ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মেসির মাঝে আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বরের ছায়া খুঁজে পান জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক

ম্যারাডোনাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ ম্যাথিউসের

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ম্যারাডোনাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ ম্যাথিউসের

টস রিপোর্টার ॥ দু’জন দু’দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার। বয়সও অভিন্ন, ৫৫ বছর। একজন আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর দিয়াগো ম্যারাডোনা, আরেকজন জার্মানির ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা লুথার ম্যাথিউস। বয়স এক হওয়ার কারণে ক্যারিয়ারের প্রায় সবসময়ই একে অপরের প্রতিপক্ষ ছিলেন ম্যারাডোনা-ম্যাথিউস। কি জাতীয় দল, কি ক্লাব ফুটবল সবখানেই দু’জন যেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনাকে একাই বিশ্বকাপ জেতাতে কাছ থেকে দেখেছেন ম্যাথিউস। তেমনি ১৯৯০ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনাকে থামিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন ম্যাথিউস। দু’জন দু’জনকে তাই ভালমতোই চেনেন, জানেন। সেই স্মৃতিচারণই করেছেন ম্যাথিউস। বুধবার এক সাক্ষাতকারে সাবেক জার্মান অধিনায়ক ম্যারাডোনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তেমনি বলেছেন, বর্তমানে লিওনেল মেসির মধ্যে দেখতে পান ম্যারাডোনার ছায়া। ম্যারাডোনার প্রসঙ্গ আসতেই স্মৃতিকাতর হয়ে উঠেন ম্যাথিউস। বলেন, যদি আমাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলতে হয়, আমি শুধু ম্যারাডোনার কথাই বলব। আমার জীবনে আমি আর কোন খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপে এমন দাপটের সঙ্গে খেলতে দেখিনি। যেভাবে ম্যারাডোনা খেলেছে ওই বিশ্বকাপে। শুধু ম্যাথিউস কেন, বিষয়টি স্বীকার করেন ফুটবল বিশ্বে ম্যারাডোনার শত্রু-মিত্র সবাই। কিন্তু ম্যাথিউস ছিলেন ম্যারাডোনার চিরশত্রুর মতো। এ কারণেই তার কথার আলাদা গুরুত্ব। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালেও ম্যারাডোনার মার্কার ছিলেন ম্যাথিউস। ’৮৬ সালে ম্যারাডোনাকে থামাতে ব্যর্থ হলেও চার বছর পর ঠিকই পারেন। অধিনায়ক হিসেবে তুলে ধরেন ১৯৯০ বিশ্বকাপের ট্রফি। ম্যারাডোনাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বর্তমানের ফুটবলাদের নিয়েও মন্তব্য করেন ম্যাথিউস। এ প্রসঙ্গে মেসিকেও প্রশংসায় ভাসান তিনি। মেসির প্রশংসা করতে গিয়েই ম্যাথিউস টেনে আনেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের প্রসঙ্গ। বলেন, ৩০ বছর আগে ম্যারাডোনা যেমন ছিল, এখন লিওনেল মেসি অনেকটা তেমনই। শুধু ম্যাথিউস কেন, মেসির প্রশংসা করেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দিন কয়েক আগে সর্বকালের আরেক সেরা ফুটবলার ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে মেসিকে প্রশংসায় ভাসান। এক অনুষ্ঠানের ফুটবলের রাজা পেলে এ সময়ের সেরা কে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি কয়েকজনের নামই বলতে পারি। কিন্তু গত ১০/১৫ বছরের হিসাব ধরলে নিঃসন্দেহে মেসির নাম উচ্চারণ করতে হবে। কারণ এই বছরগুলোতে সেই সবচেয়ে ধারাবাহিক খেলোয়াড়। পেলে আরও বলেন, মেসির পরই আসবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর নাম। তবে দুজনের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। মেসি অনেক বেশি সংগঠিত, গোল করতে সক্ষম। রোনাল্ডো অনেকটা ব্রাজিলের রোনাল্ডোর মতো। নিঃসন্দেহে তার গোল করার দারুণ দক্ষতা। তবে আমার মতে খেলোয়াড় হিসেবে মেসিই সেরা।
×