ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ১৩.৮৭%

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ১৩.৮৭%

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারদর ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে স্টক এক্সচেঞ্জটির দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে এ ব্যাংক। পাঁচ কার্যদিবসে আইএফআইসি ব্যাংকের ৩৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এক বছরেরও বেশি সময় নিম্নমুখী প্রবণতায় থাকার পর চলতি মাসের শুরু থেকে আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারদর বাড়তে শুরু করে। ডিএসইতে সর্বশেষ ১৯ টাকা ৫০ পয়সায় আইএফআইসির শেয়ার হাতবদল হয়, ২৮ আগস্ট যা ছিল ১৫ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সা ও সর্বনিম্ন ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। গেল বছর ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩ টাকা ৫১ পয়সা। এদিকে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-মার্চ) এ ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৬১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা। ৩০ জুন ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ২৬ টাকা ৮ পয়সা। ২০১৪ সালের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় আইএফআইসি। এমটিবির উদ্যোক্তা শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পূর্ব ঘোষণা অনুসারে বাজারদরে নিজ প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) লিমিটেডের উদ্যোক্তা পারভীন আক্তার। এখন তার হাতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির চার হাজার শেয়ার রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ২০১৫ সালের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে এমটিবি। সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৪২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৬০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ২৪ টাকা ১৮ পয়সা। ২০১৪ সালের জন্যও ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় এ ব্যাংক। এদিকে, প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ব্যাংকটির ইপিএস আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ১ টাকা ৪৪ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২১ টাকা ১৯ পয়সা। ডিএসইতে বৃহস্পতিবার এমটিবি শেয়ারের দর ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে এর সর্বনিম্ন দর ছিল ১৪ টাকা ও সর্বোচ্চ ২০ টাকা ৩০ পয়সা। তিন কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সমাপ্ত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি ৩টি হলো- ডেলটা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। ডিএসই ও কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডেলটা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ॥ ডেলটা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ রয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৬৭ পয়সা। এ সময়ে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য হয়েছে ৩১ টাকা ১০ পয়সা। সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ॥ সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ রয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫৪ পয়সা। এ সময়ে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য হয়েছে ২৩ টাকা ২৯ পয়সা। ইস্টার্ন হাউজিং ॥ ইস্টার্ন হাউসিং পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি ৩১ জুলাই, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ রয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ১৬ পয়সা। এ সময়ে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য হয়েছে ৬৭ টাকা ৬৭ পয়সা। ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৮ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। বিশ্লেষকদের মতে, পিই রেশিও যতদিন ১৫ এর ঘরে থাকে ততদিন বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে। সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৮ দশমিক ৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২০ দশমিক ৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৭ দশমিক ৫ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ২৬ দশমিক ৯ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৩ দশমিক ৮ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১০ দশমিক ৭ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৩৭ দশমিক ৩ পয়েন্টে। এছাড়া পাট খাতের মাইনাস ২৫ দশমিক ৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৬ দশমিক ১ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতে ২০ দশমিক ৩ পয়েন্ট, কাগজ খাতের ২৫ দশমিক ৮ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৩ দশমিক ৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২১ দশমিক ৭ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ২১ দশমিক ৪ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১২ দশমিক ৪ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১৮ দশমিক ৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেনের শীর্ষে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাত উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশ ছিল এই খাতের অবদান। লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, আলোচিত সপ্তাহে জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন ৮৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রকৌশল খাত ১৭ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আলোচিত সপ্তাহে এই খাতে প্রতিদিন ৮০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ওষুধ-রসায়ন খাতে ১২ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আলোচিত সপ্তাহে প্রতিদিন এই খাতে ৫৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া লেনদেনের তালিকায় থাকা ব্যাংক খাতে ১১ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ৯ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৭ শতাংশ, সিমেন্ট ও খাদ্য-আনুষঙ্গিক খাতে ৫ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৪ শতাংশ, আইটি খাতে ৩ শতাংশ। Ñঅর্থনৈতিক রিপোর্টার ব্লক মার্কেটে বেক্সিমকো ফার্মার ১ লাখ শেয়ার লেনদেন ব্লক মার্কেটে বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি শেয়ার বেক্সিমকো ফার্মা লেনদেন করেছে। কোম্পানিটি ১ লাখ শেয়ার লেনদেন করেছে। যার আর্থিক মূল্য ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ব্লক মার্কেটে মোট ৪ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলো মোট ২ লাখ ১৫ হাজার ৫০০টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এমজেএলবিডি ৭০ হাজার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটি আজ ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ৩০ হাজার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এছাড়া লিন্ডেবিডি ১৫ হাজার ৫০০ শেয়ার লেনদেন করেছে। যার আর্থিক মূল্য ২ কোটি ২০ লাখ টাকা। Ñঅর্থনৈতিক রিপোর্টার
×