ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙলো ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ভাঙলো ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’

২০০৪ সালের কথা। মিস্টার এ্যান্ড মিসেস স্মিথ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে এ্যাঞ্জেলিনা জোলির প্রেমে পড়েন ব্র্যাড পিট। দিন দিন বাড়তে থাকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। সেই সময় সংবাদমাধ্যমগুলোয় পিট- জোলির রোমান্সই ছিল সবচেয়ে আলোচিত। জোলির সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার কারণেই অবশ্য ২০০৫ সালে প্রথম স্ত্রী জেনিফার এ্যানিস্টনকে ছেড়ে দেন পিট। বিয়ে ২০১৪ সালে ফ্রান্সে নিজেদের বাড়ির পাশেই একটা গির্জায় পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে একেবারে ঘরোয়াভাবে বিয়ে করেন জোলি ও ব্র্যাড। বিয়েতে বড় দুই ছেলে ম্যাডক্স ও প্যাক্সের হাত ধরে মঞ্চে হেঁটে যান এ্যাঞ্জেলিনা। বিয়ের সময় পিট ও জোলির বয়স ছিল যথাক্রমে ৫০ ও ৩৯ বছর। পরিবার এ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিটের সংসারে রয়েছে ৬ সন্তান। ব্র্যাঞ্জেলিনার ৩ জৈবিক সন্তান ও ৩ দত্তক সন্তান। পিটের সঙ্গে সম্পর্ক শুরুর আগেই জোলি কম্বোডিয়ান বংশোদ্ভূত পুত্র সন্তান ম্যাডক্স আর ইথিওপীয় বংশোদ্ভূত কন্যা জাহারাকে দত্তক নেন। এরপর ২০০৬ সালে নামিবিয়াতে মেয়ে শিহলের জন্ম দেন জোলি। ঠিক এক বছর পর ভিয়েতনাম থেকে আরেক ছেলে প্যাক্সকে দত্তক নেন ব্র্যাড ও এ্যাঞ্জেলিনা। পরের বছর অর্থাৎ ২০০৮ ফ্রান্সের নিস শহরে জোলি জন্ম দেন ভিভিয়েন ও নক্স নামে তাঁদের যমজ সন্তানকে। এখন সবার মুখে মুখে একটি প্রশ্ন, তাদের ছয় সন্তানের কি হবে? মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বর সেপারেশনে যাওয়ার পর থেকে সন্তানরা জোলির সঙ্গেই থাকছেন। জোলি আদালতে আবেদন করেছেন বিচ্ছেদের পরও যেন তাকে সন্তানদের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়। বিচ্ছেদের কারণ ২০১৫ সালে ‘বাই দ্য সি’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেন ’ব্র্যাঞ্জেলিনা’। ছবিটি ছিল মূলত একটা সংসার ভাঙ্গার গল্প। সেই গল্প এবার তাঁদের জীবনেও সত্য হতে চলেছে। ব্র্যাড পিটের কাছে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে আবেদন জানান জোলি। ১৯ সেপ্টেম্বর এ কথা জানিয়েছেন এ্যাঞ্জেলিনার আইনজীবী। কেন এই সিদ্ধান্ত! ‘পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর মক্কেলÑ অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন জোলির আইনজীবী রবার্ট অফার। কিন্তু পরিবারের অশান্তির কারণ কি? নানা জল্পনা পেরিয়ে সামনে আসছে একটা নাম। মারিয়ঁ কোতিয়ার। শোনা যাচ্ছে ‘এ্যালিড’ ছবির শূটিং চলাকালীন ব্র্যাড- মারিয়ঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। যদিও এ অভিনেত্রী এমন সংবাদ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ এর পেছনের অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করছেন পিটের মাত্রাতিরিক্ত এ্যালকোহল আসক্তিকে। এমনকি তাদের বিচ্ছেদের আবেদনে করা জোলির অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। জানা গেছে, ১৪ সেপ্টেম্বর একটি বিবাদের জের ধরেই এই বিচ্ছেদ। সেদিন ব্র্যাঞ্জেলিনা ছয় সন্তান নিয়ে ফ্রান্স থেকে উড়োজাহাজে করে তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রের লস এ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে ফিরছিলেন। তখনই মাঝ আকাশে জোলি ও পিটের মধ্যে ঝগড়া বাধে। পিপল ম্যাগাজিনকে ব্র্যাঞ্জেলিনার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ব্র্যাড সে সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। বিবাদের একপর্যায়ে তিনি এক সন্তানের গায়ে হাতও তোলেন। তবে এখন পর্যন্ত বিচ্ছেদের সঠিক কারণ কোন সূত্র থেকেই নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই হাইপ্রোফাইল বিচ্ছেদের খবরে ঝড় উঠেছে গোটা দুনিয়ায়। আর সেই ঝড়ের প্রভাব এতটাই যে, ইতোমধ্যেই মাদাম তুসোর মিউজিয়ামে ব্র্যাড পিট এবং এ্যাঞ্জেলিনার মোমের মূর্তি দুটোকে আলাদা করে দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এ নিয়ে তৃতীয় কোন স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটাতে যাচ্ছেন জোলি। এর আগে তিনি শার্লক স্টার, জনি লি মিলার ও বিলি বব থর্নটনকে বিয়ে করেন। এদিকে ২০০৫- এ জেনিফার এ্যানিস্টনের সঙ্গে পাঁচ বছরের দাম্পত্য শেষ করে জোলির হাত ধরেছিলেন ব্র্যাড। তাদের সম্পত্তির পরিমাণ এদিকে বিয়ে বিচ্ছেদের পর হলিউডের হেভিওয়েট দম্পতি ব্র্যাড পিট ও এ্যাঞ্জেলিনা জোলির সম্মিলিত বিশাল সম্পত্তির ভবিষ্যত কী হবে? পারিবারিক আইন এবং বিবাহ বিচ্ছেদ বিষয়ক আমেরিকান আইনজীবী ম্যারিলিন শিনিৎজ জানান, ব্র্যাঞ্জেলিনার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। খবর পিপল ম্যাগাজিনের। তবে পিট জোলির মোট সম্পত্তি নিয়ে ভিন্নমতও পাওয়া গেল। তারকাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিষয়ক আইনজীবী ডোনাল্ড ডেভিডের মতে, পিটের ৩৫ কোটি আর জোলির ২৭ কোটি ডলারের সম্পত্তি আছে। তবে এই জুটির ভাঙ্গনের পেছনে বেশিরভাগ গণমাধ্যমই ব্র্যাড পিটকেই দায়ী করছেন। কেননা সংসার এবং সন্তানদের প্রতি জোলির টান ছিল বরাবরই। এমনকি তিনি অভিনয় ছেড়েও দিতে চেয়েছিলেন সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। শুধু নিজের সন্তান নয়, আফগানিস্তান, সুদান, সিরিয়ার শরণার্থী শিশুদের কাছেও যখন তখন ছুটে গিয়েছেন জোলি। বিয়ের আগের বছর স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে ডবল ম্যাসটেকটমি করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন ৪১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। সর্বশেষ জলি বর্তমানে একটি ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছেন সন্তানদের নিয়ে। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন অস্কারজয়ী বিখ্যাত অভিনেতা জনি ডেপ। অন্যদিকে ব্র্যাড পিট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভেঙে যাওয়া সংস্কার পুনরুদ্ধারে। হারলেও বাংলাদেশ জিতলেও বাংলাদেশ টাইগারদের অনুপ্রেরণা পুরো বাঙালী জাতি। আর টাইগারদের অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য অনেকেই অনেকভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন। নির্মাতা রায়হান রাফীও তার ব্যতিক্রম নন। নিজের উদ্যোগে বানিয়েছেন একটি শর্ট ফিল্ম। কারণ একটাই, টাইগারদের পাশে থাকা। ‘জানের দেশ বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই শর্টফিল্ম উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। নির্মাতা রায়হান রাফি তার ফেসবুক টাইমলাইনে ভিডিওটি আপলোড দিয়ে লেখেন, ‘এটি একটি সম্পূর্ণ অবাণিজ্যিক ভিডিও, নিজের টাকায় নির্মিত, বাংলাদেশ টিমের জন্য একটি উপহার, এটি কোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের স্বার্থেও নির্মিত নয়। জানের দেশ বাংলাদেশ।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা মানেই পুরো ১৬ কোটি মানুষের সমর্থন সেখানে। সব কিছু ভুলে সবাই এক হয়ে যান এই বিষয়ে। ক্রিকেট দলের শক্তি হয়ে ওঠেন তারাই। শুধু কি তাই, ক্রিকেট দলের ভাল সময় ও খারাপ সময়-সব কিছুই যেন ভাগ করে নেন। পাশে থাকেন টাইগারদের। এক কথায়, হারলেও বাংলাদেশ, জিতলেও বাংলাদেশ। নির্মাতা রাফী বলেন, ‘এই ভিডিও নির্মাণের মূল কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে জানিয়ে দেয়া, আমরা হারলেও বাংলাদেশ জিতলেও বাংলাদেশ। অনেক সময় দেখা যায় বাংলাদেশ খেলায় হেরে গেলে আমরা নানা কথা বলি। খেলোয়াড়দের দোষ দেই। এটা মোটেও ঠিক নয়। দেশ জিতলেও আমরা হারলে ও বাংলাদেশে এই বোধটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই মূলত ভিডিওটি বানানো। আরেকটি বড় দিক হলো, এই ধরনের ভিডিওতে যখন কোন প্রোডাক্ট, এর নাম আসে। তখন মানুষের ইমোশন চলে যায়। মানুষ বোঝে এটা দেশ প্রেম না, এটা বিজ্ঞাপন। এই জন্যই আমি নিজে নির্মাণ করেছি কোন রকম স্পন্সর ছাড়া। এটা আমাদের জাতীয় ইমোশন। এটা নিয়ে আমি কোন প্রকার বিজনেস করতে চাই না।’ শর্টফিল্মে মিউজিক করেছেন সঙ্গীতশিল্পী তানজীব সারোয়ার। আর এতে অভিনয় করেছেন মাবরুর রশিদ বান্নাহ, সৌভিক, শামীম হাসান, তুহিন, সিয়ামসহ আরও অনেকে। এটি রচনা, পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন রায়হান রাফী। আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
×