অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রফতানিকারক দেশ বাংলাদেশ। অথচ ওভেন পোশাকের সিংহভাগ কাপড় আমদানি করতে হচ্ছে বিদেশ থেকে। ফলে এ খাতে বিপুল পরিমাণ রফতানি অর্ডার যেমন হাতছাড়া হচ্ছে, তেমনি রফতানি আয়ের বড় অংশ চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, বস্ত্র খাতে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও মূলধন, জমি ও জ্বালানি সঙ্কটে সম্ভব হচ্ছে না।
তৈরি পোশাক রফতানির অগ্রযাত্রার সঙ্গে সহযোগী শিল্প হিসেবে ৮০’র দশকে যাত্রা শুরু বস্ত্র খাতের। বর্তমানে নিটওয়্যার পোশাকের ৮৫ ভাগ কাপড় সরবরাহ করছে স্থানীয় বস্ত্র কারখানা। কিন্তু সিংহভাগ কাপড় ও এক্সেসরিজ বাইরে থেকে আমদানি করতে হওয়ায় ওভেন পোশাক রফতানির ব্যাপক সম্ভাবনা হাতছাড়া হচ্ছে বাংলাদেশের। বৈশ্বিক চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়েনি বস্ত্র কারখানা। শিল্প মালিকরা জানান, গ্যাস ও বিদ্যুত না পাওয়ায় নতুন শিল্প স্থাপন তো দূরের কথা, উৎপাদনে আসতে পারছে না অনেক বস্ত্র কারখানা। এছাড়া ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের কারণে বস্ত্র খাতে কাক্সিক্ষত বিনিয়োগ হচ্ছে না। এজন্য বিদেশী ঋণ সহজলভ্য করার দাবি উদ্যোক্তাদের।
২৯ জেলায় সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা ওয়ালটন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যথাযথ নীতিমালা অনুসরণের মাধ্যমে সর্বোচ্চ পরিমাণ কর পরিশোধ করায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক সেরা করদাতার সম্মাননা অর্জন করেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ফার্ম ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ পরিমাণ কর প্রদান করায় এনবিআর ৫টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে। যার মধ্যে ওয়ালটন মাইক্রো-টেক কর্পোরেশন প্রথম এবং ওয়ালটন প্লাজা দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করে। যার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছ থেকে ট্যাক্স কার্ড ও সনদ লাভ করে। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ পরিমাণ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রদান করায় ২৯টি জেলায় সেরা ভ্যাটদাতার সম্মাননা অর্জন করেছে ওয়ালটন প্লাজা। ব্যবসা ক্যাটাগরিতে সারাদেশে মোট ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কার দেয়া হয়। যার মধ্যে ওয়ালটন প্লাজাই পেয়েছে ২৯টি। সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন জাতীয় রাজস্ব ভবনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় আয়কর সপ্তায় ওয়ালটনসহ পাঁচটি ফার্মকে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা সনদ দেয়া হয়।