ছেঁড়া তার
পদ্ম পুকুর শুকিয়ে গেছে, মালঞ্চ ঘাসে ভরা
রঙ চটা বাসগুলো সব ওড়ায় ধুলো- যেন
মহিনের মরখুটো কোন ঘোড়া।
হায়রে হায়রে বলে মহিম বাউল কী
যেন কোন গান গায়, ফেরিওয়ালার জোর
হাঁকেতে চাপা পড়ে এক তারার ওই তান।
দূরের মাঠে পুতুল নাচের বসতো যে মেলা
আবাসনের সাইনবোর্ডে সব গিয়েছে ঢেকে
আরো দূরে নরম বিলে মটর শুটির সেই যে
লুটোপুটি -হেমন্তেরই নরম রোদের কোলে
সেখানেতে বিদ্যুতের হুশ হুশ টারবাইন অনেক
জোরে ঘোরে। তারও দূরে টিনের চালে
একটি শালিক হলুদ পায়ে কার অপেক্ষায়
থাকে? চড়–ইগুলো কোথা থেকে গাছের
ডালে আসে? চৈত্রের এই ভর দুপুরে
কোন্ দূরন্ত নেই কী যে পুকুর কাদা করে?
গভীর রাতে নিওন সাইন, শীতাতপে
নিরালা ঘুম, ভোরের সূর্য এখন কি আর ওঠে?
** সোনা রঙ
ভুল করলেও ভুল করতে পারো,
আকাশটাকে ছুঁড়ে মারো আমার দিকে
দেখ আমি কেমন মরা মরব মেঘের ঘায়ে।
ইদুরগুলো দুষ্ট অতি পিলপিলিয়ে চলে
মরা হেমন্তের তরুণ শীতে পেঁচারা তাই
উৎসবে ওই মাতে।
আমার ক্ষেতে শস্যকণা, আমার ক্ষেতে জল
আমার ক্ষেতে রোদ্দুর অতি, ভরভরান্ত ফল।
ঘোড়াগুলো সব মারা গেছে অনেক কাল হলো
তবুও আমার ক্ষেতের বুক জুড়ে দেখো
সবুজ ঘাসের কেমন বাড়াবাড়ি।
শস্যকণায় সোনার রঙ, শস্যকণা সবুজ
কেন তারা ডেকে বলে, আমি নাকি আস্ত এক অবুঝ।
রাতের বেলায় ভুলগুলো সব স্বপ্ন হলো
দিনের বেলায় আলো, কোন পাগল ওই
ডেকে বলে, ভুলের রঙ কালো।
ভুলগুলোতেই সোনা রঙ, ভুলেই সোনা ফলে।
তোমার যেমন ইচ্ছে তেমনি তুমি
ভুলগুলো সব করো।
শীর্ষ সংবাদ: