ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রুনা লায়লার জন্মদিন আজ

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৭ নভেম্বর ২০১৬

রুনা লায়লার জন্মদিন আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী, বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন আজ। ১৯৫২ সালের আজকের দিনে তিনি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ পাঁচ দশকে রুনা লায়লা অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে সাফল্যের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। লোকজ, পপ, রক, গজল, আধুনিক সব ধাঁচের গানই গেয়েছেন তিনি। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি, পাঞ্জাবিসহ ১৮টি ভাষায় রুনা লায়লার গানগুলো মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছে শ্রোতারা। তাঁর গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। সঙ্গীত জীবনে এরই মধ্যে বর্ণাঢ্য ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই কণ্ঠশিল্পী। অনন্য কণ্ঠ, অধ্যবসায়, একাগ্রতা, চর্চা, সময়জ্ঞান- সব মিলিয়ে এতো দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসেও তার তুলনা শুধু তিনিই। চলচ্চিত্রের গানে অনবদ্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রুনা। এ ছাড়া পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। ১৯৭৭ সালে আবদুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর তিনি একই সম্মাননায় ভূষিত হন ‘এ্যাকসিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাকের জন্য। দেবু ভট্টাচার্যের সুরে করাচী রেডিওতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রথম রুনা লায়লার কণ্ঠে বাংলা গান শোনা যায়। ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’,‘আমি নদীর মতো কত পথ পেরিয়ে’ গান তার কণ্ঠে শোনা যায়। তবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রুনা লায়লা প্রথম প্লে-ব্যাক করেন ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’ চলচ্চিত্রে সুবল দাসের সুর সঙ্গীতে। তখন তিনি পাকিস্তানে ছিলেন। ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে’ গানটিতে কণ্ঠ দেন। দেশে আসার পর ১৯৭৬ সালে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন নূরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘জীবন সাথী’ চলচ্চিত্রে। এর সুর সঙ্গীত করেছিলেন সত্য সাহা। রুনা লায়লার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছিলেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। দেড় ডজন ভাষায় গান গাইতে পারেন রুনা লায়লা যা বিশ্ব সঙ্গীত ভুবনে সত্যিই বিরল। এদিকে গত ৫ নবেম্বর সিটি ব্যাংক এন এ কর্তৃক বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হন। জন্মদিন প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ছোটবেলায় জন্মদিন খুব আনন্দের সঙ্গে হতো। বন্ধুবান্ধব আসত, কেককাটা হতো- সবমিলিয়ে খুব আনন্দ হতো। এখন তো আর তা করা হয় না। এখন জন্মদিনে নিজেদের পরিবারের সদস্যরাই নিজেদের মতো উদ্যাপন করি। তবে আমার জন্মদিন এলেই আমার মা’র কথা খুব মনে পড়ে।
×