ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকলায় ‘বিরহ বরিষনে রবীন্দ্র নজরুল’ শীর্ষক আয়োজন

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৫ জুলাই ২০১৬

শিল্পকলায় ‘বিরহ বরিষনে রবীন্দ্র নজরুল’ শীর্ষক আয়োজন

গৌতম পা-ে ॥ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম গানে ও কবিতায় বর্ষাকে সাজিয়েছেন নানান শৈল্পিকতায়। রবীন্দ্র ও নজরুল অনুরাগী শিল্পীরাও নিজেদের কণ্ঠে বর্ষার প্রেম ও বিরহের সুরের সুধা ঢেলে দিলেন শিল্পকলা একাডেমিতে আগত বর্ষাপ্রিয়দের মাঝে। শিল্পীদের সুরের সুধায় অবগাহন করে মিলনায়তনে উপস্থিত দর্শক শ্রোতারাও করতালিতে অভিনন্দিত করে শিল্পীদের। শনিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিরহ বরিষনে রবীন্দ্র-নজরুল’ শীর্ষক এই আয়োজন। একক, দ্বৈত ও দলীয় সঙ্গীতের সুরের মূর্চ্ছনায় সরকারী সঙ্গীত কলেজের শিক্ষার্থীরা যেন বর্ষার আবহ নিয়ে আসে মিলনায়তনে। সুর, তালে, ছন্দের খেলায় তারা শুধু গানই পরিবেশন করেননি বাদল দিনকেই চিত্রিত করেছেন সমগ্র মিলনায়তনে। ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’ গানটির সমবেত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে শিল্পীরা ধারাবাহিকভাবে পরিবেশন করেন-অঝর ধারায় বর্ষা ঝরে, মন মোর মেঘের সঙ্গী, ফিরিয়া যদি সে আসে, শাওন গগনে ঘোর, এসো গো জ্বেলে দিয়ে, বরষা ঐ এলো বরষা, শ্রাবণ তুমি বাতাসে, পরদেশী মেঘ, ঝর ঝর ঝরে শাওনধারা, আঝি ঝর ঝর মুখর, শাওন আসিলো ফিরে, আজি বরিষণ মুখরিত, কেন মেঘের ছায়া। বর্ষাকে নিয়ে রবিঠাকুর ও নজরুলের এসব গানে নান্দনিকতার এক ধাপে এগিয়ে যায় অনুষ্ঠানটি। এতে আবৃত্তি পরিবেশন করেন কৃষ্টি হেফাজ । নৃত্য পরিবেশন করেন শুক্লা। সরকারী সঙ্গীত কলেজের উদ্যোগে এই সঙ্গীতাসরে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সঙ্গীত কলেজের অধ্যক্ষ শামীমা পারভীনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিসচিব আক্তারী মমতাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সঙ্গীত কলেজের উপাধ্যক্ষ কৃষ্টি হেফাজ। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালিদের চেতনা জাগ্রত করে তাদের সংস্কৃত করেছেন। তারা আমাদের মানবিক মূল্যবোধের সংস্কৃতির র্শিক্ষা দিয়েছেন, দেশপ্রেমিক ও বিশ্বমানব হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। যে সংস্কৃতি আমাদের বিভক্ত করে না, এই সংস্কৃতি আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে।
×