ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ডে পেসাররা ভালই সামাল দিয়েছে

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজিল্যান্ডে পেসাররা ভালই সামাল দিয়েছে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেখতে দেখতে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে পাঁচটি মাস চলে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশের। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নিলেন। এরমধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ শেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে, টি২০ ও টেস্ট সিরিজ হলো। এ সিরিজগুলোতে বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পেসাররা খুশিও করতে পারলেন ওয়ালশকে। এখন ওয়ালশ মনে করছেন, ‘এখন দরকার (পেসারদের) টেকনিক্যাল দিকটা নিয়ে কাজ করা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পেসাররা ভালই সামাল দিয়েছে।’ ওয়ালশ বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে পেসাররা নিজেদের বোলিংয়ের গতি দেখিয়েছে। অধিকাংশ বোলারেরই পেসে ধারাবাহিকতা ছিল। শারীরিকভাবে শক্তিশালী হতেও ওরা মনোযোগ দিয়েছে। আমাদের এখন দরকার টেকনিক্যাল দিকটা নিয়ে কাজ করার। কিভাবে ব্যাটসম্যান আর কন্ডিশন বুঝে বল করতে হয়, এসব ভাবনাও এরমধ্যেই পড়ে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি এসেছি এই ভাবনা-প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে। এটা হতে পারে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নেয়ার বার্তাটা পৌঁছে দিতে চাই। নিউজিল্যান্ডে ওরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তা খুবই উপকারে আসবে। ভারত আর শ্রীলঙ্কা তার প্রভাব মিলতেও পারে। এরপর আমাদের সামনে আছে ইংল্যান্ডে খেলা। তিন ধরনের সফরের ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশন নিয়ে কাজ করতে হবে।’ পেসারদের শেখার প্রবণতাও অনেক দেখছেন ওয়ালশ। বলেছেন, ‘তারা আমাকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছে। আমি এমনটাই চাই। সামনের দিকে তাদের আমি অন্য ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেব। হেড কোচ আমাকে আগেই বলেছিলেন, ফাস্ট বোলাররা এখানে (বাংলাদেশে) খুব বেশি বোলিংয়ের সুযোগ পায় না। দেশের বাইরের জন্য তাদের তৈরি করতে হবে। এটাকেই আমি আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এটা নিয়েই কাজ করছি। কোচের দিক থেকে খুবই সহযোগিতা পাচ্ছি। কোচিং স্টাফরাও সহযোগিতা করে। আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল এই টেস্ট সফরের (নিউজিল্যান্ড) জন্য পেসারদের যতটা সম্ভব প্রস্তুত করে তোলা। অন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সামনে থাকা টেস্টগুলো। এ দুটো চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগুচ্ছি। পেসারদের সফল করে তোলার ব্যাপারটি আমি ব্যক্তিগতভাবেও নিয়েছি। শেষের দিকে গিয়ে যেন বলতে পারি, ছেলেরা ভাল করতে পেরেছে।’ সঙ্গে ওয়ালশ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বেশ উপভোগ করছি। আমি খুশি যে দায়িত্বটা নিতে পেরেছি। বাংলাদেশে প্রচুর প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার দেখলাম। তাদের নিয়ে কাজ করাটা দারুণ চ্যালেঞ্জের। আমি আশাবাদী যে, শেষ পর্যন্ত কিছু টপ কোয়ালিটির ফাস্ট বোলার তৈরি করতে পারব। এ ছেলেগুলোর অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। তারা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভালই সামাল দিয়েছে।’ সামনে পেসারদের কঠিন সময় আসছে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। এরপর ইংল্যান্ডে গিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা, তারপর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা আছে। পেসারদের চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হবে। তাদের নৈপুণ্যের দিকে দল তাকিয়েও থাকবে।
×