ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঘরের মাটিতে ৫০০তম টেস্ট ইংলিশদের, এজবাস্টনে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া পাকিস্তান

এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ৩ আগস্ট ২০১৬

এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লর্ডসে ৭৫ রানের দারুণ জয়ে শুরু পাকিস্তানের। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দ্বিতীয় টেস্টেই অতিথিদের গুড়িয়ে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে ইংল্যান্ডের জয় ৩৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে। চার ম্যাচের ‘ইনভেস্টেক’ সিরিজ কি তাহলে জমে উঠবে? দ্বৈরথের একটি দল পাকিস্তান বলেই উত্তরটা সহজ নয়! ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিদের নিয়ে পূর্বানুমান অসম্ভব। তবে সিরিজ জয়ের আশা জিইয়ে রাখতে মরিয়া মিসবাহ-উল হকের দল। অন্যদিকে ঘরের মাটিতে নিজেদের ‘ঐতিহাসিক’ ৫০০তম টেস্ট ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে ইংলিশরাও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের মতো দুর্দান্ত কিছুর অপেক্ষায়। ১-১ এ চলমান সিরিজে এ্যালিস্টার কুকের দলও চায় এগিয়ে যেতে। সব মিলিয়ে সাদা পোশাকের জামাটি এক দ্বৈরথের অপেক্ষা ক্রিকেট বিশ্ব। লর্ডসে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক ইয়াসির শাহ। ১০ শিকারে রেকর্ড বইয়ের অনেক হিসেব পাল্টে দেন ‘সেনসেশনাল’ লেগস্পিনার। ৪২ উর্ধ বয়সে সেঞ্চুরি (১১৪) হাঁকিয়ে আলোচনায় ছিলেন ‘অধিনায়ক’ মিসবাহও। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে তারা সেই ধারা ধরে রাখতে পারেনি। জো রুটের দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি (২৫৪), ক্রিস ওকস-জেমস এ্যান্ডরসনের আগুন বোলিংয়ের মুখে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অসহায় আত্মসমর্পণ পাকিদের। মূলত সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা অতিথিদের ডুবিয়েছে। তাদেরই অন্যতম জন ইউনুস খান বলেন, ‘এজবাস্টনে একমাত্র লক্ষ্য জয়, সিরিজে লিড নেয়া। ওল্ড ট্রাফোর্ডে আমরা মোটেই নিজেদের মতো খেলতে পারিনি। এখানে বোলার ও ব্যাটসম্যানদের একসঙ্গে জ্বলে উঠতে হবে। হয়ত প্রতিপক্ষও সেটা চাইবে। তবে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য আমাদের রয়েছে।’ লর্ডসে জয়ের পর মাঠেই বুকডন দিয়ে ঝড় তোলেন পাকিস্তানী ক্রিকেটাররা। এজবাস্টনে মিসবাহদের সেই যুদ্ধংদেহী মনোভাবটা আবারও দেখতে চান কোচ মিকি আর্থার। দ্বিতীয় টেস্টে লজ্জার হারের পর যেটি বড় প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আগের ম্যাচটাই ইংলিশদের বড় প্রেরণা। পেস আক্রমণের প্রধান অস্ত্র এ্যান্ডারসন যেমন বলেন, ‘লর্ডসে হারের পর আমরা সিরিজে দারুণভাবে ফিরে এসেছি। এবার এগিয়ে যাওয়ার পালা। সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। রুট ও কুকের ব্যাটে ভর করে যেমনটা ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে করেছিলাম। প্রতিপক্ষকে শুরুতেই চাপে ফেলতে হবে।’ এজবাস্টনের ইতিহাসও তাদের সঙ্গে। ইংলিশরা এখানে সর্বশেষ হেরেছিল সেই ২০০৮ সালে। এরপর ৫ ম্যাচের ৩টিতেই জয়, ড্র ২টিতে। সর্বশেষ জয় গত এ্যাশেজে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আর ২০১০Ñএর আলোচিত সেই সিরিজে এখানে ৯ উইকটে হেরেছিল সালমান বাটের পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের মাটিতে ৫০০তম টেস্ট বলে স্বাগতিকরা এটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইবে। ১৮৮০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ‘দ্য ওভালে’ ইতিহাসের প্রথম সাদা পোশাকের ম্যাচটি খেলে ইংলিশরা। ১৩৬ বছরে ৪৯৯ টেস্টের ২০৬টিতে জয় ইংল্যান্ডের, হার ১১৫ ও ড্র ১৭৮। ইংলিশরা ঘরের মাটিতে সবচেয়ে বেশি ১৬৬ টেস্ট খেলেছে আরেক কুলীন অসিদের বিপক্ষে। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৩, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৪, ভারতের বিপক্ষে ৫৭, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৪, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৯, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ৪টি করে। অর্থাৎ ঘরের মাটিতে পাকিদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হাফ সেঞ্চুরিতম টেস্ট এটি!
×