ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় প্রোটিয়ারা

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২ জানুয়ারি ২০১৭

সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় প্রোটিয়ারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পোর্ট এলিজাবেথে প্রথম টেস্টে লঙ্কানদের উড়িয়ে দেয়ার পর এবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কেপ টাউনের গতিময় পিচে পেস আক্রমণ দিয়ে অতিথিদের ঘায়েল করার পরিকল্পনা করছে প্রোটিয়ারা। স্বাগতিক অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসিস এমনটাই জানিয়েছেন। আর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সফরকারী সেনাপতি এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করছেন। ডুপ্লেসিস বলেন ‘আমাদের পেস আক্রমণ দুর্দান্ত, বিশ্বসেরা। ভারনন ফিল্যান্ডার, কাইল এ্যাবট ও কাগিসো রাবাদা তাদের সামর্থ্য প্রমাণ করেছে। তাদের নিয়ে কোন সংশয় থাকতে পারে না। নিউজিল্যান্ডসের পীচও পেসবান্ধব, তাই দ্বিতীয় টেস্টে পেস দিয়ে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলতে চাই। ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ দুই সিরিজের দু’টিতেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেপটাউনে জিতে গেলে প্রোটিয়াদের সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক পূর্ণ হবে। অন্যদিকে ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ম্যাথুজ। লঙ্কাপতি বলেন, ‘প্রথম টেস্টে ব্যাটসম্যানরা খুবই খারাপ করেছে। কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। টেস্ট জিততে হলে অন্তত তিন-চারটি বড় ইনিংস প্রয়োজন। কিন্তু আমরা সেটি পারিনি। আমাদের ব্যাটসম্যানদের ভাল খেলার সামর্থ্য আছে। সেটি পরের টেস্টে প্রমাণ করার পালা। কারণ সিরিজে টিকে থাকতে হলে ভাল খেলে ম্যাচ জিততে হবে।’ প্রথম টেস্টে মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতা শ্রীলঙ্কাকে ডুবিয়েছে। অতিথিরা অলআউট হয়েছে ২০৬ ও ২৮১ রানে। এজন্য ব্যাটসম্যানদের ধৈর্যের অভাকে দায়ী করেছেন অধিনায়ক। ম্যাথুজ বলেন, ‘এখানকার উইকেটে শট নির্বাচন অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রোটিয়া বোলিং আক্রমণ এমন যে, মনোযোগটাই প্রধান। এই কন্ডিশনে এমন বোলিংয়ের বিপরীতে রান করাটা সবসময় কঠিন। ব্যাটসম্যানদের খুব কম সুযোগ আসে। বাজে বলের জন্য লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। ধৈর্য ধরে মনোনিবেশ করে টিকে থাকতে হয়। দ্রুত ভুল শুধরে সামনে তাকাতে হবে।’ দক্ষিণ আফ্রিকার পেস-তোপে পোর্ট এলিজাবেথে প্রথম টেস্টে দাঁড়াতেই পারেনি লঙ্কানরা। ফলে ২০৬ রানের বিশাল হারে সিরিজ শুরু করে সফরকারীরা। অবশ্য প্রথম ইনিংসে দারুণ লড়াই করেছিলেন অতিথি পেসার সুরাঙ্গা লাকমল। ৬৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানেই আটকে রেখেছিলেন তিনি। এরপর দুই স্বাগতিক পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার ও কাইল এ্যাবটের তোপের মুখে দিশেহারা লঙ্কানরা ২০৫ রানে গুটিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। ৪০৬ রান তুলে প্রতিপক্ষকে সামনে ৪৮৮ রানের টার্গেট দেয় তারা। অবিশ্বাস্য লক্ষ্যে ২৮১ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হারে ম্যাথুজের দল। পেসার কাগিসো রাবাদা (৩/৭৭) ও স্পিনার কেশব মহারাজ (৩/৮৬) দুর্দান্ত বল করেন। ১৯৯৩ থেকে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এ পর্যন্ত মুখোমুখি ২৩ টেস্টের ১২টিতে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। শ্রীলঙ্কা ৫টিতে। ৬টি টেস্ট ড্র হয়। ২০১২তে সর্বশেষ ঘরের মটিতে তিন টেস্টের সিরিজে অতিথিদের ২-১এ হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। সিরিজ তো দুরের কথা, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এ পর্যন্ত ওই একটি মাত্র টেস্টই জয়ের মুখে দেখে লঙ্কানরা।
×