ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনীতির টুকরো খবর

অর্থনীতিতে প্রবাসী নারী শ্রমিকের অবদান

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

অর্থনীতিতে প্রবাসী নারী শ্রমিকের অবদান

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী নারী শ্রমিকের অবদান বাড়ছে। ১৭৯ জন নারী শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর মধ্যদিয়ে ১৯৯১ সালে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট এ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমটিএ) এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ২৬ বছরে বিদেশে গেছেন সাড়ে পাচ লাখ নারী। সরকারী হিসাবে গত ৪০ বছরে দেশে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এই অর্থ পাঠিয়েছেন ১৬১টি দেশে থাকা প্রায় ১ কোটি ৪ লাখ প্রবাসী। সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশ গেছেন ৭ লাখ ২২ হাজার ১শ’ কর্মী। যার মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার নারী। চট্টগ্রাম থেকেই গেছেন প্রায় অর্ধলাখ শ্রমিক। প্রবাসী নারী শ্রমিকের চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে তাদের কাজের ঝুঁকি আর প্রতারকের দৌরাত্ম্য। বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে একদিকে যেমন দেশের অভ্যন্তরে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। অন্যদিকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার (রিজার্ভ) সঞ্চায়নও বাড়ছে। ২০১৬ সালে প্রসাসীরা ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার পঠিয়েছে। এই আয়ে অভিবাসী নারী-পুরুষ উভয়ের অবদান রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে পুরুষের তুলনায় নারী অভিবাসীদের অবদান বেড়েছে। ২০১৪ সালে ৭৬ হাজার সাতজন নারী শ্রমিক বিদেশে গিয়েছে যা সে বছরের মোট প্রবাসী শ্রমিকের ১৮ শতাংশ। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট জনশক্তি রফতানি হয়েছে চার লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪ জন যা থেকে মোট রেমিটেন্স এসেছে ১৪ হাজার ৯৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে হিসেবে নারী শ্রমিকের আয় প্রায় দুই হাজার ৬৮৯ মার্কিন ডলার। ২০১৩ সালে প্রবাসী নারী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৫৬ হাজার। ২০১৫ সালেও এ হার বেড়েছিল । নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। নারী অভিবাসীরা সাধারণত হাউসকিপার (গৃহকর্মী), গার্মেন্টসকর্মী, বেবি সিটার, কেয়ার গিভার, ডে-কেয়ার কর্মী, নার্স ও বিউটিশিয়ান পেশায় বিদেশে যাচ্ছে। এসব কাজের তুলনায় আরও দক্ষ পেশায় বিদেশে যেতে পারলে তাদের আয় আরও বাড়বে। অর্থনীতি ডেস্ক
×