ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে প্রশয় দেয় না বাংলাদেশ ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:০৮, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে প্রশয় দেয় না বাংলাদেশ ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ভূ-খ-ে জঙ্গীবাদ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কোন শক্তিকে প্রশ্রয় দেয়া হয় না। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং এ সকল ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সফুরা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বের প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশের কূটনেতিক কর্মকা- এখন বহুমাত্রিক। বিশ্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশের এই অবস্থান আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাভিত্তিক কর্মকা- চলমান রয়েছে। অবৈধ মিয়ানমার নাগরিকদের ফেরত প্রদান ॥ সংরক্ষিত নারী আসনের অপর সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী সংসদকে জানান, কক্সবাজারে অবস্থানরত মিয়ানমার শরণার্থী ও অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমরা দেশটির সরকার এবং জাতিসংঘের রিফিউজি হাইকমিশনারের সঙ্গে অব্যাহত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে মিয়ানমনার সরকারের অনাগ্রহের কারণে ২০০৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমার শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করা সম্ভবপর হয়নি। ৪১টি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই ॥ অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে পৃথিবীর ৫৮টি দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে। সমবর্তী দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত আরও ৯৩টি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। অর্থাৎ জাতিসংঘভূক্ত ১৯২টি দেশের মধ্যে ১৫১টি দেশের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত অবশিষ্ট ৪১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের এখনও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি। সংসদে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য বিল পাস ॥ বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন ঔষধী গুণসম্পন্ন ভেষজ ও তা থেকে উৎপাদিত পণ্য এখন থেকে রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার ও গবেষণালব্ধ ফলাফল নিজের অধিকারে সংরক্ষণ বা পাচার বা বিদেশে হস্তান্তর করতে পারবেন না। করলে পাঁচ বছরের কারাদ- ও দশ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য বিল ২০১৭’ শীর্ষক আইনটি পাস করেছে জাতীয় সংসদ। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার কণ্ঠভোটে আইনটি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সুপারিশকৃত আকারে পাস হয়। এর আগে জাতীয় পার্টির কয়েক সাংসদের বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাবসমূহ নাকচ হয়ে যায়। এরআগে বিলটি সংসদে পাস করার প্রস্তাব করেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। আইনে বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন ঔষধী গুণসম্পন্ন ভেষজের বাণিজ্যিক ব্যবহারের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জীবসম্পদের ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য তৈরি বা উৎপাদন যেমন ঔষধ, শিল্পের এনজাইম, খাদ্য ও দেহে ব্যবহার্য সুগন্ধি, রং, প্রসাধনীসহ প্রাণীসম্পদের কৌলিগত (জীবসম্পদ) পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে অন্য জীব থেকে নির্যাস বা জীন সংগ্রহ। এ আইনের মাধ্যমে জীবসম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা ও জাতীয়সম্পদ হিসেবে বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।
×