ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরেই জবাব দিলেন ইমরুল

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ৮ অক্টোবর ২০১৬

ফিরেই জবাব দিলেন ইমরুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রস্তুতি ম্যাচে ঝড়ো সেঞ্চুরির পর চূড়ান্ত লড়াইয়েও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন বাংলাদেশ ওপেনার ইমরুল কায়েস। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন মেহেরপুলের এই ছেলে। তার ব্যাটে শুক্রবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জয়ের স্বপ্নই বুনছিল টাইগাররা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য ৩১০ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাট করে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে নেমে ৫৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইমরুল কায়েস। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তার ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন তিনি। এ সময় তার রান ছিল ৮৯ বলে ৮৮। অথচ বারবার জাতীয় দলে উপেক্ষিত ছিলেন ইমরুল। সর্বশেষ আফগানিস্তান সিরিজে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৭ রান করেও পরের দুই ম্যাচে ইমরুলকে ড্রেসিংরুমেই বসে থাকতে হয়েছে। নিজেও জানেন না কি কারণে পরের দুই ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি তার। তার প্রতিবাদের ভাষা একটাইÑ ব্যাট হাতে ভাল খেলে যাওয়া, সব সীমাবদ্ধতার মধ্যে রানের বন্যা ছুটান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য ৩১০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দারুণ সূচনা করেন ওপেনার তামিম ও ইমরুল কায়েস। তামিম ব্যক্তিগত ১৭ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ওয়ান ডাউনে ইমরুলের সাথে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়োগতির ব্যাটিং শুরু করে ১১ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির। ইনিংসের ৮২ রানের মাথায় জ্যাক বলের বলে থার্ড মিড উইকেটে ডেভিড উইলের জাদুকারী ক্যাচের শিকার হন তিনি। শুক্রবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৮ রান। বয়সে ইমরুলের চেয়ে দুই বছরের ছোট হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরের সিনিয়র তামিম। ওয়ানডে ক্রিকেটে তামিমের অভিষেক ২০০৭ সালে, ইমরুলের ২০০৮ সালে। টেস্টেও তামিম দশ মাসের সিনিয়র। তামিমের টেস্টে অভিষেক ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে, ইমরুলের একই বছরের নবেম্বরে। দশ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তামিমের সাথে ওপেনিংয়ে ব্যাট করেছেন জুনায়েদ সিদ্দিকী, শাহরিয়ার নাফিস, এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। তামিম এ পর্যন্ত ১৫৬টি ওয়ানডে ও ৪২টি টেস্ট খেলে নিজের ব্যক্তিগত রানের খাতায় সবচেয়ে বেশি রান জমা করেছেন। সেখানে ইমরুল খেলেছেন ৫৯টি ওয়ানডে ও ২৪টি টেস্ট। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটা জায়গায় সবার ওপরে আছেন তামিম- ইমরুল। জাতীয় দলের সবচেয়ে বেশি ম্যাচে ওপেনিংয়ে ব্যাট করেছেন তারা। ওয়ানডে ক্রিকেটে তারা সর্বশেষ ওপেনিং জুটিতে ব্যাট করেন ২০১৪ সালে জিম্বাবুইয়ে সিরিজে। এরপর ইমরুলের জায়গাটি দখল করেন সৌম্য সরকার। গত দুই বছর সৌম্যকে নিয়ে ১৩টি ম্যাচে ওপেনিং করার পর তামিম শুক্রবার আবারও ফিরে পেয়েছেন পুরনো সঙ্গী ইমরুলকে। মিরপুরে শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিং করছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে তামিম-ইমরুলকে দেখা যাবে ব্যাটিং ওপেন করতে। ক্রিকেটভক্তদের প্রত্যাশা, পুরনো সঙ্গীকে নতুন করে ফিরে পেলে আবারও জ্বলে উঠবেন ইমরুল। ওয়ানডেতে প্রায় দুই বছর পর হলেও টেস্টে নিয়মিত সঙ্গী তারা। টাইগারদের হয়ে সাদা পোশাকে তামিমের সাথে নিয়মিত ওপেনিংয়ে সাফল্য ধরে রেখেছেন ইমরুল। এ ম্যাচের আগে দু’জনে মিলে ৪৭টি ওয়ানডেতে ওপেনিং রান করেছেন ১ হাজার ৩৫৭ রান। ওপেনিংয়ে রান করার দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের জুটি। ১৯টি ওয়ানডেতে করেছেন ৬৫১ রান। তৃতীয় স্থানে আছে সৌম্যর জুটি। তামিমের সাথে ১৩টি ওয়ানডে খেলে করেছেন ৬০৯ রান। এছাড়া তামিমের সাথে ২৫টি ওয়ানডে ওপেনিং করেছেন জুনায়েদ সিদ্দিকী এবং শাহরিয়ার নাফিস করেছেন ২৪টি ওয়ানডেতে।
×