ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

খেলোয়াড়ের মাথায় বলের আঘাত, মাঠে নেই এ্যাম্বুলেন্স

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ৭ জুন ২০১৬

খেলোয়াড়ের মাথায় বলের আঘাত, মাঠে নেই এ্যাম্বুলেন্স

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার রমন লাম্বাকে মনে আছে? বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর ছিল অন্যরকম একটা সম্পর্ক। বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেট লীগ খেলতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৯৯৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রাণ হারিয়েছিলেন তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে। প্রতিপক্ষের ওপেনার মেহরাব হোসেন অপির জোরালো পুল শট লাম্বার মাথায় লেগেছিল। ২০১৬ সালের ৬ জুন রমন লাম্বার সেই ভয়াল স্মৃতিই যেন ফিরিয়ে এনেছিলেন ইনিনগু এ্যালান! গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লীগে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাব বনাম ওয়ারী ক্লাব (খেলায় জেতে মেরিনার, ৪-২ গোলে)। মেরিনার আক্রমণ করে ওয়ারীর গোলমুখে। মেরিনারের মইনুল ইসলাম কৌশিকের রিভার্স হিটের বল সরাসরি গিয়ে সজোরে আঘাত হানে ওয়ারীর কেনিয়ান ডিফেন্ডার ইনিনগু এ্যালানের বাঁ কপালে। সঙ্গে সঙ্গেই টার্ফে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ছুটে আসেন উভয় দলের খেলোয়াড়রা ও হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও। মাঠে অবশ্য একজন ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি এ্যালানের মাথায় বরফ দেয়া ছাড়া কিছুই করতে পারেননি। অবস্থার প্রেক্ষিতে তখনই এ্যালানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল ফেডারেশনের। কিন্তু তা না করে এ্যালানকে খেলোয়াড় ছাউনির পেছনের ফাঁকা অংশে নিয়ে শুশ্রুষা করা হয়! কেন এমনটা হবে? আহতকে তাৎক্ষণিক এ্যাম্বুলেন্সে করে কি হাসপাতালে নেয়া যেত না? এ প্রসঙ্গে হকি ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক আনভীর আদেল খান নিজেদের ব্যর্থতাই স্বীকার করে নিলেন, ‘আসলে এ্যাম্বুলেন্সের বিষয়টি কোন কালেই হকি ফেডারেশন ম্যানেজ করেনি, এখনও একই অবস্থা। ওয়ারীর আফসোস, ম্যাচে তারা আগে গোল করেও হেরেছে। অথচ তাদের দলে ছিল তিন পাকিস্তানী ও এক কেনিয়ান খেলোয়াড়। কিন্তু মেরিনারের তিন পাকিস্তানী ও এক কেনিয়ান খেলোয়াড়ের চেয়ে নৈপুণ্যে পিছিয়েছিলেন তারা। ফলে এখানেই ম্যাচের ফলের পার্থক্য গড়ে ওঠে। মেরিনারের হয়ে একটি করে গোল করেন আরশাদ হোসেন, মামুনুর রহমান চয়ন, ফজলে হোসেন রাব্বি এবং ওয়াকার শরীফ। ওয়ারীর অধিনায়ক মুসা মিয়া জোড়া গোল করেন। ৮ ম্যাচে এটা মেরিনারের ষষ্ঠ জয়। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে মেরিনারের অবস্থান টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। এক ম্যাচ কম খেলে এবং গোল বেশি করায় সমান ১৯ পয়েন্ট নিয়েও ঊষা আছে শীর্ষে। পক্ষান্তরে ৭ ম্যাচে এটা ওয়ারীর চতুর্থ হার, পয়েন্ট ৭। অপর ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় কুড়িয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাব (বিএসসি)। তারা ৫-৪ গোলে হারায় সোনালী ব্যাংক স্পোর্টিং রিক্রিয়েশন সেন্টারকে। প্রথমার্ধে বিজয়ী দল ৪-১ গোলে এগিয়েছিল। লড়াই হয়েছে মূলত বিএসসির তিন ভারতীয় এবং দুই পাকিস্তানী বনাম সোনালী ব্যাংকের পাঁচ পাকিস্তানী খেলোয়াড়ের। গোল করেন বিএসসির প্রিন্স ৩টি (হ্যাটট্রিক হয়নি), সিরাজ আলী ও শায়েম ১টি করে এবং সোনালী ব্যাংকের ইহসান উল্লাহ খান জোড়া গোল করেন। ১টি করে গোল করেন তৌসিফ আহমেদ এবং বেলাল হোসেন। ৭ ম্যাচে ৩ জয়ে বিএসসির সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। পক্ষান্তরে সমানসংখ্যক ম্যাচে পঞ্চম হারে সোনালী ব্যাংকের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট।
×