প্রকৌশল সরঞ্জাম রফতানি করে ২৮ কোটি টাকা আয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে প্রকৌশল সরঞ্জাম রফতানিতে আয় হয়েছে ২৮ কোটি ২৯ লাখ ডলার ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। যা এ সময়ের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে রফতানি আয় ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রকৌশল পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫১ কোটি ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই বছরের প্রথম ৭ মাসে এ খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৩১ কোটি ৭০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে প্রকৌশল পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩২ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। প্রকৌশল পণ্যের মধ্যে আয়রন স্টিল রফতানিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে আয় হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে আয়রন স্টিল রফতানিতে হয়েছিল ২ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে তামার তার রফতানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের রফতানি আয় ১১ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে তামার তার রফতানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে স্টেইনলেস স্টিল তার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের এ সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে স্টেইনলেস স্টিল তার রফতানিতে আয় হয়েছিল ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার।