কলেজসহ ২ টি কলেজ, ৫০টি হাইস্কুল, ২৬৫টি প্রাইমারী স্কুল, ১২টি হাসপাতাল, অসংখ্য গির্জা ও খ্রীস্টান আবাস, ঘর বহু সংখ্যক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বেসামরিক ব্যক্তিদের আশ্রয় দান ও চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। ঢাকার অদূরে নাগরী ধর্মপল্লীতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হাজার হাজার শরণার্থীদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও ময়মনসিংহ, খুলনা, দিনাজপুর রাজশাহী এলাকার অন্যান্য ধর্মপল্লীগুলোতেও অসংখ্য লোকদের খাদ্য, বস্ত্র ও আশ্রয় দান করেছে। যুদ্ধের পরেও দুরবস্থা ও সঙ্কটাপন্ন বাংলাদেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে খ্রীস্টানগণ অনেক অবদান রেখেছেন। বিশেষভাবে ত্রাণ ও পুনর্বাসন, শিক্ষা সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের খ্রীস্টানগণ আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন। আর্চবিশপ টি.এ. গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ম-লীর প্রতিনিধিগণ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে একটি সোনার ক্রুশ ও সোনার চেইন বা মালা এবং বিশ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। বলতে গেলে অস্থায়ী সরকার গঠনের সময় থেকেই খ্রীস্টানগণ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেছেন। মেহেরপুরের আম্রকাননে অস্থায়ী সরকার গঠনের সময় ভবের পাড়া মিশন থেকে প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ. গমেজ তার মিশন থেকে চেয়ার টেবিল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যোগান দিয়েছিলেন এবং নিজের কাছে সেই সময়কার জাতীয় পতাকাও সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। স্থানীয় বাঙালি ও আদিবাসী খ্রীষ্টানগণ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। অনেকেই শহীদ হয়েছেন, আহত ও পঙ্গু হয়েছেন। এখানে কয়েকজন শহীদ মুক্তিযুদ্ধাদের নাম স্মরণ করতে চাই। তারা হলেন: গোপালগঞ্জ জেলার খলিসাখালি গ্রামের সুভাষ বিশ্বাস যিনি পাকিস্তানীদের সাথে লড়াই করতে করতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারের খোকন সলোমন পিউরিফিকেশন যিনি সায়দাবাদের একটি কালভার্ট বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে গিয়ে পাক বাহিনীর কাছে প্রাণ হারান। বরিশালের আশিস ব্যাপারী যিনি পাকবাহিনীদের আক্রমন করতে গিয়ে ধরা পড়েন এবং শেষে নিদারুণ টর্চারে মারা যান। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার মনিকুড়া গ্রামের গারো ছেলে পরিমল দ্রং যিনি নাগলা ব্রিজ অপারেশন করতে গিয়ে ধরা পড়েন আর শেষে নিদারুণ আঘাতে মারা যান। তাকে ব্লেড, খুর ও বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে কয়েকদিন ধরে নির্যাতন করে মারা হয়। এছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক গ্রামে অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন যাদের নাম আমরা এখনও জানি না কিংবা সংগ্রহ করতে পারিনি। যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় এখনও রচিত হয়নি। কিন্তু এ কথা অনস্বীকার্য যে, অসংখ্য খ্রীষ্টান সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। গারো, উরাও, সাঁওতাল ও অন্যান্য জাতির লোকেরাও যুদ্ধ করেছেন। সবাই জাতি বর্ণ, ধর্ম ভুলে গিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রের আশায় অস্ত্র ধরেছেন। দেশীয় ও স্থানীয় খ্রীষ্টানদের পাশাপাশি বিদেশী মিশনারী খ্রীষ্টানগণও পরোক্ষ্য ও প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধ করেছেন এবং বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন। তৎকালীন ঢাকার আর্চবিশপ গ্রেনার মুক্তিযুদ্ধের সময় গির্জা, মিশন ও স্কুলগুলোতে যেন অসহায়, শরনার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হয়, সেই জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, গারোদেরকে দেশ ত্যাগ না করার জন্য অভয় দিয়েছেন, পাকিস্তান সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তৎকালীন খ্রীষ্টান পত্রিকা ‘প্রতিবেশী’তে বাণী দিয়েছেন। ফাদার জর্জ পোপ পাকিস্তানীদের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে আহত হয়েছেন। এছাড়াও খ্রীষ্টান বিদেশী ব্রতধারী সন্ন্যাসীগণ সেবা দান ও প্রচারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষভাবে স্মরণ করছি, পবিত্র ক্রুশ সম্প্রদায়ের ফাদার টিম, ফাদার হোমরিক, ফাদার ইভান্স, ফাদার গেডার্ট, সালেসিয়ান সম্প্রদায়ের সিস্টার ইম্মানুয়েল, জেভেরিয়ান সম্প্রদায়ের ফাদার ভেরোনিস প্রমুখকে। যাদের অবদান সরকার জাতির কাছে তুলে ধরেছেন। সেই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গত ২০১৩, ২৭ মার্চ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিল। দিনটি ছিল খ্রীস্টানদের জন্য একটি অহংকার ও গর্বের দিন কারণ বাংলাদেশ খ্রীস্ট ম-লীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধেয় ফাদার টিম, ফাদার হোমরিক, ফাদার ইভান্স (শহীদ) ফাদার মারিও ভেরোনিস (শহীদ) এবং গারো জাতির পক্ষ থেকে পি.এ. (পূর্ণ এ. সাংমা) সাংমা ও মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার মা রওশন আরা বেগম সাংমা মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা লাভ করেছেন। ফাদার উইলিয়াম রিচার্ড টিম, সিএসসি একজন ধর্মযাজক কিন্তু তার বাইরেও তিনি অনেক বিশেষণে পরিচিত। তাকে কেউ বলে বিজ্ঞানী, কেউ বলে মানবাধিকারকর্মী, কেউ বলে সমাজকর্মী। তিনি ১৯৮৭ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ডারস্টান্ডিং এ্যান্ড পিস’-এর জন্য ফিলিপাইন থেকে ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন যা এশিয়ার শান্তি নোবেল পুরস্কার বলে পরিচিত। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় মনপুরা দ্বীপে ছিলেন। তিনি ছিলেন এ দ্বীপের অতন্ত্র প্রহরী। দ্বীপের ৩০% লোকই ছিল হিন্দু। তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব তিনি বিশ্বস্তভাবে পালন করছেন। এ দ্বীপে কখনও মিলিটারি বাহিনী প্রবেশ করতে পারেনি। তবে এখানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তারা লোকদের অত্যাচার করত। ফাদার তাদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করেছেন। ১৯৭১ খ্রি. আগস্টে তিনি ঢাকায় এসে জানতে পারলেন যে সব সাংবাদিককে বের করে দেওয়া হয়েছে। ফাদার টিম তাই গোপনে পাকবাহিনীর নৃশংসতার খবর সংগ্রহ করে ওয়াশিংটনে ড. জন রুডিসহ বিভিন্ন লবি গ্রুপের কাছে পাঠান যেন তারা এর বিরুদ্ধে বিশ্ব মতামত তৈরি করতে পারেন। এভাবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার রামপুরা, বনশ্রীতে বার্ধক্যজনিত কারণে অবসর জীবন যাপন করলেও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ফাদার ইউজিন হোমরিক, সিএসসি মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের তার ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন। একটা ঘর তাদের জন্যই নির্ধারিত ছিল। আহত মুাক্তযোদ্ধাদের তিনি চিকিৎসা দিয়েছেন। জলছত্রের আশপাশে গারোদের বাড়িতে দুই হাজার হিন্দুদের আশ্রয় দিয়েছেন। তৎকালীন কোর থেকে তিনি যে আর্থিক সাহায্য পেতেন তা তিনি সেসব লোকদের জন্য ব্যয় করতেন। তাই সরকার তাকে ‘মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার’ উপাধি দিয়ে সনদপত্র দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেলার পীরগাছা ধর্মপল্লীতে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। শহীদ ফাদার ইভান্স, সিএসসি ঢাকা জেলার গোল্লা ধর্মপল্লীতে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালে বহু উদ্বাস্তু ও মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা ও নৈতিক সাহস দান করেছিলেন। ২৫ মার্চ কাল রাতে যখন পাকিস্তানীদের অত্যাচার নেমে আসে তখন তিনি জনগণের পাশে ছিলেন। তাদেরকে নানাভাবে সাহায্য করেছিলেন। ১৯৭১ খ্রি. ১৩ নবেম্বর তিনি খ্রীস্টযাগ অর্পণের জন্য নৌকায় গোল্লা থেকে বক্সনগরের দিকে যাচ্ছিলেন। যাবার পথে নবাবগঞ্জের পাকবাহিনীরা তাকে ডেকে নিয়ে যায় এবং তাকে বেয়োনেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে। শেষে গুলি করে তাকে ইছামতী নদীতে ফেলে দেয়। শহীদ ফাদার মারিও ভেরোনিস, এসএক্স ১৯১২ খ্রি. ইতালির রোভেরেটো শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি জানুয়ারির ১৪, ১৯৫৩ খ্রি. বাংলার মাটিতে আগমন করেন। তারপর ১৯৭১ খ্রি. শিমুলিয়া ধর্মপল্লীর পালক পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সমবায় সমিতি, ঋণদান সমিতি, তাঁতশিল্প এসব কার্যক্রমের দ্বারা মানুষের সেবা করেন। ১৯৭১ খ্রি. যুদ্ধের সময় তিনি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধা ও লোকদের সেবা করতে থাকেন। তিনি শরণার্থীদের ঔষধপত্র দিয়ে সেবা করতে থাকেন। তারপর প্রয়োজনের তাগিদে সেখান থেকে তিনি যশোরে চলে যান। ১৯৭১ খ্রি. ৪ এপ্রিল সেদিন ছিল খ্রীস্টানদের বিশেষ পর্ব যাকে বলা হয় তালপত্র রোববার। এ দিন তিনি ফাতিমা হাসপাতালে একজন মহিলা রোগীকে নিজ হাতে সেবা করেন। বিকেল ৫টায় এ হাসপাতালে পাকসেনারা এসে প্রবেশ করে এবং ফাদারকে গুলি করে। গারো জাতির পক্ষ থেকে মেঘালয় রাজ্যের পূর্ণ সাংমা ও মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার মা রওশন আরা বেগম সাংমা মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা পেয়েছেন। পি. এ. সাংমা লোকসভার স্পিকার ছিলেন। তিনি যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা দিয়েছেন, শরণার্থীদের সেবা করেছেন। তিনি বাংলাদেশেরই সন্তান। তার মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননায় আমরা গারো জাতি খুবই গর্বিত। মুকুল সাংমার মা রওশন আরা বেগম সাংমা যদিও আসাম রাজ্যের একজন মুসলিম পরিবারের সন্তান তবুও বিবাহসূত্রে তিনি গারোর মূল্যবোধ, ইতিহাস ঐতিহ্য বুকে ধারণ করেছেন। তিনি আমপতি নামক স্থানে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন, শিবির বানিয়ে দিয়েছেন ও শরণার্থীদের নানাভাবে সাহায্য করেছেন। আজ তাদের সম্মাননা আমাদের জাতিকে গর্বিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধে গারো জাতির অবদান সবার কাছে তুলে ধরেছে। তেমনি বাংলাদেশে খ্রীস্টম-লীর ভক্তগণ সংখ্যায় অল্প হলেও তাদের অবদান অনস্বীকার্য। শিক্ষা, খেলাধুলা, জ্ঞান বিজ্ঞানে তাদের অবদান এখনো দিনের আলোর মতো উজ্জ্বল। নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়, নটর ডেম কলেজ (ঢাকা) নটর ডেম কলেজ (ময়মনসিংহ), হলিক্রস কলেজ, সেন্ট যোসেফ স্কুল ও কলেজ, সেন্ট গ্রেগরী স্কুল তার প্রমাণ। মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা আমাদের এ শিক্ষা দিচ্ছে যে, আমরা যতই ক্ষুদ্র হই না কেন আমরা সবাই যার যার মতো অপরের মঙ্গলে অবদান রাখতে পারি। শুধু তার জন্য প্রয়োজন ইচ্ছা। ইচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব। তাদের ইচ্ছা ও ভালবাসা ছিল বলে দূরের হয়েও আপন হয়ে উঠেছেন, দূরে থেকেও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আজ আমাদের প্রত্যাশা, সরকার খ্রীস্টানদের পাশে থাকুক এবং সেবা কাজে নিরাপত্তা দান করুক। যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় এখনও লিপিবদ্ধ হয়নি তাদের নাম লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করুক। [email protected]
×