ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশী বিনিয়োগ না বাড়লে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না

প্রকাশিত: ২২:২২, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

বিদেশী বিনিয়োগ না বাড়লে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ দেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ না বাড়লে উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান। বুধবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে ডিসিসিআইয়ের নব নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সৌজন্য সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ডিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশে বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগ খুব কম। দেশে এফডিআইয়ের পরিমান ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ ভিয়েতনামের মতো দেশে এটি ১২ বিলিয়ন ডলার। আমাদের এফডিআই কেন আশানুরুপ হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিদেশী বিনিয়োগ না বাড়াতে পারলে আমাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে না। তিনি বলেন, আমাদের এখানে কষ্ট অব ডুয়িং বিজনেস প্রক্রিয়া আরো কমাতে হবে। অবকাঠামোগত সমস্যা, ব্যাংক ঋণের সুদ ও নানা ধরনের হিডেন চার্জ আমাদের খরচের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্পেশাল ইকোনোমিক জোন করছে সরকার। এই ইকোনোমিক জোনগুলোতে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন কাচঁমাল এ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সরবারের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। এতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত বিকাশিত হবে। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উন্নয়ন ভীষণভাবে প্রয়োজন। আবুল কাসেম খান বলেন, পাটপণ্য রপ্তানিতে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। এতে দেশের পাট শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এটি সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাপেক্সকে শক্তিশালী করতে হবে।স্থানীয় কয়লার ব্যবহার আগামী ৫০ বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম বলে জানান তিনি। এর আগে ডিসিসিআইয়ের নব নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ শিল্পমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় শিল্পমন্ত্রণালয়ের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×