ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পিএসজির সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছেন নেইমার

লিভারপুলের ‘নেইমার’ ফিরমিনো!

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

লিভারপুলের ‘নেইমার’ ফিরমিনো!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চার বছর জার্মান ক্লাব হফেনহেইমে খেলেছেন রবার্তো ফিরমিনো। সেখানে নিজের বিস্ময়কর প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়েছেন তিনি। পরিপক্ব হয়ে গত বছর যোগ দেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের অন্যতম সেরা ক্লাব লিভারপুলে। অভিষেক মৌসুমে ক্লাবকে কোন শিরোপা উপহার দিতে না পারলেও ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সে আলো ছড়িয়েছেন ঠিকই। তবে অলরেডদের বর্তমান কোচ জার্গেন ক্লপের অধীনে স্বদেশী তারকা নেইমার হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ২৪ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বলেন, ‘তিনি কী আমাকে লিভারপুলের নেইমার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন? প্রকৃতপক্ষে এর সবকিছু আমার উপরই নির্ভর করছে।’ জার্মান বুন্দেসলিগায় ফিরমিনো যখন খেলছেন তখন জার্গেন ক্লপ ছিলেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ। যে কারণে তখন ক্লপের প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলেছেন রবার্তো ফিরমিনো। তাই গত মৌসুমে যখন শুনলেন সেই ক্লপই তার কোচ হয়ে এ্যানফিল্ডে আসছেন তখন তার মতো খুশি নাকি আর কেউই হননি। তাছাড়া একই লীগে খেলার কারণে অভিজ্ঞ কোচ জার্গেন ক্লপ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা ছিল তার। এ প্রসঙ্গে নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে হফেনহেইমের জার্সিতে ১৪০ ম্যাচ খেলে ৩৮ গোল করা ফিরমিনো বলেন, ‘আমি ক্লপের দলের বিপক্ষে চার থেকে সাড়ে চার বছর খেলেছি। তাই খেলোয়াড়ের কাছ থেকে তিনি কি চান সেটা আমার জানা। যখন শুনলাম যে, তিনি লিভারপুলের কোচ হয়ে আসছেন তখন আমি এতটাই আনন্দিত হয়েছিলাম যে তা বলে বুঝাতে পারব না।’ বিশ্ব ফুটবলে যে ক’জন অভিজ্ঞ কোচ বর্তমানে ডাগআউট কাঁপাচ্ছেন জার্গেন ক্লপ নিঃসন্দেহেই তাদের একজন। জার্মান বুন্দেসলিগায় পেপ গার্ডিওলা-জার্গেন ক্লপ দ্বৈরথ দেখে মুগ্ধ-বিমোহিত হয়েছে বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক। ডাগআউটের কোচ ক্লপ ব্যক্তি হিসেবেও অসাধারণ। তার বিশেষণ দিতে গিয়েই রবার্তো ফিরমিনো বলেন, ‘সে কি আনবে তা আমি জানতাম। জার্মানি থেকে সে এখানে খেলার স্টাইল নিয়ে এসেছে এবং দল তার সঙ্গে খাপ খাওয়াচ্ছে। ব্যক্তি হিসেবেও সে অসাধারণ।’ এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল বার্সিলোনায় যোগ দেয়ার আগে পিএসজির সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন নেইমার। অবশেষে সেটাকে সত্য বলেই স্বীকার করেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। এ প্রসঙ্গে নেইমার বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা পিএসজির অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি বার্সিলোনাতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ এখানে আমার নিজের বাড়ির মতোই অনুভব করেছি। এখানে সতীর্থদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। এখন আমি শুধুই বার্সার।’
×