স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে অবসায়ন হওয়া এইমস ফার্স্ট গ্যারান্টেড মিউচুয়াল ফান্ড এবং গ্রামীণ মিউচুয়াল ফান্ড : স্কিম ওয়ান অবসায়নের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ। ফলে অবসায়ন হওয়া ফান্ড দুইটির ইউনিটধারীদের টাকা ফেরত পেতে আর কোন সমস্যা থাকবে না।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় দেন। বেঞ্চের অন্যান্য সদস্য হচ্ছেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার।
এর আগে আপীল বিভাগ কর্তৃক হাইকোর্টের রায় স্থগিতের পরিপ্রেক্ষিতে ফান্ড দুইটিকে অবসায়নের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নির্দেশনা অনুযায়ী, ২ মার্চের পর স্টক এক্সচেঞ্জে ফান্ড দুটির লেনদেনও বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে ফান্ড দুইটির ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান উপস্থাপিত নিরীক্ষিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এর অবসায়নের অনুমতি দেয় কমিশন। একই সঙ্গে ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠানকে ইউনিট হোল্ডারদের প্রাপ্য অর্থ প্রদানে ৭ কার্যদিবস সময় বেঁধে দিয়ে ৪ মে নতুন নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। তবে রিটের চূড়ান্ত শুনানির আগেই অবসায়ন প্রক্রিয়া শেষ করার উদ্যোগ নেয়ায় আদালতের নির্দেশে অর্থ বিতরণ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি মিউচুয়াল ফান্ডের রূপান্তর-অবসায়ন ইস্যুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রজ্ঞাপনকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ। ওইদিন মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর রূপান্তর-অবসায়নে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এইমস-গ্রামীণের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) পরিচালিত কয়েকটি ফান্ডেরও রূপান্তর-অবসায়নে নতুন নির্দেশনা দেয় বিএসইসি।
সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা ২০০১-এর ৫০ (খ) ধারায় বলা আছে, কোন মেয়াদী স্কিমের মেয়াদ এবং পরিমাণ স্কিম ঘোষণার সময়ই নির্ধারণ করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, স্কিমের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে এক বছর আগে ইউনিট মালিকদের বিশেষ সভায় উপস্থিত তিন-চতুর্থাংশ ইউনিটধারীর সম্মতিতে ফান্ডের মেয়াদ অনুরূপ একটি মেয়াদের জন্য বর্ধিত করা যাবে।
তবে ২০১০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ ও অবলুপ্তি-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে কমিশন। এতে মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করার পাশাপাশি যেসব মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ এরই মধ্যে ১০ বছর অতিক্রম করেছিল, সেসব ফান্ডকে ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবলুপ্তির নির্দেশ দেয়া হয়। অবশ্য নানা কারণে এর বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়।