ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এলসি খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ বাণিজ্যমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

এলসি খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ বাণিজ্যমন্ত্রীর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তৈরি পোশাক রফতানির জন্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। একই সঙ্গে ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিচালকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে পরিচালক হয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিচালনা করেছে। এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সব ক্ষেত্রে রাজনীতি করাও উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। রবিবার সকালে হোটেল সোনারগাঁও-এ জনতা ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্বনর ফজলে কবির। বক্তব্য রাখেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালামসহ ব্যাংকের পরিচালক ও কর্মকর্তারা। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিচালকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। অতীতে পরিচালক হয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিচালনা করেছে। এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সব ক্ষেত্রে রাজনীতি করাও উচিত নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। শীর্ষ ঋণ খেলাপিদের চিহ্নিত করে খেলাপি ঋণ আদায়েরও পরামর্শ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি নতুন করে খেলাপি যাতে না হয় সেদিকেও নজর রাখতে বলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এলসি (ঋণপত্র) জালিয়াতি ১৭৯টি কন্টেনার বোঝাই পণ্য রফতানি করা হয়েছে। এসব পণ্যের টাকা দেশে ফেরত আসেনি। কারা এসব পণ্য রফতানির মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচার করেছে তারও কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এর মাধ্যমে দেশের তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বিদেশে সুনাম নষ্ট হয়। ব্যাংক থেকে এলসি খোলার সময় সতর্ক না হওয়ার কারণে এ অর্থ পাচার হয়েছে। এলসি খোলার সময় ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্বনর ফজলে কবির বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংকের অবস্থা খুব ভাল। তিনি বলেন, এটা যেমন ভাল খবর তেমনি মাত্র ৯টি গ্রুপের কাছে ব্যাংকের মোট ঋণের ৪০ শতাংশ পুঞ্জীভূত রাখার খবরটি একটি খারাপ দিক-নির্দেশ করে। এটা ঋণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে। এ জন্য ঋণ বিতরণে প্রতিষ্ঠান ও শিল্প খাত নির্বাচন করার আগে বৈচিত্র আনতে হবে। যাতে কোন একটি শিল্প খাত বা বিশেষ শিল্প গোষ্ঠী কোন কারণে ঝুঁকিতে পড়লে ব্যাংকটিই ঝুঁকিতে না পড়ে। ঋণ বিতরণে বহুমুখী করা গেলে ব্যাংক ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। জনতা ব্যাংকের সংগৃহীত আমানতের বড় অংশ ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে না= এমন সমালোচনার জবাবে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের আমানতের ৪০ শতাংশ সরকারের বিভিন্ন বন্ডের বিপরীতে বিনিয়োগ করা হয়। বাকি টাকা বিতরণ করা হয়। তিনি বলেন, নিবিড় পর্যবেক্ষণের ফলে খেলাপি ঋণ কমে এসেছে। তিনি বলেন, বর্তমান লোকসানি শাখা নেমে এসেছে ৪৮টিতে। এক বছর আগেও এর পরিমাণ ছিল ৭৪টি। ৯১০টি শাখার মধ্যে ৭৬৪টি শাখাতে অনলাইন কার্যক্রমের অধীনে আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
×