ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট পরিদর্শনে যাচ্ছেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা

তিন বছরে অবৈধভাবে আসা ২৮ মণ স্বর্ণ জব্দ

প্রকাশিত: ০৫:১১, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

তিন বছরে অবৈধভাবে আসা ২৮ মণ স্বর্ণ জব্দ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত তিন বছরে অবৈধভাবে আসা ২৮ মণ স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা হয়েছে। দেশের মানুষকে এসব স্বর্ণের প্রকৃত অবস্থা জানতে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট পরিদর্শনে যাবেন। সঙ্গে নেয়া হচ্ছে স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রা পরীক্ষার বিশেষজ্ঞ ইউনিটও। জানা গেছে, পাচারকালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দ করা স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রা আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। জব্দ করা ওইসব স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রার বর্তমান অবস্থা পরিদর্শনের অনুমতি চেয়ে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে চিঠির জবাব দেয়ার কথা রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া সময় অনুযায়ী গোয়েন্দাদের একটি প্রতিনিধি দল ভল্ট পরিদর্শনে যাবে বলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উর্ধতন এক কর্মকর্তারা জানান, ১৮ ক্যারেটের যেসব স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে পাঠানো হয়, তা বিভিন্ন সময়ে সরকারী অনুমতিক্রমে বিক্রি করা হয়। কিন্তু ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের যে বারগুলো জব্দ করা হয়, তা কখনই বিক্রি করা হয় না। এছাড়া বৈদেশিক যেসব মুদ্রা জব্দ করা হয়, সেগুলোও কখনও বিক্রি বা বদল করা হয় না। এসব মুদ্রা স্মারক নম্বরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে পাঠানো হয়। এসব স্বর্ণ ও মুদ্রার প্রকৃত অবস্থা কী, তা জানতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট পরিদর্শনের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, দাফতরিকভাবে বিষয়টি এখনও আমার জানা নেই। হয়তো শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের পক্ষ থেকে আবেদনটি মতিঝিল অফিসে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে আমার কাছে পাঠালে আমি জানাতে পারব। সূত্র আরও জানায়, গত তিন বছরে অবৈধভাবে আসা স্বর্ণের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বিদেশী মুদ্রাও জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এর মধ্যে ২১ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২০৫ সৌদি রিয়াল ও ৩১ হাজার ৫৭ দিরহাম জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। ২০১৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর পল্টনের একটি বাসা থেকে জব্দ করা হয় ৩৯ কোটি টাকা মূল্যমানের দেশী-বিদেশী মুদ্রা। গত ১৫ জুলাই বেনাপোল চেকপোস্টে তিন যাত্রীর কাছ থেকে ৪ হাজার ৯০০ কানাডিয়ান ডলার, ৯৩ হাজার ৪৪৯ মার্কিন ডলার ও ৩ লাখ ৫৩ হাজার ভারতীয় রুপী জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
×