বর্তমানে যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঘটকের চাহিদা যদিও কমেছে; তথাপি ঘটকের রূপ অন্যভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন ঘটকের স্থানটি পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরাই অধিকাংশ সময় দখল করে থাকে। কারণ সন্তান যখন বিবাহযোগ্য হয়ে ওঠে তখন আত্মীয়স্বজন বা প্রতিবেশীরাই সবার আগে বিবাহযোগ্য নারী-পুরুষের খোঁজ দিয়ে থাকেন। আবার সন্তানেরা নিজেদের জীবন সঙ্গী নিজেরাই পছন্দ করে নেয়ার ফলে ঘটকের আর প্রয়োজন পড়ছে না। শহরের স্থায়ী বাসিন্দারাও আজকাল পাত্র-পাত্রী দেখার জন্য আর ‘পাখিভাই’য়ের সন্ধান করেন না বিধায় ঘটকের পাশাপাশি শহরের পাখি ভাইও বহু আগেই হারিয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মিডিয়াও অনেক সময় ঘটকের স্থানটি দখল করে নিয়েছে। সংবাদপত্রে অনেক সময় পাত্র-পাত্রী চাই নামে বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। ফেসবুকের মাধ্যমে পাত্র-পাত্রী নিজেই পছন্দ অনুযায়ী জীবনসঙ্গী বেছে নিচ্ছে। এই সকল সাহায্যকারী মিডিয়াগুলো অবশ্যই ভাল। তবে আমাদের গ্রামবাংলার এই যে একটি ঐতিহ্য ‘ঘটকের ঘটকালি’ তা কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা কখনই চাই না আমাদের এই ঐতিহ্য হারিয়ে যাক।
বনানী, ঢাকা থেকে