ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ই-ফাইলিং চালু করল চট্টগ্রাম বন্দর

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ই-ফাইলিং চালু করল চট্টগ্রাম বন্দর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সব টেন্ডার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে ই-টেন্ডারিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বন্দরে এবার চালু হলো ই-ফাইলিং। ফলে এখন আর কাগজের কোন ফাইল থাকবে না। এসব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র ও বন্দরের সদস্য (প্রশাসন এ্যান্ড প্ল্যানিং) জাফর আলম। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল জানান, সরকারের একসেস টু ইনফরমেশনের আওতায় চট্টগ্রামের সরকারী অফিসগুলোর মধ্যে সবার আগে ই-ফাইলিং পদ্ধতি চালু করল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে বন্দরে আর কাগজের ফাইল থাকবে না। তিনি বলেন, এখন থেকে বন্দরে যত চিঠি কিংবা ফাইল আসবে সবগুলোই স্ক্যান করে ই-ফাইল আকারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে। প্রত্যেক কর্মকর্তা নিজস্ব পাসওয়ার্ড দিয়ে মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে তা দেখে ফাইল অনুমোদন দিয়ে পরবর্তী কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। ই-ফাইলিং পদ্ধতি চালু করার ফলে কার কাছে কোন ফাইল আছে- তা সহজেই জানা যাবে বলে জানান এডমিরাল এম. খালেদ ইকবাল। জাফর আলম বলেন, সরকারী অফিসগুলোতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার কখনও কখনও ফাইল কাটা-ছেঁড়া বা ঘঁষামাজা করা হয়। ই-ফাইলিং ব্যবস্থায় সরকারী কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আসবে। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের ৫০ জন কর্মকর্তা ইতোমধ্যে ই-ফাইলিং বিষয়ে প্রশিণ নিয়েছেন। প্রত্যেকের মোবাইলে, কম্পিউটারে, ট্যাবে বা ল্যাপটপে এই এ্যাপ দিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই এ্যাপে একটি ডেস বোর্ড রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মনিটরিংয়ের সুযোগ রয়েছে। কোন ফাইল কার কাছে কতদিন থাকছে তাও রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে। এ পদ্ধতিতে ফাইল হারানো কিংবা ফাইলে কাটা-ছেঁড়া করার কোন সুযোগ নেই। এতে কাজ অনেক গতিশীল হবে।
×