ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে সঞ্চয়পত্রের সুদ কমানোর উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে সঞ্চয়পত্রের সুদ কমানোর উদ্যোগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে আবারও সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের সুদহার সার্বিক বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা ও করণীয় ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিশেষভাবে দেশের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার ও ব্যাংকমুখী করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নীতিনির্ধারণী ঠিক করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ কমিটি একটি বৈঠক সম্পন্ন করেছে। আবার সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার চায় পেনশনার, নারী ও বয়স্ক জনগোষ্ঠী যারা সঞ্চয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাদের সুবিধা অব্যাহত থাকুক। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়, তা পর্যালোচনা করবে কমিটি। পাশাপাশি সুদহার কমালে এর প্রভাবসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে কাজ করবে কমিটি। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জুনে পাঁচ ও তিন বছর মেয়াদী পারিবারিক ও পেনশনসহ বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের সুদহার প্রতি ক্ষেত্রে দেড় থেকে ২ শতাংশ কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রজ্ঞাপনের আগে পাঁচ বছর মেয়াদী পারিবারিক ও পেনশন সঞ্চয়পত্র কিনলে সরকার ১৩ দশমিক ৪৫ ও ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ হারে সুদ দিত। প্রজ্ঞাপন অনুসারে পাঁচ বছর মেয়াদী পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১৩ দশমিক ৪৫ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ, পাঁচ বছর মেয়াদী পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১৩ দশমিক ১৯ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং তিন বছর মেয়াদী তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৫৯ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে তিন বছর মেয়াদী ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের ক্ষেত্রে ১৩ দশমিক ২৪ থেকে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১৩ দশমিক ১৯ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
×