অনলাইন ডেস্ক ॥টলিউডের এক নম্বর নায়িকার মুকুটটা দীর্ঘ দিন ছিল তাঁরই মাথায়। কিন্তু হঠাৎই কোনও নোটিশ না দিয়ে টলি-পাড়ায় অনিয়মিত হয়ে গিয়েছেন তিনি। ঠিকই ধরেছেন। কোয়েল মল্লিক রাণের কথাই বলছি। বড় পর্দা, অভিনয় সব কিছু আপাতত শিকেয় তুলে কেরিয়ারের মাঝ পথে হঠাৎই পুরোদস্তুর ঘরণী হয়ে উঠেছেন কোয়েল। আর এক নায়িকা শ্রাবন্তীর জীবনেও ফুটেছে দ্বিতীয় বিয়ের ফুল। লাইনে রয়েছেন আরও বেশ কিছু প্রথম সারির নায়িকা। তাঁদের বয়ফ্রেন্ড কারা? কবেই বা ছাদনাতলায় বসছেন টলিগঞ্জের প্রথম সারির এই সব নায়িকা? দেখে নিন এক নজরে।
পাওলি:
এই মুহূর্তে কেরিয়ারের তুঙ্গে। নতুন করে কামব্যাক করেছেন টালিগঞ্জের আকাশে। পাত্র গুয়াহাটিবাসী ব্যবসায়ী অর্জুন দে। স্বচ্ছল পরিবার। পাওলি চান ২০১৭-তে বিয়েটা সেরে ফেলতে।
সমস্যা হল তাঁর হালফিলের দুর্ধর্ষ কামব্যাক। সংসার না খ্যাতি? কোনটাকে এগিয়ে রাখবেন পাওলি? নাকি দুটোই চলবে একই সঙ্গে? উত্তরটা সময়ই দেবে।
নুসরত:
এই মুহূর্তে টালিগঞ্জে নায়িকার দৌড়ে এক নম্বর ছুঁইছুঁই জায়গা তাঁর। সামনে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মেগা ছবি রিলিজ। সঙ্গে রয়েছে সবচেয়ে বড় প্রোডাকশন হাউজের অনাবিল ব্যাকিং। নুসরতের গত পাঁচ বছরের বয়ফ্রেন্ড ভিক। বন্ধুবৎসল, ভীষণ লো প্রোফাইল থাকতে পছন্দ করেন ভিক। নুসরত বলছেন, “এখনও অনেক কিছু করা বাকি। সত্যি বলছি, আরও ভাল কাজ করতে চাই। নিজের জন্য নয়, মানুষের জন্যও কিছু করতে চাই। তারপর বিয়ের কথা ভাবব।”
শ্রাবন্তী:
এই মুহূর্তে তাঁর হাতে ছবির সংখ্যা কম। কিন্তু গ্ল্যামার এবং অভিনয় দু’টোই যেহেতু আয়ত্তে, যে কোনও দিন আবার এক নম্বর নায়িকার আসনে বসে পড়তে পারেন। পাত্র মুম্বইয়ের নামকরা মডেল কিষাণ ভিরাজ। শ্রাবন্তীর রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়ে গিয়েছে তাঁর সঙ্গে। ফেসবুকে এক সঙ্গে প্রচুর ছবি দেন। শ্রাবন্তীর ছেলে ঝিনুকের সঙ্গেও নাকি কিষাণের দারুণ আন্ডারস্ট্যান্ডিং।
রাইমা:
এঁনার স্ট্যাটাসের খবর একমাত্র জানতে পারেন ঈশ্বর। তবে গত দু’বছর গভীর ভাবে প্রেম করছেন বলে খবর। রাইমা নাকি প্রেম করছেন কলকাতার এক হোটেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে। নাম বিক্রম। রাইমা বললেন, “আমি কোনও দিন বিয়ে করব না।” শোনা যাচ্ছে, বিক্রমের সঙ্গে সম্পর্কে নাকি এখনও ব্যাপক মেঘ জমা রয়েছে।
তনুশ্রী:
কেরিয়ারের দিক থেকে এই মুহূর্তে বহু আলোচিত ‘মহানায়ক’ সিরিয়ালের-এর সুপ্রিয়া দেবী। পাশাপাশি বেশ কয়েকটা ছবির কাজ করছেন। পাত্র ব্যবসায়ী রাজকুমার গুপ্ত। গার্লফ্রেন্ডের দিকে তাঁর খেয়াল ষোলো আনা। তবে এক্ষুনি বিয়ে? উঁহু! নৈব নৈব চ! আপাতত কাজই তনুশ্রীর কাছে ফার্স্ট প্রায়োরিটি।
শুভশ্রী:
এই মুহূর্তে টালিগঞ্জে জোর কামব্যাকের মুখে তিনি। হাতে রয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি ‘ধূমকেতু’। যেখানে তাঁর বিপরীতে দেব। একই সঙ্গে রয়েছে রাজ চক্রবর্তীর ছবি, যেখানে তিনি জিতের হিরোইন।
ভাবা যায়! আপাতত বয়ফ্রেন্ডের খবর নেই। তিনি সিঙ্গল এবং অবশ্যই রেডি টু মিঙ্গল।
সোহিনী:
অন্য রকম ছবির নায়িকাদের দৌড়ে প্রথম সারিতে। লো প্রোফাইল মেনটেন করেন। থাকেন নিজের জগতে। পাত্র পদস্থ চাকুরিজীবী। তবে তিনি এখনও অজ্ঞাত পরিচয়। আর বিয়ে? সোহিনী বললেন, ‘আমি দেশের ছেলেকেই বিয়ে করব। আমি তো আর বিদেশে শ্যুটিং করতে যাই না...।’
সায়ন্তিকা:
এই মুহূর্তে বেশ কিছু কমার্শিয়াল ছবি তাঁর হাতে। বয়ফ্রেন্ড ফিল্ম ও টেলিভিশন-এর অভিনেতা জয় মুখোপাধ্যায়। মিষ্টি ব্যবহার। কোনও ইগো নেই। তিনি মুখ্যত টেলিভিশনে অভিনয় করেন আর তাঁর গার্লফ্রেন্ড সিনেমা। তা নিয়েও কোনও অভিমান নেই। সায়ন্তিকার মতে এখন শুধুই কাজ। বিয়ে অবশ্যই করবেন, তবে কিছু বছর পর।
পায়েল:
বহু দিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা পাকা করেছেন পায়েল। তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। এই মুহূর্তে পরিচালক আবীর সেনগুপ্ত তাঁর বয়ফ্রেন্ড। আপাতত দু’জনেই মুম্বইনিবাসী।
পায়েল বললেন, ‘আবীরকেই যে বিয়ে করব, সেটা ভেবে এগোচ্ছি আমি। সব সময় আবীরের পাশে থাকতে চাই। আর কাউকে কিছু প্রমাণ করার নেই।’ তবে ওই যে কথায় আছে, ‘না আঁচালে বিশ্বাস নেই।’
কৌশানি:
টালিগঞ্জের নামী উঠতি নায়িকাদের ব্র্যাকেটে। ঠোঁটকাটা বলে বড় হিরোরাও তাঁকে সমঝে চলেন। সম্ভাব্য পাত্র বনি সেনগুপ্ত। কিন্তু খোদ পাত্রী বলছেন, ‘আমার নামের সঙ্গে তিনজনের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বনি-অঙ্কুশ-রাজদা। আমি তিনজনের কাউকেই বিয়ে করছি না। আমি কি পাগল যে, কেরিয়ারের শুরুতেই বিয়ে করে বসব?’ সুতরাং দিল্লি দূর অস্ত!
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
