ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

একে মোহাম্মাদ আলী শিকদার

আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বড়

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বড়

অতুলনীয় ঐতিহ্যের বাহক এবং বাংলাদেশের ইতিহাস সৃষ্টির প্রধান অনুঘটক যে রাজনৈতিক দল, যার প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেই আওয়ামী লীগের ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সারা ঢাকা শহর পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। সমস্ত মিডিয়ার আগ্রহ ও সরগরম ভাব ছিল লক্ষণীয়। প্রথম অধিবেশনে কাউন্সিলর, ডেলিগেট ছাড়াও লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। উদ্বোধনী সেশনের থিমসং ও তার উপস্থাপনা, ৫৫ বিদেশী গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতার উপস্থিতি, তাদের বক্তৃতার মর্মকথা এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সুশৃঙ্খলভাবে তার সমাপ্তি, সব কিছু মিলে এরকম সাড়া জাগানিয়া সফল জাতীয় কাউন্সিল বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোন দল করতে পারেনি। মিডিয়ার বিশাল কাভারেজের ফলে এই সম্মেলনকে ঘিরে সারাদেশের মানুষের মধ্যে এক ধরনের লক্ষণীয় জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। পুনরায় দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দিয়েছেন। ২০৪১ সালে কেমন বাংলাদেশ হবে তার রূপকল্প তুলে ধরে জনসম্পৃক্ততা, জনসমর্থন বৃদ্ধি ও উন্নয়নের সুফল জনগণের উপলিব্ধিতে আনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। বলেছেন, আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের বিশাল প্রত্যাশা রয়েছে, যা পূরণ করার জন্য আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে হবে। সভানেত্রীর নির্দেশনা নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রশান্ত মনে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন। কোথাও কোন অসন্তুষ্টি, ক্ষোভ, বিক্ষোভের ছায়া ও চিহ্ন দেখা যায়নি। রাজনীতি সব সময়ই একটা জটিল, কঠিন ও কুটিল বিষয়। এর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাজ করছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি, যা বিশ্বের কোন রাজনৈতিক ইতিহাসে নেই। তারপর দীর্ঘ ১৫ বছর সামরিক শাসনের অভিঘাতে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক মূল্যবোধের প্রচ- অবক্ষয় ঘটে, যার অপদ্দায়া এখনও প্রবলভাবে বিদ্যমান, উঠতি পুঁজিবাদের লুটতরাজ মানসিকতা এবং বৈশ্বিক ভূরাজনীতির প্রেক্ষাপটের সমীকরণে বৃহৎ শক্তিবর্গের বাংলাদেশকে ঘিরে চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে গত পাঁচ-সাত বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ ২০১৬ সালে এসে যেখানে দাঁড়িয়েছে, তাকে বিশ্বের নামকরা গবেষণা জরিপকারী প্রতিষ্ঠানসহ বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আখ্যায়িত করেছেন বিস্ময়কর ও অভূতপূর্ব হিসেবে। তবে এই সময়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের চলার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বাহাত্তরের সংবিধানে রাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনা, জঙ্গীবাদের শেকড় উৎপাটন, ২০০৪ সালের ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে যায়, তারা ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের যাত্রার শুরু থেকেই জোটবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়, রাষ্ট্র ও জননিরাপত্তাকে ভয়ঙ্কর হুমকির মধ্যে ফেলার পথ বেছে নেয়, যাতে সরকারের ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘায়িত না হয়। নিজেদের দ্বারা সম্ভব না হলে উল্টো পথে অথবা অন্য কোন পক্ষের হস্তক্ষেপে যেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সিটকে পড়ে তার জন্য বেছে নেয় আত্মঘাতী পথ। এসব ষড়যন্ত্রের প্রথম প্রতিফলন দেখা যায় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, সরকার গঠনের মাত্র দুই মাসের মাথায় ঘটে যায় পিলখানার মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের ঘটনা। সেদিন যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল তাতে দুই মাসের সরকারের অকাল পতন অসম্ভব কিছু ছিল না। শুধু শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, ধৈর্য, সাহস ও দূরদৃষ্টির ফলে সেদিন বাংলাদেশ এক মহাসঙ্কট থেকে বেঁচে যায়। দ্বিতীয়বার সরকার অনিশ্চয়তার সঙ্কটে পড়ে ২০১৩ সালে এসে, যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হওয়া শুরু হয়। জামায়াত-শিবির দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও, হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তারা জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দেয় এবং শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে। তখন বিএনপি জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞে যোগ দিলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়, জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। তৃতীয়বার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে ফেলে দেয়ার পরিকল্পনা করে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তা-বকে কেন্দ্র করে। চতুর্থবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য তারা নতুন সঙ্কট সৃষ্টির চেষ্টা করে। তাদের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য ছিল বিএনপি-জামায়াত জোটের নির্বাচন বয়কটের মধ্য দিয়ে সরকার একতরফা নির্বাচন করলে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির সাদেক আলী নির্বাচনের ফলে বিএনপির যেমন ভাগ্য বিপর্যয় ঘটেছিল, ঠিক সেরকম ভাগ্য বিপর্যয় আওয়ামী লীগকেও বরণ করতে হবে। এই দফায় বিএনপি-জামায়াত সঙ্গে পায় বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্রকে। যার ফলে পশ্চিমা বিশ্বের আশীর্বাদপুষ্ট, কৃপালাভকারী, খেতাব, পুরস্কার ও উপাধিপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সুশীল সমাজের একাংশ, শক্তিশালী মিডিয়া গ্রুপ এবং পশ্চিমা বিশ্ব থেকে অর্থ পাওয়া এনজিওগুলো সরাসরি বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ অবলম্বন করে। যার কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট দ্বিগুণ উৎসাহে নির্বাচন প্রতিহতের নামে পাঁচ শ’র অধিক নির্বাচন কেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়, নিহত-আহত হয় নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষ। পঞ্চমবারের মতো ২০১৫ সালের শুরুতে একনাগাড়ে ৯২ দিন তথাকথিত অবরোধের নামে আবার তারা টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারকে সঙ্কটে ফেলার চেষ্টা করে। তাদের ক্যাডার বাহিনী দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। মানুষ ভর্তি চলন্ত বাসে, ট্রেনে আগুন দেয়, রাস্তাঘাটের দোকানপাট জ্বালিয়ে দেয়। সে সময় সারাদেশে প্রায় দেড় শ’ নিরীহ মানুষ আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ করে। মানুষের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মানুষের লাশের বিনিময়ে তারা সরকারকে হয়ত ফেলে দিতে পারবে বলে ভেবেছিল। তারপর জামায়াতপ্রসূত জঙ্গীদের গুপ্তহত্যা, বিদেশীদের হত্যা, টার্গেট কিলিং তো চলছেই। প্রথম থেকে পঞ্চমÑ বড় যে পাঁচটি অনিশ্চয়তা ও সঙ্কটের কথা উল্লেখ করলাম তার যে কোন একটির ধাক্কা ও পরিণতিতে সরকারের ক্ষমতা ত্যাগ অথবা ক্ষমতাচ্যুতি যে কোনটাই ঘটতে পারত। উল্লিখিত সঙ্কটগুলো ছাড়াও বিভিন্নভাবে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত সরকারকে বিপাকে ফেলার বিরামহীন চেষ্টা চলেছে এবং এখনও তা অব্যাহত আছে। এত সব সঙ্কট ও অনিশ্চয়তাকে অতিক্রম করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৬ সালে এসে দেশ যেখানে দাঁড়িয়েছে তাতে বলা যায় অগ্রগতির প্রশস্ত সড়কে উঠে গেছে বাংলাদেশ। তাই সঙ্গত কারণেই এবারের আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন তাদের নেতাকর্মীদের গ-ি পেরিয়ে দেশের সমগ্র মানুষ, মিডিয়া, সুশীল সমাজ এবং বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের রাজনৈতিক দলের মধ্যেও বড় ধরনের আগ্রহ এবং আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেশী ভারতসহ ১২টি দেশের ৫৫ জন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সম্মেলনে যোগদান করেন। তাদের প্রায় সকলের বক্তব্যে কমন যে বিষয়টি ছিল তা হলো- বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস-জঙ্গী দমনে গুরুত্বপূর্ণ নেতা এখন শেখ হাসিনা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার গ্রহণযোগ্যতা একটা অন্যরকম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার ফলে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও প্রতিযোগিতায় লিপ্ত বৃহৎ শক্তিগুলোকে তিনি বাংলাদেশের প্রতি একই সময়ে আগ্রহী ও কাছে টানতে পেরেছেন, যা এক কথায় অসাধারণ এবং বাংলাদেশের জন্য বিরাট সাফল্য। জঙ্গী তৎপরতাকে দমন করে এবং ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে পিছে ফেলে সামনে এগোবার প্রশস্ত সড়কের যাত্রাপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা। দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে চীনের সঙ্গে এখন আমাদের সম্পর্ক স্ট্র্যাটেজিক স্তরে পৌঁছেছে। আর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের প্রকৃতিই হলো স্ট্র্যাটেজিক, রয়েছে গভীর রক্তের সংযোগ, যে সম্পর্ক এখন একাত্তর-বাহাত্তর পর্যায়ে প্রত্যাবর্তন করেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। জনসম্পৃক্ততার কোন বিকল্প নেই। দলের যে কোন পর্যায়ের আত্মতুষ্টি দল ও দেশের জন্য মহাদুর্ভোগ ডেকে আনবে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণের পথে এখনও সীমাহীন চ্যালেঞ্জ দ-ায়মান। মানুষের সবচাইতে বড় প্রত্যাশা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেশের ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষের রাজনৈতিক বিভাজনের চির অবসান ঘটাবে। সরকার ও সরকারের বাইরের সকল দলই হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। এই কঠিন চাহিদা পূরণের জন্য বাংলাদেশের মানুষ শুধু আওয়ামী লীগ ও তার নেত্রী শেখ হাসিনার কাছেই প্রত্যাশা করে। এই প্রত্যাশা পূরণের জন্য অন্য কোন দল ও নেতৃত্ব বাংলাদেশে নেই। জামায়াত, উগ্রবাদী ধর্মান্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী এবং সামরিক শাসকদের গর্ভজাত দলগুলো মুক্তিযুদ্ধের দর্শনের বিরুদ্ধে গিয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেছে বিধায় তারা নিজ উদ্যোগে অবস্থান পরিবর্তন করবে বলে আশা করা যায় না। তবে প্রত্যাশিত পথের অগ্রগতি গত পাঁচ-সাত বছরে একেবারে কম হয়নি। মশহুর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন ও রায় কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে জামায়াতের অবস্থা এখন ছিন্নভিন্ন। বিএনপি এখন পথের সন্ধানে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব এবং দোলাচলের মধ্যে পড়ে বিপর্যস্ত। অনেক দৌড়াদৌড়ির পরেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারা এখন বন্ধুহীন। একের পর এক রাজনৈতিক ব্লান্ডারের পরিণতির মধ্য থেকে বিএনপি বের হতে পারছে না। আমার ধারণা বিএনপির র‌্যাংক এ্যান্ড ফাইলের ভেতরে উপলব্ধি জন্মেছে জামায়াত, উগ্র ইসলামিস্টদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে এক সময় লাভবান হলেও আগামীতে তা আর সম্ভব হবে না। তাছাড়া বিশ্বের ভূরাজনীতির মেরুকরণ সাম্প্রদায়িক ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে। তবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে থাকতেই হবেÑ এমন লোকের সংখ্যা বাংলাদেশে অনেক, এরাই বিএনপির ভরসা। এদের একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যা সরকারের প্রশাসনের ভেতরে সকল সেক্টরের সকল স্তরে রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সাফল্যের স্তরকে এমন একটি জায়গায় আনতে হবে, যাতে দেশের অভ্যন্তরে এমন একটি রাজনৈতিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়, তাতে এখন যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে আছেন তারা হয় লেটার এ্যান্ড স্পিরিট মুক্তিযুদ্ধের দর্শনের রাজনীতিতে ফেরত আসবেন, আর নয়ত নিজেদের অস্তিত্ব হারাবেন। রাজনীতির টার্নিং পয়েন্টের এটাই ডিসাইডিং ফ্যাক্টর। টার্নটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে সকল রাজনৈতিক দল হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। টার্নিংটা এদিকে হবে সেরকম প্রত্যাশা মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের এই প্রত্যাশা পূরণ হলে সেটাই হবে প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিজয়। তখন আমরা পরিপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ফিরে পাব, যেখানে দেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নিরঙ্কুস হবে বাঙালী দর্শন ও ধর্মনিরপেক্ষতা। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে রাষ্ট্র আমরা পেয়েছিলাম, তাঁর কন্যার হাত ধরেই আবার হারানো সেই রাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষ ফিরে পাবে। এর থেকে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না।
×