ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত ছাড়ছে টেলিনর

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ভারত ছাড়ছে টেলিনর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নরওয়েভিত্তিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনর গ্রুপ ভারতের মার্কেট থেকে গুটিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ভারতীয় বাজারের ব্যবসা ভারতী এয়ারটেল কোম্পানির কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের বাজারে মুকেশ আম্বানির প্রতিষ্ঠান রিল্যায়ান্স জিওর সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা ও চাপের মুখে কুলিয়ে উঠতে না পারায় নরওয়ের এই প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা ভারতী এয়ারটেলের কাছে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। ভারতে টেলিনরের ৪ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহক রয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ (পূর্ব), উত্তরপ্রদেশ (পশ্চিম) ও অসমে সাতটি সার্কেলে টেলিনরের কার্যক্রম রয়েছে। এই দুই কোম্পানির মাঝে এমন এক সময় চুক্তি হলো যখন দেশটি অপর দুই কোম্পানি ‘ভোডাফোন’ ও ‘আইডিয়া সেলুলার+’ একীভূত হয়ে দেশটির বৃহৎ কোম্পানি গঠন করতে চাইছে। এয়ারটেল বলছে, নরওয়ের এই কোম্পানির ব্যবসা কিনে নিতে একটি নির্দিষ্ট চুক্তিতে পৌঁছেছে তারা। চূড়ান্ত চুক্তির জন্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। প্রস্তাবিত অধিগ্রহণ চুক্তির ফলে টেলিনর ভারতের সম্পদ এবং গ্রাহক এয়ারটেলের কাছে স্থানান্তরিত হবে। এছাড়া সব গ্রাহক ও নেটওয়ার্ক এয়ারটেলের আওতায় আসবে। এয়ারটেলে ভারতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোপাল ভিত্তাল বলেছেন, চুক্তি সম্পন্নের পরে টেলিনর ইন্ডিয়ার গ্রাহকরা ভারতের বিস্তৃত ও সবচেয়ে দ্রুতগতির ভয়েস এবং ডাটা নেটওয়ার্ক সেবার আওতায় আসবেন। এছাড়াও এয়ারটেলের বিশ্বমানের সেবা ও পণ্য পাবেন। টেলিনর গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিগভে ব্রেক্কে বলেছেন, ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়াটা খুব সহজ ছিল না। পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনার পর আমাদের মনে হয়েছে, টেলিনর ইন্ডিয়ার ভবিষ্যত ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রয়োজন। তিনি বলেন, এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তি আমাদের গ্রাহক, কর্মী এবং টেলিনর গ্রুপের সেরা স্বার্থ হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে টেলিনরের ব্যবসা ভারতী এয়ারটেলের কাছে হস্তান্তর হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে ভারতের টেলিকম বাজারে প্রবেশ করে নরওয়েভিত্তিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনর। ২০১৮ সালের পর দেশে কোন গ্যাস সঙ্কট থাকবে না ॥ মুহিত স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের পর দেশে কোন গ্যাস সঙ্কট থাকবে না। তখন শিল্পে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হবে। এতে শিল্প খাতও প্রসারিত হবে। বুধবার সিলেট চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন আইটি খাতে বাংলাদেশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। আইটি খাতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদও গড়ে তোলা প্রয়োজন। মন্ত্রী সিলেট চেম্বারের প্রশংসা করে বলেন, এই অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে এই সংগঠন যথেষ্ট কাজ করছে। তবে সিলেটে যথেষ্ট শিল্পায়ন হয়নি, এটা আমাদের একটি বড় দুর্বলতা। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের চিন্তা ভাল, উদ্যোগ ভাল কিন্তু বাস্তবায়নে আমরা ভাল নই। বাস্তবায়নের ব্যাপারে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। সিলেটের মানবসম্পদ খুবই উন্নত। সারাবিশ্বেই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। এই মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। নগরীর আরামবাগস্থ কনভেনশন সেন্টারে সিলেট চেম্বার চেম্বারের দুদিনব্যাপী ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সালাউদ্দিন আলী আহমদের সভাপতিত্বে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক প্রতিনিধি ড. একে আবুল মোমেন, সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী প্রমুখ।
×