ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হৈহুল্লোড় থেকে বাঁচতে প্রতিবেশীর বাড়ি কিনেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক!

বিয়ের আগে ফুরফুরে মেসি-রোকুজ্জো

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিয়ের আগে ফুরফুরে মেসি-রোকুজ্জো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘদিনের প্রেমিকা এ্যান্টোনেল্লা রোকুজ্জোকে এ বছরই বিয়ে করতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। এটা পুরনো খবর। বিষয়টি গত বছরের ডিসেম্বরে মাঝামাঝিতে নিশ্চিত করেছে দুই পরিবার। এখন নতুন খবর, বিয়ের জন্য তোরজোর শুরু করে দিয়েছেন দুই আলোচিত জুটি। সম্প্রতি মেসি ও তার প্রেমিকাকে একসঙ্গে দেখা গেছে বিভিন্ন শপিংমলে। বিয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নাকি কিনছেন তারা। দু’জনকে বিভিন্ন জায়গায় বেশ ফুরফুরে মেজাজেও দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এমন ছবিও এসেছে। আগেই নিশ্চিত হয়েছে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ২৯ বছর বয়সী মেসি ও ২৮ বছর বয়সী রোকুজ্জো আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানটি গ্রীষ্মকালে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিজ দেশ আর্জেন্টিনায় বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন মেসি ও রোকুজ্জো। আলোচিত বিয়েতে উপস্থিত থাকার কথা আছে ফুটবলের ক্ষুদে জাদুকেরর ঘনিষ্ঠ ও আপনজনদের। মেসির বিয়ে নিয়ে প্রথম সংবাদ পরিবেশন করেন রেডিও মেট্রো’র আর্জেন্টাইন ক্রীড়া সাংবাদিক পাবলো ভার্সকি। পরে ‘এএফই’ এবং স্থানীয় অনেক সংবাদমাধ্যম তা নিশ্চিত করে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালে বিয়ে করবেন মেসি ও রোকুজ্জো। তারিখটি নির্ভর করছে বার্সিলোনার ম্যাচের সূচী এবং কাতালানদের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ভাগ্যের ওপর। বিয়ের অনুষ্ঠানটি আর্জেন্টিনায় হবে জানিয়ে বলা হয়, আমরা জানতে পেরেছি আগামী বছর এখানে বড় ধরনের উদযাপন (মেসি-রোকুজ্জোর বিয়ে) হবে। আমি নিশ্চিত কোন তারিখ বলতে পারছি না। কিন্তু এটা রোজারিওতেই হবে। ১৯৯৬ সালে জন্মস্থান আর্জেন্টিনার রোজারিওতে মেসি ও রোকুজ্জোর প্রথম দেখা হয়। তবে তাদের পরিণয়টা শুরু হয় ২০০৮ সালে। আর একসঙ্গে থাকা শুরু করেন ২০১০ সাল থেকে। আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে না করলেও ইতোমধ্যে মেসি-রোকুজ্জোর ঘর আলো করে এসেছে দুইটি সন্তান। বড় ছেলে থিয়াগো মেসির বয়স চার বছর। আর ছোট ছেলে মাটেওর বয়স এক বছর। দীর্ঘদিনের প্রেমিকাকে এবার পাকাপাকিভাবে জীবন সঙ্গীনী করছেন বিশ্বফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা মেসি। আর এ লক্ষ্যে বেশ ঘটা করেই কেনাকাটা করছেন তারা। এদিকে প্রতিবেশীর হৈহুল্লোড় থেকে বাঁচতে মেসি তার বাড়ি কিনেছেন বলে সংবাদ চাউর হয়েছে। খবরে জানা গেছে, বেয়াড়া প্রতিবেশীকে শায়েস্তা করতেই তার পুরো বাড়িটাই কিনে নিয়েছিলেন পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। খবরটি জানিয়েছেন মেসির বার্সা সতীর্থ ইভান রাকিটিচ। মেসি থাকেন বার্সিলোনা শহরের ক্যাস্টেলডিফেলস এলাকায়। একই এলাকায় লুইস সুয়ারেজেরও বসবাস। প্রতিবেশী হিসেবে বন্ধুর সঙ্গে কখনই সমস্যা হয়নি এমএলটেনের। তবে পাশের বাড়ির আরেক বাসিন্দার সঙ্গে নিয়মিত ঝামেলা হতো বার্সা প্রাণভোমরার। সমস্যা এতোই প্রকট আকার ধারণ করে যে মেসি আজব এক কা- করে বসেন। কি সেই কা-? বার্সার ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার রাকিটিচ বলেন, আমার সঙ্গে আমার প্রতিবেশীর কোন সমস্যা নেই। কিন্তু মেসির ছিল। জানেন সমস্যা কাটাতে মেসি কি করেছে? প্রতিবেশীর বাড়িটাই কিনে নিয়েছেন। রাকিটিচ বলেন, মেসি আসলে একা এবং নিরিবিলি থাকতে ভালবাসে। কিন্তু ওর প্রতিবেশীরা ছিলেন ঠিক তার উল্টো। তারা সারাক্ষণ চিৎকার, হৈহুল্লোড় করত। বাড়িতে জোরে গান চালত। তাছাড়া প্রতিবেশীদের আচরণও ছিল রূঢ়। ওদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানো সম্ভব হয়নি। ব্যাপারটা নিয়ে বিরক্ত ছিলেন মেসি, তার পরিবারও। তাই মেসি প্রথমে দুই বাড়ির মাঝে যে প্রাচীর আছে, তা আরও উঁচু করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বাড়ি বানানোর আইনের চক্করে সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। পরে বাধ্য হয়ে মেসি তার প্রতিবেশীর বাড়িটাই কিনে নেয়।
×