ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

শেষ হাসি কে হাসবেন

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ৭ নভেম্বর ২০১৬

শেষ হাসি কে হাসবেন

উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, সংশয় এখন কাজ করছে আমেরিকানসহ বিশ্ববাসীর মনে। শেষ হাসিটি কে হাসবেন? কিংবা আগামী চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউস কাকে বরণ করে নেবে?- বলতে গেলে সারা বিশ্ব এ নিয়ে এক ধরনের উৎকণ্ঠায়। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। আগামী চার বছরের জন্য মার্র্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন্ পথে চলবে, যুদ্ধ না শান্তি, সে প্রশ্নও মীমাংসিত হবে। এশিয়াবাসী বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যত নির্ধারণে কী ভূমিকা নেবেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সে নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। চলবে আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ পর্যন্ত। আগামীকাল ৮ নবেম্বর মঙ্গলবার (বাংলাদেশ সময় বুধবার) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের শূন্য পদেও নির্বাচন হবে। সিনেট নির্বাচনে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যালট পেপারে থাকছে। নির্বাচনে ভোট দেবেন চৌদ্দ কোটি তেষট্টি লাখ রেজিস্টার্ড ভোটার। কিন্তু এর মধ্যে দু’কোটি চল্লিশ লাখ ভোটার আগাম ভোট প্রদান করেছেন। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রীতি মেনে নির্ধারিত দিনের এক সপ্তাহ আগেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এবার এরই মধ্যে চৌদ্দ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ। প্রতি চার বছর অন্তর অন্তরই হয়ে থাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সাধারণ বিশ্বের বৃহত্তম শক্তিশালী দেশের পরবর্তী চার বছরের নীতি-নিয়ন্ত্রক কে হতে চলেছেন, তার ওপর নজর রাখে সারা বিশ্বই। তবে এবারের নির্বাচন অন্যবারের চেয়ে মৌলিকভাবে পৃথক। এ বছর মার্কিন নাগরিকরা শুধু নিজেদের দেশের প্রেসিডেন্টকেই নির্বাচিত করবেন না, আগামী বছরগুলোতে জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে বিশ্ব কোন্ পথে এগোবে, এক অর্থে তা-ও অনেকাংশেই নির্ধারিত হবে কালকের ভোটে। প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম দেখতে দেখতে দেশটির অধিকাংশ মানুষ এখন ক্লান্ত। নির্বাচনী প্রচারের চাপে একরকম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন এলে মানুষ এমনিতেই কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ে। তবে এবারের মতো এত চরম অবস্থা আগে কখনও দেখা যায়নি। তাছাড়া নির্বাচনী প্রচার ছিল খুবই নেতিবাচক। প্রতিদ্বন্দ্বীরা একে অন্যকে দুষছেন। মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলছেন। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। এসব কিছু মিলে মানুষের মনে এক নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। এমনকি অনেকে এই নির্বাচনী প্রচারের অত্যাচার এড়াতে কানাডায় চলে গেছেন। প্রার্থীরা একে অপরের ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবন নিয়ে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ, ব্যক্তি চরিত্র নিয়ে চূড়ান্ত টানাহেঁচড়া, লাগামহীন নোংরামি, নির্লজ্জ আক্রমণ, যৌন কেলেঙ্কারি আর অশালীনতার ছড়াছড়িÑ সব মিলিয়ে এবারের নির্বাচন মার্কিন নির্বাচনের ইতিহাসেই সবচেয়ে নোংরা অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে। মার্কিন নাগরিকরা এমন পরিবেশে অভ্যস্ত নয়। লাগাতার নির্বাচনী প্রচারের অশালীনতায় বলতে গেলে তাদের কর্ণকুহর প্রায়ই আক্রান্ত। এ পরিবেশ তাদের কাছে নেহাতই অসহনীয় হয়ে উঠেছিল, তারা চূড়ান্ত বিরক্ত ও ক্লান্ত বলে মত প্রকাশও করেছে। কাল মঙ্গলবার ভোটদান পর্ব শেষ হয়ে গেলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন, এমন ধারণা অনেকের। তবে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে, তা এখন স্পষ্ট নয়। যদিও এবারের নির্বাচন ভোটারদের কাছে নেহাতই একটি খারাপ রাজনীতির রিয়েলিটি শোতে পরিণত হয়েছে। দুই প্রার্থী কোন ইস্যুতে কী বলেছেন, তা অনেকেই জানতে পারেনি। কেননা, প্রার্থীরা একে অপরকে কেবল অশালীন আক্রমণ করেই গেছেন। অবশ্য এবারের নির্বাচন বিশেষ দুটি কারণে বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেকে। প্রথম কারণটি হচ্ছে, নির্বাচনী প্রচারের ভব্যতা-সভ্যতার অভাব। দ্বিতীয়ত. দুই প্রার্থীর মধ্যে পার্থক্য। একদিকে ক্ষমতা কাঠামোর বিরোধী ব্যবসায়ী রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, অন্যদিকে মার্জিত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। যিনি ওবামা প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন প্রথম দফায়। এবারের নির্বাচনী প্রচারে মার্কিন সমাজের এক গভীর ত্রুটি বেরিয়ে আসছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মত প্রকাশ করেছেন। এতে দেশটির বৈশ্বিক সুনাম ক্ষুণœ হয়েছে। এটা বাস্তব যে, মার্কিন রাজনীতি ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবিরেই বিভক্ত। তবে এই দুই দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও দ্বিদলীয় বিবাদের মতোই গভীর। যে কারণে রিপাবলিকান পার্টির অনেকেই ট্রাম্পের প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার শুধু নয়, ট্রাম্প যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন, সে কথা বলতেও তারা ছাড়েননি। নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবা মার্কিনীদের মজ্জাগত অভ্যাস। কিন্তু নির্বাচনী প্রচার সেই শ্রেষ্ঠত্বকে ম্লান করে দিয়েছে বলা যায়। ট্রাম্পের ভাষা মার্জিত নয় কোনভাবেই। জনগণের সামনেই তিনি অবলীলায় বলেছেনও হিলারির চেহারা তার পছন্দ হয়নি। হিলারি মোহিত করতে পারেননি তাকে। ট্রাম্পের মুখ বরাবরই বাচালতায় পূর্ণ। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে পনেরো জন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। হিলারি মন্তব্য করেছিলেন যে, মহিলাদের যৌন হেনস্থা এবং তাদের ধারাবাহিকভাবে অসম্মান করাটা ট্রাম্পের ত্রিশ বছরের ঐতিহ্য। ট্রাম্পের একটার পর একটা বিতর্কে ভয়ঙ্কর খারাপ পারফরমেন্স, নিম্নরুচির কথাবার্তা, কর-ফাঁকির ঢাক পেটানো, হেরে গেলে নির্বাচনের ফলাফল মেনে না নেয়ার মতো মূর্খ হুমকি, টুইটারে এক নাগাড়ে অপমানজনক উক্তি, যৌন অপরাধের লাগাতার অভিাযোগÑ সব মিলিয়ে বিশ্ববাসীকেও বিস্মিত করেছে। আর এসব ভোটে তার হেরে যাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। কাদা ছোড়াছুড়িতেই ঠিক হতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউসের ভবিষ্যত। প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রথম মেয়াদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার ব্যবহার নিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন হিলারি। ওই বিষয়ে পুনরায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে এই পদক্ষেপ নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন উঠেছে। একের পর এক ই-মেইল নিয়ে গৃহীত পদক্ষেপ হিলারিকে কোণঠাসা করেছে। নজিরবিহীনভাবে পুনরায় তদন্তের ঘোষণাদাতা সংস্থার প্রধান জেমস কোমিবু ঘোষণার পর হিলারির জনপ্রতিয়তাকে ম্লান করে দিচ্ছেÑ এমন প্রচারও রয়েছে। কোমি কেন এই চিঠি লিখেছেন, দীর্ঘদিনের অনুসৃত ঐতিহ্য ভঙ্গ করেছেন। এবং নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে এসে তদন্ত ঘোষণাকে দলীয় রাজনীতিতে কোমির মদদদানের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনপূর্ব মুহূর্তে এমন ঘটনার জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। নির্বাচনের ষাট দিন আগে থেকে এমন কিছু করা যাবে না, যা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। কোমির আচরণ রাজনৈতিক বিবেচনাপ্রসূত হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। রিপাবলিকানরা এই পদক্ষেপে খুশি হয়েছে অবশ্যই। ডেমোক্র্যাটরা প্রশ্ন তুলেছেন, সত্তর দশকে আবাসন ক্ষেত্রে ট্রাম্পের বৈষম্য বা কর ফাঁকি নিয়ে এফবিআই কেন নথি প্রকাশ করছে না। কোমির বিরুদ্ধে দ্বিচারিতাব অভিযোগ এসেছে। অথচ কয়েক মাস আগে এই কোমিই নির্বাচনে এগিয়ে এসেছে বলে রুশ হ্যাকারদের নিয়ে তথ্য প্রকাশে আপত্তি জানিয়েছিলেন এই ঘটনা জানান দিয়েছে। এফবিআইতে হাঙ্গামা ও নৈরাজ্য বিরাজ করছে। ওয়াশিংটন সদর দফতর ও নিউইয়র্ক অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব চরম আকার যে ধারণ করেছে, এই ঘটনা তারই প্রতিফলন। প্রভাবশালী একজনকে রাজনৈতিকভাবে অসুবিধায় ফেলতে অথবা কাউকে রক্ষা করতে এফবিআই তার ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বিভিন্ন তদন্ত চালাচ্ছে। তারা ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের দুর্নীতি নিয়েও তদন্ত করেছে। এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বলা হয়ে থাকে সারাবিশ্বের প্রেসিডেন্ট। তাই দেশটির প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন, তিনি কেমন ব্যক্তি তাও বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ওবামা হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পৃথিবীর ভাগ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। হিলারিকে ভোট না দিলে সেই ঝুঁকিতে পড়তে হবে। আর ট্রাম্প মার্কিনীদের কষ্টার্জিত নাগরিক অধিকারের প্রতি হুমকিস্বরূপ। বিশ্বের ভাগ্য দোদুল্যমান অবস্থায় আছে। তার মতে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য। এই নির্বাচনের ওপর বিশ্বের ভবিষ্যতও নির্ভর করছে। বিগত এক বছরের দীর্ঘ নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের জরুরী বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন নীতির যে পথরেখার পক্ষে সওয়াল করেছেন, নির্বাচিত হয়ে সেসব নীতি বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করলে বর্তমান আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি শুধু আমূল বদলেই যাবে না, এক অনিশ্চিত উত্তালতাকে গ্রাস করার আশঙ্কা প্রবল। যার ঘূর্ণির আবর্তে প্রায় প্রতিটি দেশই জড়িয়ে পড়বে। ভেঙ্গে না পড়লেও টালমাটাল হবে ন্যাটো। কারণ ট্রাম্প মনে করেন ন্যাটো সদস্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থে বলীয়ান ও সুরক্ষিত, যা তিনি বদলে দিতে চান। নাফটা চুক্তি ঢেলে সাজাতে চান। অন্তত কিছুকাল মুসলমানদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ করা তার পরিকল্পনা। অভিবাসীদের উৎখাত করার কথাও বলেছেন। বোমাবর্ষণ করে আইএসআইকে সিরিয়া এবং ইরাক থেকে নিশ্চিহ্ন করা তার লক্ষ্য। আউটসোর্সিং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে মার্কিনীদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে তিনি বদ্ধপরিকর। বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রপ্রধান, কূটনীতিক, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, চিন্তাবিদ, এমনকি রিপাবলিকান পার্টিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ট্রাম্পের এই নীতিগত ঘোষণায় আতঙ্কিত হলেও মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা কোন অর্থেই উপেক্ষা করার মতো নয়। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি দীর্ঘকাল মার্কিন ক্ষমতার অলিন্দের মানুষ। ফার্স্টলেডি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিনেটের হয়ে মার্কিন দুনিয়ার শীর্ষ রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কুশীলবদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন তিনি। রাজনীতিক হিসেবেও দক্ষ, কৌশলী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব জরিপ চালানো হচ্ছে, তাতে একজন উপরে ওঠে তো, অপরজন নিচে নামে। সর্বশেষ তো দেখা যাচ্ছে, সমানে সমান। অবশ্য জরিপের ফল সবসময় মেলে না। যেমন যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট নিয়ে জরিপ উল্টো হয়েছে। জরিপ যা-ই হোক, কালই নির্ধারিত হয়ে যাবে। সারাবিশ্ব এই নির্বাচনের ফলাফলের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখবেই। বাংলাদেশও সজাগ। সে দেশে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী অভিবাসী রয়েছে। অনেকে নাগরিকত্বও পেয়েছে। দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রজন্মও সে দেশে জন্মগতভাবে নাগরিক। বাংলাদেশী ভোটারও কম নয়। এবারের নির্বাচনে ধর্ম ও অভিবাসী নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। মার্কিন মুসলিমরা বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিমদের একটি বড় অংশ হিলারির পক্ষে। আবার ট্রাম্প ভারতীয় ও হিন্দু ভোট পাবার জন্য হিন্দী ভাষায় সেøাগান শুধু নয়, তিনি যে হিন্দু ভক্তÑ এ কথাও বলেছেন। সাম্প্রদায়িকতা এখনই উস্কে দেয়ার মতো অনৈতিক কাজ ভবিষ্যতে সমস্যা বাড়াবেই। তাছাড়া মার্কিনীদের মধ্যে বর্ণবাদও তীব্র। শ্বেতাঙ্গ-অশ্বেতাঙ্গ বিভেদ এই একুশ শতকেও যে সম্ভব, তা মার্কিন নির্বাচনী প্রচারে বেশ প্রাধান্য পেয়েছে। আবার কৃষ্ণাঙ্গ ভোট হিলারির পক্ষে। তবে আগের তুলনায় তা কমে যেতে পারে। ওবামাকে ভোট দেয়ার জন্য কৃষ্ণাঙ্গরা চার বছর আগে যেভাবে মাঠে নেমেছিল, এবার সেভাবে নামেনি। মার্কিন ইতিহাসে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অবশ্যই ঐতিহাসিক। সারা বিশ্বের ভবিষ্যত কোন্ দিকে যাবে, তা নির্ধারিত হবে কাল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের মানুষও এই নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ, যে-ই ক্ষমতায় আসুক, তাতে যেন উপমহাদেশবাসী কোন অপ্রিয় ঘটনার মুখোমুখি না হয়, সেই ভরসা পেতে চাইবেই।
×