ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সুদিন হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছে এসি মিলান। গত পাঁচ বছরে তাদের শোকেসে জমা পড়েনি কোন ট্রফি। অবশেষে ২০১১ সালের পর প্রথম শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাস করেছে মিলান। শুক্রবার রাতে ইতালিয়ান সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভিনচেঞ্জো মনটেল্লার দল। ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে। এতে জুভেন্টাসের মুখোমুখি হয় এসি মিলান। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জুভেন্টাসকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাস করে মিলান। নির্ধারিত ৯০ ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকে। মূলত গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমার দুর্দান্ত নৈপুণ্যের কারণেই ফেবারিট জুভদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মিলান। গোটা ম্যাচে একাধিকবার দলকে বাঁচানোর পর টাইব্রেকারেও প্রতিপক্ষের শেষ শট রুখে দিয়ে নায়ক বনে যান ১৭ বছর বয়সী এই সম্ভাবনাময় গোলরক্ষক। এই জয়ে জুভেন্টাসের সর্বোচ্চ সাতটি ইতালিয়ান সুপার জয়ের রেকর্ডে ভাগ বসাল মিলান। নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা ১-১ গোলের সমতায় শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে কোনো গোল হয়নি। ম্যাচের ১৮ মিনিটে জিওর্জিও চিয়েল্লিনির গোলে এগিয়ে যায় গত আসরের শিরোপা জয়ী জুভেন্টাস। ২০১১ সালে সর্বশেষ এই শিরোপা জেতা এসি মিলানকে ৩৪ মিনিটে সমতায় ফেরান ইতালির মিডফিল্ডার জাকোমো বোনাভেনটুরা। বাকি সময়ে আর কোন গোল হয়নি। অতিরিক্ত সময়েও একই অবস্থা। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ভাগ্য পরীক্ষায় জুভেন্টাসের দুই ফরোয়ার্ড মারিও মানজুকিচ ও পাওলো ডিবালা গোল করতে ব্যর্থ হন। ক্রোয়েশিয়ার মানজুকিচ পোস্টে মারেন। আর আর্জেন্টিনার ডিবালার শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমা। অন্যদিকে জানলুকা লাপাডুলার নেওয়া প্রথম পেনাল্টি সহজে রুখে দেন জুভেন্টাস অধিনায়ক ও গোলরক্ষক জিয়ানুইজি বুফন। তবে বোনাভেনটুরা, ইউরাই কুচকা, সুসো ও মারিও পাসালিচ গোল করলে রোমাঞ্চকর জয় পায় মিলান। ম্যাচ শেষে ডোনারুমা যখন করছেন শিরোপা উদযাপন অন্যপ্রান্তে তখন হতাশ দেখা যায় ইতালিয়ান কিংবদন্তি গোলরক্ষক বুফনকে। বিশ্বসেরা গোলরক্ষকদের অন্যতম বুফন, যিনি ডোনারুমার চেয়ে ২১ বছরের সিনিয়র। অবশেষে দীর্ঘদিন পরে হলেও বুফন দেখলেন তার যোগ্য উত্তরসূরিকে। গত বছর তৎকালীন এসি মিলান কোচ সিনিসা মিহাইলোভিচ ডোনরুমাকে তার প্রথম একাদশে ঠাঁই দেন। ১৬ বছর বয়সে সিরি এ খেলা তাও আবার এসি মিলানে, ব্যাপক আলোচনা হয় এই কিশোরকে নিয়ে। কিন্তু সেই কিশোর যে আসলেই আগামীর তারকা তার প্রমাণ রাখতে তিনি দলকে এনে দিলেন শিরোপা। অসাধারণ কীর্তিগাথার সারথি হতে পেরে বিস্মিত ও অভিভূত ডোনারুমাও। ম্যাচ শেষে তিনি বলেণ, আমি এখন হতবাক। কি বলল জানি না। আমার মাথা কাজ করছে না। তবে আমি ভীষণ খুশি। দলের শিরোপা জয়ে আমার অবদান আছে ভাবতেই ভাল লাগছে। মিলান কোচ মনটেল্লা ম্যাচ শেষে বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম শুরু থেকেই। এই জয় আমাদের প্রয়োজন ছিল। ছেলেরা অসাধারণ খেলেছে। আমি খুব খুশি। গোলরক্ষক ডোনারুমাকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে ভুল করেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে মনটেল্লা বলেন, পুরো ম্যাচেই ও অসাধারণ খেলেছে। আমাদের ওর উপর ভরসা ছিল। ম্যাচে সে প্রমাণ দিয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে আরও ভাল করবে। হাতের মুঠোয় থাকা শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ জুভেন্টাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। তিনি বলেন, আমরা শুরুটা দারুণ করেছিলাশ। প্রথম ৩০ মিনিট পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু পরের ২০ মিনিট আমরা বাজে খেলেছি। এই সুযোগটাই প্রতিপক্ষ নিয়েছে।
×