ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শীতের অতিথি

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ১৯ নভেম্বর ২০১৬

শীতের অতিথি

পাখিদের আকাশে কোন সীমান্তরেখা নেই। তারা অনায়াসে উড়ে বেড়ায় এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে। এক দেশ থেকে আরেক দেশে। খাদ্যের সন্ধানে ব্যস্ত থাকে তারা। ঝড়, বৃষ্টি, তুষারপাতসহ প্রকৃতির হাজারও প্রতিকূলতা থেকে বাঁচতে তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার মাইল দূরের দেশে। প্রাণী বিজ্ঞানীদের মতে, উপমহাদেশে ২ হাজার ১০০টি প্রজাতির পাখি আছে। তবে এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩শ’ প্রজাতির পাখি হিমালয় পেরিয়ে আমাদের দেশে চলে আসে। এরা শীতের অতিথি পাখি। প্রকৃতিগতভাবেই এ পাখিদের শারীরিক গঠন খুব মজবুত। এরা সাধারণত ৬০০ থেকে ১৩০০ মিটার উঁচু দিয়ে উড়ে যায়। ছোট পাখিদের ঘণ্টায় গতি ৩০ কিলোমিটার। দিনে-রাতে এরা প্রায় ২৫০ কিলোমটার উড়তে পারে। বড় পাখিরা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার অনায়াসে উড়তে পারে। আশ্চর্যের বিষয় এসব পাখি তাদের গন্তব্যস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে। পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিসেম্বর-জানুয়ারি এ দু’মাসে সবচেয়ে বেশি পাখি এদেশে আসে। বাতাসে শীতের আমেজ লাগতেই আমাদের হাওড়, বিল, চরাঞ্চলে দেখা যায় হাজার হাজার অতিথি পাখি। ইংল্যান্ডের নর্থ হ্যামশায়ার, সাইবেরিয়া কিংবা এন্টার্কটিকার তীব্র শীত থেকে বাঁচতে এরা পাড়ি জমায় দক্ষিণের কম শীতের দেশে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব পাখির রয়েছে বংশগত সূত্রে পাওয়া বিশেষ দিক নির্ণায়ক ক্ষমতা। শীত মৌসুমে এদেশে আসা পাখিদের মাঝে সোনাজঙ্গ, খুরুলে, কুনচুষী, বাতারণ, শাবাজ, জলপিপি, ল্যাঞ্জা, রাজহাঁস, বালিহাঁস, হরিয়াল, দুর্গা, টুনটুনি, রাজশকুন, লালবন মোরগ, তিলে ময়না, রামঘুঘু, জঙ্গী বটের, ধূসর বটের, হলদে খঞ্চনা, কুলাউ ইত্যাদি প্রধান। গ্রীষ্মকালে সুমেরুতে বাস করে এবং বাচ্চা দেয় হাঁস জাতীয় এমন পাখি শীতকালে বাংলাদেশে আসে। লাল বুকের ক্লাইক্যাসার পাখি আসে ইউরোপ থেকে। আর অন্য সব পাখিরা আসে পূর্ব সাইবেরিয়া থেকে। আকিব আহমেদ গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল এ্যন্ড কলেজ, ৯ম শ্রেণী
×