ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দুই দশকেও কাস্টম হাউস ডিজিটাল হয়নি

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭

দুই দশকেও কাস্টম হাউস ডিজিটাল হয়নি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উন্নত সেবা প্রদান ও শুল্ক ফাঁকি রোধে এনবিআর দেশের কাস্টম হাউসগুলোকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিলেও দীর্ঘ দুই দশকেও তা শেষ হয়নি। ফলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার বন্ধ হয়নি। অন্যদিকে চরম জনবল সঙ্কট এবং পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন না হওয়ায় শুল্কায়নে বিলম্ব ও জটিলতার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অবশ্য এনবিআর চেয়ারম্যান বলছেন, নতুন কাস্টম আইনের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে বর্তমান সমস্যা থাকবে না। এনবিআরের মোট রাজস্বের ৩১ শতাংশ আসে কাস্টম হাউসগুলো থেকে। অথচ প্রতিবছর বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ থেকে ১২ শতাংশ করে বাড়লেও কাস্টম হাউসগুলোর সক্ষমতা বাড়েনি সে হারে। বাণিজ্যকে সহজ করা ও শুল্ক ফাঁকি রোধে ১৯৯৪ সালে এনবিআর প্রথমে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কাস্টমসে অটোমেশনের প্রক্রিয়া শুরু করলেও এখনও তা পুরো বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে শুল্কায়নে বিলম্ব ও জটিলতার কারণে একদিকে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে বন্ধ হচ্ছে না বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স পরিচালক মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর বলেন, দ্রুত পণ্য খালাস করাটাই কাস্টম হাউসগুলোর বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে কাস্টমস হাউসগুলো পিছিয়ে আছে। এর প্রধান কারণ হলো দক্ষ জনবলের সঙ্কট, শুল্কমূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেও আমাদের যে পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো আরও আধুনিক করা দরকার। এদিকে, কাস্টমস এ্যাক্ট যুগোপযোগী না হওয়ায় পণ্য আমদানি-রফতানিতেও নানা জটিলতা পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তবে অর্থপাচার ও চোরাচালান রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে দাবি করে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলছেন, নতুন কাস্টম এ্যাক্ট হলে ব্যবসার খরচ ও হয়রানি কমবে। এছাড়া সব সংস্থাকে একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সিঙ্গেল উইনডো প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
×