ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মূসক অব্যাহতি পাচ্ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মূসক অব্যাহতি পাচ্ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঔষধ প্রশাসনের কাছে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) পরিশোধ থেকে অব্যাহতির জন্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধের একটি সম্পূর্ণ তালিকা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তা না হলে জুলাই মাসে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন মূসক আইনে জীবন রক্ষাকারী ওষুধে মূসক অব্যাহতি দেয়ার সুযোগ থাকবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট শাখা থেকে সম্প্রতি একটি চিঠির মাধ্যমে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালকে তালিকা পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে মূসক আইন বাস্তবায়নের আগে অব্যাহতির তালিকায় ওষুধের নামগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যায়। পাশাপাশি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে জেনেরিক, ওষুধের ব্র্যান্ড নাম এবং তাদের বিবরণ, কাস্টমসের সংখ্যা ও এইচএস কোড নম্বর উল্লেখ করে তালিকা পাঠাতে বলেছে এনবিআর। এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের তালিকা মূসক আইনের প্রথম তফসিলে মূসক-অব্যাহতি পণ্যে যুক্ত করা জরুরী। ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ অনুযায়ী, আমদানিকৃত কিংবা দেশে উৎপাদিত জীবন রক্ষাকারী ওষুধে মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়। কিন্তু আইনে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু নেই। এ বিষয়ে কর্মকর্তারা বলেন, নতুন মূসক আইন বাস্তবায়ন হলে নতুন করে কোন পণ্যে মূসক অব্যাহতি দেয়ার সুযোগ সরকারের থাকবে না। নতুন মূসক আইন অনুযায়ী, সরকার শুধু জাতীয় জরুরী অবস্থায় করমুক্তি দিতে পারে। মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এ বলা হয়েছে, সরকার বছরের যে কোন সময়ে সংসদ থেকে সম্মতি গ্রহণ ছাড়াই সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক অর্ডার ও গেজেট নোটিফিকেশন জারি মাধ্যমে অব্যাহতি দিতে পারবে। কিন্তু নতুন মূসক আইনে এ সুযোগ নেই। আর চলতি বছরের জুলাই থেকে মূসক আইন-২০১২ বাস্তবায়ন করা হবে। তাই মূসক আইন বাস্তবায়নের আগে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের নাম তফসিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যা সংসদ থেকে অনুমোদন হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। এনবিআর সংসদে বাজেট প্রস্তাব দিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে জীবন রক্ষাকারী তালিকা স্থাপন করবে। আর নতুন মূসক আইনে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের তালিকা যুক্ত না করা হলে তফসিল অনুযায়ী এসব পণ্যে ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপিত হবে। নতুন মূসক আইন অনুযায়ী, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সরকার নতুন কোন পণ্যে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মূসক অব্যাহতি দিতে পারবে। তবে বিষয়টি পরবর্তীতে অর্থ আইনে যুক্ত করতে হবে। তা না হলে পণ্যের ওপর জরুরীভিত্তিতে দেয়া মূসক অব্যাহতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে। জীবন রক্ষাকারী ঔষধ যেমনÑ খাবার সেলাইন, রাইস সেলাইন, বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক প্রভৃতি। নতুন আইনে এসব ঔষধে মূসক অব্যাহতি হলে জনসাধারণ কম মূল্যে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ কিনতে পারবেন। উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৮টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি কোম্পানি সরাসরি ওষুধ উৎপাদন করছে।
×