ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

২৩ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর লড়াইয়ে ইনজুরির থাবায় আর্জেন্টিনা

কোপা জিততে আত্মবিশ্বাসী লিওনেল মেসি

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২৬ মে ২০১৬

কোপা জিততে আত্মবিশ্বাসী লিওনেল মেসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সেই ১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকা জয়ের পর আর কোন আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ও ২০১৫ সালে কোপা আমেরিকায় তীরে এসে তরী ডোবে দিয়াগো ম্যারাডোনার দেশের। দু’বারই ফাইনালে হারের বেদনায় পুড়তে হয় দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। টানা দু’টি বড় আসরের ফাইনালে হারই শুধু নয়, আর্জেন্টিনা গত প্রায় দুই যুগ ধরে কোন ট্রফি জিততে পারেনি। এসব হতাশা ভোলার আরও একটি উপলক্ষ পাচ্ছে লিওনেল মেসির দল। আসন্ন বিশেষ শতবর্ষী কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে কিছুটা হলেও দুঃখ লাঘব হবে। আর এটি সম্ভব বলে মনে করছেন দলটির অধিনায়ক মেসি। এক সাক্ষাতকারে এমন আশাবাদের কথা শুনিয়েছেন বার্সিলোনা ডায়মন্ড। গত বছর চিলিতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ফাইনালে স্বাগতিকদের কাছে পেনাল্টিতে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা। ফলে ২০১৪ সালে ব্রাজিলের মাটিতে জার্মানির কাছে বিশ্বকাপ ফাইনাল হারের পর ১২ মাসের মধ্যে আরও একটি ট্রফি হাতছাড়া করতে হয় দলটিকে। দক্ষিণ আমেরিকার শক্তিশালী দলটি কোপা আমেরিকার শেষ চারবারের মধ্যে তিনবারই ফাইনাল খেলেছে। তবে প্রতিবারই তাদের রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে আসরটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আলবেসেলিস্তারা। বারবার বেদনায় ভারাক্রান্ত হলেও এবার সম্ভব বলে বিশ্বাস করছেন মেসি। এবারের আসর জিতে তারা গত ২৩ বছরের শিরোপার অপেক্ষা ঘোচাবেন। মেসি বলেন, কোপা জয়ের জন্য আমরা নিজেদের সেরাটাই খেলবো। কারণ এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আসর। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক আরও বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আর্জেন্টিনা কোন শিরোপা জয় করতে পারেনি। আর এই দলটিই গত বিশ্বকাপের ফাইনাল ও কোপা আসরের ফাইনাল খেলেছিল। আমি মনে করি এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল আমরা। মেসি বলেন, এটা কোপা আমেরিকার বিশেষ আসর। আর যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশেষ একটি দেশে এবারের আসর বসছে। যেখানে অসাধারণ কিছু স্টেডিয়াম আছে। আর সেখানে ফুটবলের প্রচুর দর্শকও আছে। নিজেদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এটা দারুণ একটি সুযোগ। গত কোপা আমেরিকার শেষ থেকেই এবার শুরু করছে আর্জেন্টিনা। ৭ জুন নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলির বিরুদ্ধে। গ্রুপ ‘ডি’তে তাদের প্রতিপক্ষ আছে পানামা ও বলিভিয়াও। আসর মাঠে গড়াবে ৩ জুন থেকে। তবে এই মিশনে আর্জেন্টিনাকে লড়তে হচ্ছে ঘাতক ইনজুরির সঙ্গেও। দলটির বেশ কয়েকজন ফুটবলার ইনজুরিতে ভুগছেন। এর মধ্যে অন্যতম ফরোয়ার্ড ইজিকুয়েল লাভেজ্জি ও এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জ্যাভিয়ের পাস্টোরে। বর্তমানে চীনের হেবেই ফরচুনেতে খেলা লাভেজ্জির চোট হ্যামস্ট্রিংয়ে, আর প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের মিডফিল্ডার পাস্টোরে চোট পেয়েছেন পায়ের মাংসপেশীতে। দু’জনেরই কোপায় খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে শনিবার বুয়েন্স আয়ার্সে হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জেরার্ডো মার্টিনোর দল। এই ম্যাচ তো নয়ই, টুর্নামেন্টেও পাস্টোরে-লাভেজ্জি থাকতে পারবেন কি না সংশয় আছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আর্জেন্টিনা দলের চিকিৎসকদের ধারণা, লাভেজ্জি হয়তো টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে কোন এক সময় খেলতে পারবেন। তবে পাস্টোরের পুরো টুর্নামেন্টই বাইরে বসে থাকতে হবে। মঙ্গলবার দু’জনই পুরো দলের বাইরে আলাদাভাবে অনুশীলন করেছেন। অবশ্য এখনও গোটা আর্জেন্টিনা দল একসঙ্গে হতে পারেনি। দিনকয়েক আগে কোপা ডেল রে’র ফাইনালে খেলা দুই বার্সিলোনা সতীর্থ লিওনেল মেসি ও জ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো এবং সেভিয়া মিডফিল্ডার এভার বানেগার বুধবার দলের অনুশীলনে যোগ দেয়ার কথা। ২৮ মে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনাল খেলে যোগ দেবেন অগুস্তো ফার্নান্দেজ ও মাটিয়াস ক্রানেভিতার।
×