ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গুলশানের হোটেল রেস্তরাঁ উচ্ছেদ স্থগিত করার দাবি

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৯ আগস্ট ২০১৬

গুলশানের হোটেল রেস্তরাঁ উচ্ছেদ স্থগিত করার দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গুলশান, বনানী, বারিধারাসহ আবাসিক এলাকায় হোটেল, রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তারা জানিয়েছেন, সরকারের জ্ঞাতসারেই এ সকল হোটেল গেস্টহাউজ এ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ব্যবসা চলছে। এর সঙ্গে এক লক্ষ লোক জড়িত। এগুলো উচ্ছেদ করলে এক লক্ষ লোক বেকার হবে এবং ১০ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গত রবিবার এফবিসিসিআই মিলনায়তনে হোটেল, গেস্টহাউজ ও রেস্টুরেন্টস ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন এবং ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় ব্যবসায়ী নেতারা এ দাবি জানিয়েছেন। এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টোয়াবের প্রেসিডেন্ট তওফিক উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালন ড. গোলাম মোয়াজ্জেম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, স্থপতি মোবাশ্বের আলম ভূইয়া, ঢাকা চেম্বারের প্রেসিডেন্ট হোসেন খালেদ, ব্যাংকারদের সংগঠন এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, আবাসিক এলাকায় হোটেল রেস্টুরেন্টে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদে আলোচনা হয়েছে। ওই আলোচনায় ধাপে ধাপে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, দেশে পর্যটকদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত রুম নেই। এ কারণে হোটেল রেস্টুরেন্ট তুলে দেয়া হলে অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে। এ কারণে তিনি সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। স্থপতি মোবাশ্বের আলম ভূইয়া চলমান উচ্ছেদ অভিযানের বিরোধিতা করে বলেন, গত ৪০/৪৫ বছরে গড়ে উঠা ভুলভ্রান্তি পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়। বিদ্যমান সমস্যা ধাপে ধাপে পরিবর্তন করা সম্ভব। রাজধানীকে আধুনিক আবাসস্থল গড়ে তোলার জন্য বিদ্যমান আইন যুগোপযোগী করতে হবে। মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেছেন, শুধু গুলশান, বনানী ও বারিধারায় হোটেল রেস্টুরেন্টে প্রায় সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকাই ব্যাংক ঋণ। এ পরিস্থিতিতে হঠাৎ এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে এসব বিনিয়োগকারী পথে বসে যাবে। ব্যাংকের ঋণ খেলাপী হয়ে পড়বে। কর্মক্ষম শ্রমিক বেকার হয়ে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। তিনি সরকারকে এ বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে চলমান উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানান। ব্যাংকারদের সংগঠন এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান মাথাব্যথা করলে মাথা কেটে ফেলা কোন সমাধান নয়।
×