ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকের নীতি সহায়তার প্রভাব

পুঁজিবাজারে লেনদেনে উত্থান

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৮ আগস্ট ২০১৬

পুঁজিবাজারে লেনদেনে উত্থান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবারও মূল্য সূচকের মিশ্রাবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে। দিনটিতে সেখানকার সার্বিক সূচকটি বাড়লেও অপর দুটি সূচক কিছুটা কমেছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনে বড় উত্থান হয়েছে। এদিন আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্রে লেনদেন শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সহায়তা ঘোষণার পর নতুন বিনিয়োগ আসায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। সোমবার ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সপ্তাহের দ্বিতীয় লেনদেনে সূচক ও লেনদেন বাড়ে দুই বাজারে। এর আগে সপ্তাহের প্রথম দিন দুই বাজারেই লেনদেন বেড়েছিল। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোঃ এ হাফিজ বলেন, নীতি সহায়তা ঘোষণার পর পুঁজিবাজারে কিছু নতুন টাকা আসছে; ব্যাংকগুলোও নতুন করে কিছু বিনিয়োগ করছে। যার ফলে লেনদেন ও সূচক বাড়ছে। মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমানের মতো প্রায় একই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা এই ইতিবাচক লেনদেনে ভূমিকা রেখেছে, বলেন তিনি। পুঁজিবাজারের জন্য গত মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত নীতি সহায়তায় ব্যাংকের হাতে থাকা শেয়ার ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগের জন্য দেয়া ঋণ ওই সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর ফলে কোন ব্যাংক শেয়ার বিক্রি না করে তা সহযোগী প্রতষ্ঠানের মূলধনে রূপান্তরের মাধ্যমে নিজের বিনিয়োগ আইনী সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে পারছে। কিছু ব্যাংক নতুন করে বিনিয়োগের সুযোগ পেয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বুধবার ডিএসইতে ৫০৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৭৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার বেশি লেনদেন। মঙ্গলবারে ডিএসইতে ৪২৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। বুধবার ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৯টির, কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির শেয়ার দর। এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক দশমিক ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১২২ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৭৭১ পয়েন্টে। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো- ন্যাশনাল টিউবস, স্কয়ার ফার্মা, এ্যাপেক্স ট্যানারি, আমান ফিড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ইবনে সিনা, এসিআই ফর্মূলেশন, বেক্সিমকো ফার্মা ও সিঙ্গার বিডি। দরবৃদ্ধিও সেরা কোম্পানিগুলো হলো- ন্যাশনাল টিউবস, রহিম টেক্সটাইল, ইনটেক, স্টাইল ক্রাফট, আইপিডিসি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ইস্টার্ন কেবলস, লিব্রা ইনফিউশন ও লিগ্যাসি ফুটওয়ার। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো- মেঘনা পেট, জিল বাংলা, বিডি অটোকারস, জেমিনি সী ফুড, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, জুটস স্পিনার্স, বেঙ্গল উইন্ডসর ও এক্সিম ব্যাংক ১ম মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের মিশ্রাবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১২৫ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।
×