ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় ক্রিকেট লীগ

তিনদিনেই জিতে গেল খুলনা ও ঢাকা বিভাগ

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

তিনদিনেই জিতে গেল খুলনা ও ঢাকা বিভাগ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন এলইডি টিভি ১৮তম জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) চতুর্থ রাউন্ডে তিনদিনেই খুলনা ও ঢাকা বিভাগ জিতে গেল। প্রথম স্তরে বরিশালকে ১০ উইকেটে হারাল খুলনা। ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতল ঢাকা বিভাগ। দ্বিতীয় স্তরে রংপুরের কাছে হারের শঙ্কায় চট্টগ্রাম। তৃতীয় দিনের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান ফরহাদ হোসেনের (১৩২) শতকে রাজশাহীর বিপক্ষে সিলেটের অবস্থাও বেহাল। প্রথম স্তর ॥ বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বরিশালকে ১৭১ রানে অলআউট করে দিয়ে দ্বিতীয় দিনে এনামুল হক বিজয় ও তুষার ইমরানের শতকে ৩৭১ রান করেছে খুলনা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে কোন উইকেট না হারিয়ে ১০ রান করে বরিশাল। ১৯০ রানে এগিয়ে থাকে খুলনা। আশিকুজ্জামানের (৬/৫৭) বোলিং তোপে ২১১ রানের বেশি করতে পারেনি। খুলনার সামনে জিততে ১২ রানের টার্গেট দাঁড় হয়। বিনা উইকেটে ১৫ রান করে বিশাল ব্যবধানে জিতে খুলনা। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে অভিষেকেই ম্যাচসেরা হন প্রথম ইনিংসেও ৩ উইকেট নেয়া আশিকুজ্জামান। ফতুল্লায় দুই ঢাকার লড়াইয়ে যে ঢাকা মেট্রোর বিপদ আছে, তা আগেই বোঝা গেছে। দলটি প্রথম ইনিংসে ১৬৬ রান করার পর ঢাকা বিভাগকে ১৮৭ রানে গুটিয়ে দেয় ঠিক। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ২৭ রানেই হারিয়েছিল ৪ উইকেট। তৃতীয় দিন ১২৫ রান করতেই অলআউট হয়ে যায়। ঢাকা বিভাগের সামনে জিততে ১০৫ রানের টার্গেট দাঁড় হয়। তারাও এই রান করতে গিয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। তবে শেষপর্যন্ত ১০৬ রান করে জিতে যায়। দ্বিতীয় স্তর ॥ সিলেটে রংপুরের চমক শুরুতেই মিলেছে। সোহরাওয়ার্দীর শতকে প্রথম ইনিংসেই ৪৫০ রান করেছে রংপুর। চট্টগ্রাম দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ২ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান করে। রংপুর দ্বিতীয় দিনে ৩৬৮ রানের বড় ব্যবধানেই এগিয়ে থাকে। ফলোঅন এড়াতেই চট্টগ্রামের বাকি ছিল ১৬৯ রান। বোঝাই যাচ্ছিল, এ রান অতিক্রম করতেই হিমশিম খাবে চট্টগ্রাম। তাই হলো। তৃতীয়দিন ১৮২ রানেই অলআউট হয়ে গেল চট্টগ্রাম। সোহরাওয়ার্দী বল হাতেও ৩ উইকেট নেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে চট্টগ্রাম। এখনও ১১৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে চট্টগ্রাম। বিপদেই পড়ে আছে। বগুড়ায় দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত রাজশাহী ও সিলেটের মধ্যে দুর্দান্ত লড়াই চলছিল। রাজশাহী ২০৪ রানে অলআউট হয়। জবাবে সিলেটও প্রথম ইনিংসে ২১৯ রানে গুটিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ৩ উইকেট হারিয়ে জুনায়েদ সিদ্দিকীর অপরাজিত ৪২ রানে ৯২ রান করেছিল রাজশাহী। ফলে ৭৭ রানে এগিয়ে রয়েছিল। তৃতীয় দিনের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান ফরহাদ হোসেনের ১৩২ রান ও জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৭৮ রানে ৩৪৪ রান করে রাজশাহী। ৩২৯ রানে এগিয়ে যায়। সিলেট এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ২৮ রান করে। সিলেটের জিততে ৩০২ রান লাগবে। রাজশাহীর জিততে লাগবে ৯ উইকেট।
×