ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাইরেসি রোধে ডিডিএমএলের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

পাইরেসি রোধে ডিডিএমএলের  উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশীয় সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান গান, নাটক ও সিনেমার শত শত এ্যালবাম এক সময় বাজারে দেদার বিক্রি হতো। কিন্তু আধুনিক যুগে তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ সরবরাহের ফলে ডিভাইসের পরিবর্তন ও পাইরেসির কারণে বাংলাদেশের মিউজিক ও চলচ্চিত্র সেক্টর চরমভাবে ক্ষতির মুখে পরেছে। নিয়ন্ত্রণহীন অবৈধ পন্থার কারণে মিউজিক ইন্ডাস্ট্র্রি ও চলচ্চিত্র সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে গীতিকার, সুরকার, শিল্পী, পরিচালক ও কলা কুশলীরাও তাদের পারিশ্রমিক পাচ্ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে ২০০০ সালে তৎকালীন সরকার কপিরাইট আইন গঠন এবং ২০০৫ সালে এর সংশোধন করে ৮২ ধারার মাধ্যমে পাইরেসি নির্মূল করার উদ্যোগ নেয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে র‌্যাবকে আহ্বায়ক করে চলচ্চিত্রে অশ্লিলতা ও পাইরেসি বিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করে দেশব্যাপী পাইরেসি বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে পাইরেসি রোধ হলেও প্রযুক্তি ও ডিভাইসের পরিবর্তনের কারণে পাইরেসি নির্মূল করা যায়নি। কারণ সারা দেশে লাখ লাখ কম্পিউটারের মাধ্যমে ডাউনলোড দোকান থেকে বৈধ মালিকের অনুমতি ছাড়াই হল প্রিন্ট সিনেমা ও অরজিনাল সিডি থেকে গান কপি করে বিক্রি হতে থাকে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৈধ মালিকরা। এ অবস্থায় এ খাতের ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে ডিজিটাল মিউজিক মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের (ডিএমএমএল) উদ্যোগে এক কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। এই কর্মসূচীর আওতায় ডিডিএমএল অনুমোদিত গান, নাটক ও সিনেমা সংশ্লিষ্ট প্রযোজকের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের এজেন্ট করে বৈধ মালিক ও তাদের প্রযোজিত গান সিনেমা, নাটক বিক্রি করবে। এমন তথ্য জানিয়েছে ডিডিএমএলের এমডি শহীদুল ইসলাম টিটু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস সচেতন দোকান মালিক ও সরকারের সহযোগিতা পেলে আগের মতো আবারও প্রতি মাসে শত শত গানের এ্যালবাম ও বাংলাদেশী সিনেমা বৈধ সিডি, ডিভিডি বাজারে প্রকাশ করা যাবে। পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ পরিবার বেঁচে যাবে। বাংলা গান ও সিনেমা ব্যবসার হারানো সুদিন ফিরে আসবে বলে তিনি মনে করেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
×