ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অলরাউন্ডার তাহসান

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

অলরাউন্ডার তাহসান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি সমানতালে অভিনয় ও অধ্যাপনা করে অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাহসান খান। এক জীবনে যতটা শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে ঠিক ততটাই অর্জন করেছেন তাহসান খান। গান করার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত গান লেখা, সুর করা ও সঙ্গীত পরিচালনাও করেন। পাশাপাশি তিনি সুনামের সঙ্গে অধ্যাপনাও করছেন। তাহসানের প্রথম সলো এ্যালবাম ‘কথোপকথন’ বাজারে আসে ২০০৪ সালে, এরপর ‘কৃতদাশের নির্বাণ’, ‘ইচ্ছে’, ‘নেই’, ‘প্রত্যাবর্তন’ এবং সর্বশেষ সলো ‘উদ্দেশ্য নেই’ রিলিজ হয় ২০১৪ সালে। এছাড়া তার কয়েকটি মিশ্র এ্যালবামও বাজারে আসে। নতুন গান, অভিনয় ও অন্যান্য কাজের ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেন এ সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, গান নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। বেশকিছু সিঙ্গেলস, মিউজিক ভিডিও ও এ্যালবামের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। পাশাপাশি তিনি জানান, ভিডিও লগিং নিয়ে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে তিনি একটি ভিডিও লগিং ইউটিউবে আপলোড করেছেন । যা মাধ্যমে বেশ সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, আগামী এক বছর তিনি ভিডিও লগিং নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করবেন। বিশেষ দিবসের নাটক ছাড়া তেমন একটা নাটকে পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ভালমানের নাটকে কাজ করতে চাই। তবে ভালমানের নাটক হতে হলে সবকিছুর জন্য যে বাজেট দরকার সে বাজেট নাটকে থাকে না। একটা ত্রিশ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনের জন্য যেখানে ত্রিশ লাখ টাকা বাজেট থাকে সেখানে একটি এক ঘণ্টার নাটকে বাজেট থাকে তিন লাখ টাকা। পর্যাপ্ত বাজেট না হলে ভাল কাজ করা সম্ভব হয় না। ভালমানের নাটকে কাজ করতে চাই বলেই কম অভিনয় করা হয়। আর চলচ্চিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভালমানের চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই। তাহসানকে ভালবাসার গানে ও ভালবাসার নাটকে বেশি পাওয়া যায় কেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ আমাকে যেভাবে দেখতে পছন্দ করেন আমি আসলে কাজটা সেভাবে করতে চাই। গানটা আসলে আমি আমার ভাল লাগার জন্য করি। আর নাটকে অভিনয় করি শ্রোতাদের ভাল লাগার মতো করে। তাহসান-মিথিলা তরুণ-তরুণীদের কাছে ভালবাসার আর্দশ জুটি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ আমাদের ভালবাসে বলে এমনটা মনে করে। আজীবন শ্রোতাদের কাছ থেকে এমন ভালবাসা পেতে চাই। ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজের অনুভূতি প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। বেশ ভাল লাগছে। নিজের ছোটবেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে সব সময় সুরে ছিলাম। আমার গানের প্রতি সব সময় অন্যরকম ভাল লাগা ছিল। ছোটবেলা থেকেই আমি গায়ক হতে চেয়েছিলাম। সারাদেশের মানুষ আমাকে চিনবে-জানবে এমন ভাবনা মনে ছিল। এখন যখন স্টেজে গান করি সকল মানুষের উন্মাদনা দেখে আমি মনে মনে ভাবি এটা আমার ছোটবেলার স্বপ্নের বাস্তবায়ন। অভিনয়ে জড়ালেন কিভাবে? তিনি জানান, অভিনয়ে আমার প্ল্যান করে আসা হয়নি। অনুরোধে দু-একটি কাজ করতে গিয়ে শ্রোতারা আমাকে এত ভালবাসা দিয়েছেন যে, আমি অভিভূত। শ্রোতাদের ভালবাসার কথা মাথায় রেখে এখন নাটকে অভিনয় করছি। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভাল চলচ্চিত্র আর ভাল গান হলে তিনি নিয়মিত প্লেব্যাক করতে চান। নাটক-গানের পাশাপাশি তিনি নিয়মিত বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন। এছাড়া বর্তমানে স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। তাহসান খান গান নিয়ে তার স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে বলেন, আমি ভাল গান নিয়ে সারাক্ষণ নানা স্বপ্ন দেখি। শ্রোতারা আমার যে ধরনের গান শোনে সেসব গান বেশি বেশি করতে চাই। আমি ভালমানের কিছু কাজ করতে চাই। শ্রোতারা যেন কাজগুলো শুনে বলবে এটা আমি করেছি। আমার স্বপ্ন হলো- সবার ভালবাসা নিয়ে সারাজীবন কিছু ভাল গান ও অভিনয় করে যেতে চাই। তিনি আরও জানান, দেশে যা কিছু পাওয়ার আমার পাওয়া হয়ে গেছে। এবার আন্তর্জাতিকভাবে গান নিয়ে কাজ করতে চাই।
×