ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সামিট পাওয়ারের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২৬ আগস্ট ২০১৬

সামিট পাওয়ারের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অনির্দিষ্টকালের জন্য সামিট পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন বন্ধ করেছে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। বুধবার রাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সামিট পাওয়ারের লেনদেন বন্ধ থাকবে। এর আগে বুধবার সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে (এসপিপিসিএল) তালিকাচ্যুত করে সামিট পাওয়ারের লেনদেন অব্যাহত রাখে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। পূর্বঘোষণা অনুসারে, ২৩ আগস্ট রেকর্ড ডেটের পর বুধবার থেকে সামিট পাওয়ারের সঙ্গে গ্রুপের আরও তিন বিদ্যুত কোম্পানির একীভূতকরণ স্কিম কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে এসপিপিসিএল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ছিল। কোম্পানিটিকে বুধবার তালিকাচ্যুত করেছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। এদিকে এখনও আনুপাতিক হারে সামিট পাওয়ারের শেয়ার পাননি এসপিপিসিএলের শেয়ারহোল্ডাররা। একীভূতকরণ অনুযায়ী, নিজ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সামিট পাওয়ারের ১ দশমিক ৩০৯টি শেয়ার পাবেন সামিট পূর্বাঞ্চলের শেয়ারহোল্ডাররা। সামিট উত্তরাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানির একটি শেয়ারের বিপরীতে সামিট পাওয়ারের ১ দশমিক ৬৬৮টি এবং সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ারের একটি শেয়ারের বিপরীতে সামিট পাওয়ারের ১ দশমিক ৪৭৫টি শেয়ার দেয়া হবে। লেনদেন স্থগিত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, একীভূতকরণের পর বুধবার সামিট পাওয়ারের প্রথম লেনদেন হয়। এদিন লেনদেনের সময় কোম্পানিটির মূলধনগত কিছু জটিলতা আমাদের নজরে আসে। পরে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে আগামী কার্যদিবস রবিবার থেকে কোম্পানিটির লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নোটিস না দেয়া পর্যন্ত তাদের লেনদেন বন্ধ থাকবে। এর বাইরে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। ডিএসইর ওয়েবসাইটে সামিট পাওয়ারের পরিশোধিত মূলধন দেখানো হচ্ছে ১ হাজার ৬৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ডিএসই একীভূতকরণ পরবর্তী মূলধন গণনা করেছে। অন্যদিকে সিএসইর ওয়েবসাইটে একীভূতকরণ-পূর্ব ৮২৬ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধন প্রদর্শন করা হচ্ছে। এদিকে ডিএসইতে অনুমোদিত মূলধন দেখানো হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ কোটি ও সিএসইতে ১ হাজার কোটি টাকা। জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২২৮ ও ২২৯ ধারা অনুসারে উচ্চ আদালতে তিন কোম্পানিকে সামিট পাওয়ারের সঙ্গে একীভূতকরণের অনুমোদন চাওয়া হলে শর্তসাপেক্ষে গত ১৪ জুলাই সামিট গ্রুপের তিন কোম্পানির একীভূতকরণের চূড়ান্ত অনুমতি দেন হাইকোর্ট বিভাগ। শর্তের আলোকে নিরপেক্ষ ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট জমা দেয় কোম্পানি।
×