ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বার্সিলোনাকে মাটিতে নামাল এ্যালাভেস

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বার্সিলোনাকে মাটিতে নামাল এ্যালাভেস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিস্ময়করই সাফল্যই বলতে হবে। দশ বছর পর এবারই স্প্যানিশ লা লিগায় উঠে এসেছে এ্যালাভেস। অথচ চলমান ২০১৬-১৭ মৌসুমে তিন ম্যাচ শেষে তারা অপরাজিত। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে রুখে দেয় ১-১ গোলে। পরের ম্যাচেও গোলশূন্য ড্র স্পোটিং গিজনের সঙ্গে। আর তিন নম্বর ম্যাচে এসে তো রীতিমতো রাঘব বোয়াল শিকার। শনিবার রাতে ন্যুক্যাম্পে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সিলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে নবাগত এ্যালাভেস। প্রথম তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিই শীর্ষসারির প্রতিপক্ষ। এবার এ্যালাভেস নিশ্চিত করেই বড় সাফল্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যেমনটি গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে করেছে লিচেস্টার সিটি। নিজেদের মাঠে খেলা। বার্সা কোচ লুইস এনরিকে হয়ত প্রতিপক্ষকে দুর্বলই ভেবেছিলেন। তাই তো যুবদলের একঝাঁক ফুটবলার নামিয়ে দেন। বাইরে রাখেন লিওনেল মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের। কিন্তু বিরতির পর অবস্থা বেগতিক দেখে এদের মাঠে নামান বার্সা বস। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। লজ্জার হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে কাতালানদের। এর ফলে ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে স্বর্ণ সাফল্য পাওয়া নেইমারের বার্সার হয়ে ফেরাটা সুখকর হলো না। বার্সা হারলেও তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ঠিকই জয় পেয়েছে। সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে ওসাসুনাকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টানা তিন জয় পেয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই ইউরো জয়ের পর মাঠে ফেরেন সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ম্যাচে গোল করে ফেরাটা রঙিন করেছেন ইউরোপসেরা তারকা। প্রথম দুই রাউন্ড শেষে শীর্ষে থাকা লাস পালমাসকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়েছে সেভিয়া। নিজেদের মাঠে তারা ২-১ গোলে হারায় পালমাসকে। বর্তমানে তিনটি করে ম্যাচ শেষে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সেভিয়া। বার্সা চার আর এ্যাটলেটিকোর অবস্থানে পাঁচে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে এখনও না হারা এ্যালাভেসের অবস্থান সাত নম্বরে। তুলনামূলক দুর্বল দল বলেই হয় তো দলের তারকা খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছিলেন বার্সিলানা কোচ লুইস এনরিকে। দলে আনেন সাত পরিবর্তন। ডাগআউটে বসে ছিলেন মেসি, ইনিয়েস্তা ও সুয়ারেজ। অবশ্য শুরু থেকে মাঠে ছিলেন নেইমার। নবাগত এ্যালাভেসকে হালকাভাবে নেয়া যে ঠিক হয়নি, সেটা অবশ্য ম্যাচ শেষে ভালমতোই টের পেয়েছেন কোচ এনরিকে। নিজেদের মাঠে বার্সা পিছিয়ে পড়ে প্রথমার্ধেই। ৩৯ মিনিটে এ্যালাভেসের হয়ে প্রথম গোল করেন ফরোয়ার্ড ব্রুনো সিলভা ডেভারসন। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে সমতা ফেরায় বার্সিলোনা। ৪৬ মিনিটে নেইমারের কর্নার থেকে হেড করে বল জালে জড়ান জেরোম ম্যাথিউ। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে ম্যাচের ৬০ মিনিটে এনরিকে মাঠে নামান তুরুপের তাস মেসিকে। কিন্তু গোল করা তো দূরের কথা, ৬৪ মিনিটে বার্সিলোনাই উল্টো হজম করে বসে একটি গোল। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় এ্যালাভেস। অঘটন এড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমে পড়েন ইনিয়েস্তা ও সুয়ারেজও। কিন্তু জয় দূরে থাক, সমতাও ফেরাতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অথচ স্পেনের উওরাঞ্চলের প্রদেশ এ্যালাভার ভিটোরিয়া-গাস্টিয়েজ শহরের একটা ছোট ক্লাব ডিপোর্টিভো এ্যালাভেস। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৯৫ বছর আগে, ১৯২১ সালে। প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পরই তারা স্পেনের দ্বিতীয় বিভাগে উঠে আসে, ৮ বছর পর লা লিগায়। কিন্তু নিজেদের ধরে রাখতে পারেনি তারা। তিন বছর পরই নেমে যেতে হয় আবার দ্বিতীয় বিভাগে। এতদিন এই ওঠা নামার মধ্যেই থাকতে হয়েছে তাদের। ৯৫ বছরে লা লিগায় এবার নিয়ে এটা তাদের ১২তম মৌসুম। সর্বোচ্চ সাফল্য ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ৬ষ্ঠ হওয়া। এবার হয়ত সেই সাফল্য ছাড়িয়ে যাওয়ার পণ করেছে তারা। অবশ্য বার্সাকে হারানোর অভিজ্ঞতা একেবারে নতুন নয় এ্যালাভেসের জন্য। ন্যুক্যাম্পেই ২০০০ সালে বার্সাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ এনরিকে বলেন, জয়ের ক্ষেত্রে মূল খেলোয়াড়দের ব্যক্তি নৈপুণ্যের কথা বলা হয়। কিন্তু হারের ক্ষেত্রে শুধু কোচকে নিয়েই কথা হয়। হারের জন্য আমিই দায়ী। একটি হার আমাদের শিখতে ও ভাবতে তাগিদ দেয়। আমরা ভুল করেছিলাম, নিখুঁত ছিলাম না। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর আর মাঠে দেখা যায়নি রোনাল্ডোকে। চোটের কারণে ছিলেন দুই মাস মাঠের বাইরে। পরশু রাতে মাঠে ফিরে রিয়ালের হয়ে প্রথম গোল করেন সি আর সেভেন। এরপর রিয়ালের হয়ে একে একে গোল করেন ড্যানিলো, রামোস, পেপে ও মডরিচ। শুরুতে গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেছে রোনাল্ডোর। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, সত্যি কথা হলো আমি শুরুতে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। বড় কোন ইনজুরির পর যেটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখন খুব ভাল লাগছে। ব্যথা ছাড়াই খেলতে পেরেছি। দ্রুতই পুরো ফিটনেস ফিরে পাব। বার্সিলোনাকে মাটিতে নামাল এ্যালাভেস স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিস্ময়করই সাফল্যই বলতে হবে। দশ বছর পর এবারই স্প্যানিশ লা লিগায় উঠে এসেছে এ্যালাভেস। অথচ চলমান ২০১৬-১৭ মৌসুমে তিন ম্যাচ শেষে তারা অপরাজিত। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে রুখে দেয় ১-১ গোলে। পরের ম্যাচেও গোলশূন্য ড্র স্পোটিং গিজনের সঙ্গে। আর তিন নম্বর ম্যাচে এসে তো রীতিমতো রাঘব বোয়াল শিকার। শনিবার রাতে ন্যুক্যাম্পে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সিলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে নবাগত এ্যালাভেস। প্রথম তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিই শীর্ষসারির প্রতিপক্ষ। এবার এ্যালাভেস নিশ্চিত করেই বড় সাফল্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যেমনটি গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে করেছে লিচেস্টার সিটি। নিজেদের মাঠে খেলা। বার্সা কোচ লুইস এনরিকে হয়ত প্রতিপক্ষকে দুর্বলই ভেবেছিলেন। তাই তো যুবদলের একঝাঁক ফুটবলার নামিয়ে দেন। বাইরে রাখেন লিওনেল মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের। কিন্তু বিরতির পর অবস্থা বেগতিক দেখে এদের মাঠে নামান বার্সা বস। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। লজ্জার হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে কাতালানদের। এর ফলে ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে স্বর্ণ সাফল্য পাওয়া নেইমারের বার্সার হয়ে ফেরাটা সুখকর হলো না। বার্সা হারলেও তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ঠিকই জয় পেয়েছে। সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে ওসাসুনাকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টানা তিন জয় পেয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই ইউরো জয়ের পর মাঠে ফেরেন সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ম্যাচে গোল করে ফেরাটা রঙিন করেছেন ইউরোপসেরা তারকা। প্রথম দুই রাউন্ড শেষে শীর্ষে থাকা লাস পালমাসকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়েছে সেভিয়া। নিজেদের মাঠে তারা ২-১ গোলে হারায় পালমাসকে। বর্তমানে তিনটি করে ম্যাচ শেষে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সেভিয়া। বার্সা চার আর এ্যাটলেটিকোর অবস্থানে পাঁচে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে এখনও না হারা এ্যালাভেসের অবস্থান সাত নম্বরে। তুলনামূলক দুর্বল দল বলেই হয় তো দলের তারকা খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছিলেন বার্সিলানা কোচ লুইস এনরিকে। দলে আনেন সাত পরিবর্তন। ডাগআউটে বসে ছিলেন মেসি, ইনিয়েস্তা ও সুয়ারেজ। অবশ্য শুরু থেকে মাঠে ছিলেন নেইমার। নবাগত এ্যালাভেসকে হালকাভাবে নেয়া যে ঠিক হয়নি, সেটা অবশ্য ম্যাচ শেষে ভালমতোই টের পেয়েছেন কোচ এনরিকে। নিজেদের মাঠে বার্সা পিছিয়ে পড়ে প্রথমার্ধেই। ৩৯ মিনিটে এ্যালাভেসের হয়ে প্রথম গোল করেন ফরোয়ার্ড ব্রুনো সিলভা ডেভারসন। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে সমতা ফেরায় বার্সিলোনা। ৪৬ মিনিটে নেইমারের কর্নার থেকে হেড করে বল জালে জড়ান জেরোম ম্যাথিউ। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে ম্যাচের ৬০ মিনিটে এনরিকে মাঠে নামান তুরুপের তাস মেসিকে। কিন্তু গোল করা তো দূরের কথা, ৬৪ মিনিটে বার্সিলোনাই উল্টো হজম করে বসে একটি গোল। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় এ্যালাভেস। অঘটন এড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমে পড়েন ইনিয়েস্তা ও সুয়ারেজও। কিন্তু জয় দূরে থাক, সমতাও ফেরাতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অথচ স্পেনের উওরাঞ্চলের প্রদেশ এ্যালাভার ভিটোরিয়া-গাস্টিয়েজ শহরের একটা ছোট ক্লাব ডিপোর্টিভো এ্যালাভেস। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৯৫ বছর আগে, ১৯২১ সালে। প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পরই তারা স্পেনের দ্বিতীয় বিভাগে উঠে আসে, ৮ বছর পর লা লিগায়। কিন্তু নিজেদের ধরে রাখতে পারেনি তারা। তিন বছর পরই নেমে যেতে হয় আবার দ্বিতীয় বিভাগে। এতদিন এই ওঠা নামার মধ্যেই থাকতে হয়েছে তাদের। ৯৫ বছরে লা লিগায় এবার নিয়ে এটা তাদের ১২তম মৌসুম। সর্বোচ্চ সাফল্য ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ৬ষ্ঠ হওয়া। এবার হয়ত সেই সাফল্য ছাড়িয়ে যাওয়ার পণ করেছে তারা। অবশ্য বার্সাকে হারানোর অভিজ্ঞতা একেবারে নতুন নয় এ্যালাভেসের জন্য। ন্যুক্যাম্পেই ২০০০ সালে বার্সাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ এনরিকে বলেন, জয়ের ক্ষেত্রে মূল খেলোয়াড়দের ব্যক্তি নৈপুণ্যের কথা বলা হয়। কিন্তু হারের ক্ষেত্রে শুধু কোচকে নিয়েই কথা হয়। হারের জন্য আমিই দায়ী। একটি হার আমাদের শিখতে ও ভাবতে তাগিদ দেয়। আমরা ভুল করেছিলাম, নিখুঁত ছিলাম না। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর আর মাঠে দেখা যায়নি রোনাল্ডোকে। চোটের কারণে ছিলেন দুই মাস মাঠের বাইরে। পরশু রাতে মাঠে ফিরে রিয়ালের হয়ে প্রথম গোল করেন সি আর সেভেন। এরপর রিয়ালের হয়ে একে একে গোল করেন ড্যানিলো, রামোস, পেপে ও মডরিচ। শুরুতে গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেছে রোনাল্ডোর। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, সত্যি কথা হলো আমি শুরুতে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। বড় কোন ইনজুরির পর যেটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখন খুব ভাল লাগছে। ব্যথা ছাড়াই খেলতে পেরেছি। দ্রুতই পুরো ফিটনেস ফিরে পাব।
×