ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পেলের পুরস্কারের নিলাম শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৮ জুন ২০১৬

পেলের পুরস্কারের নিলাম শুরু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবল তারকা কিংবদন্তি পেলের পুরস্কারগুলোর আনুষ্ঠানিক নিলাম শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিন দিনব্যাপী এই নিলামে পেলের সংগৃহীত জার্সি, স্যুভেন্যুর ও বিভিন্ন মেডেল বিক্রি করা হবে। বর্ণিল ক্যারিয়ারের অধিকারী পেলের সংগৃহীত সামগ্রীগুলো লস এ্যাঞ্জেলসভিত্তিক নিলামকারী প্রতিষ্ঠান জুলিয়ানসের মাধ্যমে লন্ডনে বিক্রি করা হচ্ছে, যা বিক্রি করে ৩০ লাখ পাউন্ড উপার্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পেলে একমাত্র ফুটবলার যিনি তিনবার বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেছেন। যে কারণে তিনি তৎকালীন জুলিয়াস রেমি রেপ্লিকাটি তিনবার জয় করেন। এটির মূল্য ধরা হয়েছে আনুমানিক ৪ লাখ ১০ হাজার পাউন্ড। ১৯৫৮, ৬২ ও ৭০ সালে বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের কারণে তিনি যে মেডেলগুলো পেয়েছেন তার একেকটির মূল্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড। প্রয়াত দাদিকে ডি মারিয়ার উপহার স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিধাতার লিখন কেই বা খ-াতে পারে। চিলির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগ মুহূর্তে করুণ এক সংবাদ পান এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। জানতে পারেন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন দাদি। এমন দুঃসংবাদ শোনার পরও অবিচল ছিলেন ডি মারিয়া। খেলতে নামেন মাঠে। শোককে শক্তিতে পরিণত করে ম্যাচে কি দুর্দান্তই না খেললেন। চিলির বিরুদ্ধে নিজে একটি গোল করেছেন, এভার বানেগাকে দিয়ে করিয়েছেন আরেকটি। ম্যাচ শেষে নায়ক ওই মারিয়াই। গোল করার পর মারিয়া তাই সদ্য প্রয়াত দাদিকে স্মরণ করেন। এটিই হয়ত দাদির জন্য তার উপহার। সান্টা ক্লারার লিভাইস স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৫১ মিনিটে এভার বানেগার পাস থেকে বল পেয়ে দলকে এগিয়ে দেয়ার পর এক দৌড়ে মাঠের বাইরে চলে যান ডি মারিয়া। সেখানে আর্জেন্টিনা দলের এক কর্মকর্তা একটা সাদা টি-শার্ট তুলে দেন তাঁর হাতে। যে টি-শার্টে লেখা ছিল, ‘দাদি, তোমাকে অনেক মিস করব।’ এরপর দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জয় নিশ্চিত করেন বানেগা। অনুমিতভাবে ডি মারিয়াই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। খেলাশেষে সাক্ষাতকারে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘আমি খেলতে চেয়েছিলাম, আমাকে খেলতেই হতো। জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাওয়ায় দাদি আমাকে নিয়ে ভীষণ গর্বিত ছিলেন।’ দাদির মৃত্যুর পর ডি মারিয়া ইনস্টাগ্রামেও একটা পোস্ট দিয়েছেন। দাদির সঙ্গে নিজের ছবিতে লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় বুড়ি মা, এবার তোমার বুড়োর পাশে শান্তিতে ঘুমাও। যেসব শিক্ষা আমাকে দিয়েছ, সেগুলো ধরে রাখতে পারার জন্য আমি গর্বিত। তোমার জন্য হৃদয়ের গভীর থেকে ভালবাসা।’ দলের অনেকে জানলেও আর্জেন্টিনার কোচ জেরার্ডো মার্টিনো নাকি দুঃসংবাদটা জানতেন না।
×