ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লীগে প্রথম শতক হাঁকিয়ে মহাখুশি সাব্বির

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৫ মে ২০১৬

লীগে প্রথম শতক হাঁকিয়ে মহাখুশি সাব্বির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাড়ে সাত বছর আগে ২০০৮ সালের অক্টোবরে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট দিয়ে ঘরোয়া লীগ খেলা শুরু করেন সাব্বির রহমান রুম্মন। সেই থেকে ৩৫টি প্রথম শ্রেণী, ২০০৯ সালে লিস্ট এ খেলা শুরু করে ৮১টি লিস্ট এ ম্যাচ, ২০১৪ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়ে ২৩টি ওয়ানডে ও একই বছর টি২০তে অভিষেক হয়ে ২৬টি টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন সাব্বির। কিন্তু বুধবারের আগে শতক করেছিলেন মাত্র চারটি। প্রথম শ্রেণীতে তিনটি ও লিস্ট এ ম্যাচে ১টি। অবশেষে আরেকটি শতক হলো। বুধবার শেখ জামালের বিপক্ষে ঢাকা লীগে লিস্ট এ ম্যাচে ১০০ রানের ইনিংস খেললেন। তাতে করে ক্যারিয়ার জুড়ে ৫টি শতক হলো। এরমধ্যে ঢাকা লীগে প্রথমবারের মতো শতক করলেন। সেই শতক পেয়ে মহাখুশি সাব্বির। তার শতকে প্রাইম ব্যাংক ম্যাচও জিতল ১১৩ রানের বড় ব্যবধানে। ম্যাচ জয়ের পর সাব্বির সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন। সেখানে অনুভূতির কথা জানালেন। প্রশ্ন ॥ ঠিক কতদিন পর সেঞ্চুরি? সাব্বির রহমান রুম্মন ॥ আসলে আমি জানি না কতদিন পর। তবে একটা প্র্যাকটিস ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছি রাজশাহীতে ২০ দিন আগে। প্রশ্ন ॥ মনে পড়ছে না শেষ কবে সেঞ্চুরি করেছেন? সাব্বির ॥ শেষ আমি করেছি জাতীয় লীগে যে ওয়ানডে ম্যাচগুলো হতো, খুলনার সাথে ১১২ করেছিলাম। হ্যাঁ সেটা অনেকদিন আগে। প্রশ্ন ॥ লীগে প্রথম সেঞ্চুরি। কেমন লাগছে? সাব্বির ॥ সেঞ্চুরি, হ্যাঁ অবশ্যই ভাল লাগছে। প্রিমিয়ার লীগ, প্র্যাকটিস ম্যাচ যেখানেই হোক না কেন ভাল লাগছে। তবে দল জিতেছে এজন্য আরও বেশি ভাল লাগছে। প্রশ্ন ॥ সেঞ্চুরি নিয়ে পরিকল্পনা... সাব্বির ॥ যেহেতু ৩০-৪০ হয়ে গেছে, ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে আমি সেট। সিনিয়র, আইকন বা জাতীয় দলের খেলোয়াড় যাই বলেন উইকেটে টিকে থাকতে হবে আমাকে। আমি জুনিয়রদের নিয়ে এগিয়ে গিয়েছি। এগিয়ে যাওয়াটাই আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল, সেঞ্চুরি না। লক্ষ্য ছিল দলকে ভাল একটা রানে নিয়ে যাওয়ার। প্রশ্ন ॥ পরিকল্পনা ছিল সেঞ্চুরি নিয়ে? সাব্বির ॥ আসলে পরিকল্পনা না। বল টু বল খেলার চেষ্টা করেছি। হয়তো ভাগ্য সহায়তা করেছে। ভাল খেলেছি, সেঞ্চুরি হয়ে গেছে। প্রশ্ন ॥ জাতীয় দলের সবাই রান পাচ্ছে। তারপরও বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের চেয়ে আরও বেশি ব্যবধান করা যায়? আগের ম্যাচে এনামুল বিজয় সেঞ্চুরি করে আউট। আরও বড় করা যায় কি না? সাব্বির ॥ হ্যাঁ, অবশ্যই। সেঞ্চুরির পর বড় করাটা টার্গেট থাকে। কিন্তু এমন সময় আমি আউট হয়েছি ৪ ওভার বাকি ছিল। ছয় উইকেট বাকি ছিল। ওই সময় মারতেই হতো আমাকে। আর মারতে গেলে আউট হওয়াটা সহজ। তবে আমি চেষ্টা করি শেষ বল পর্যন্ত খেলার। পরবর্তীতে এটাকে আরও বড় করার চেষ্টা করবো। প্রশ্ন ॥ জাতীয় দলের সবাইকে আরও ভাল করা উচিত? সাব্বির ॥ জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা রান করছে এটা অনেক ভাল একটা দিক যে সামনে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ আছে। আর যারা আন্তর্জাতিক খেলেনি তাদের এটা দেখে শেখা উচিত। তো আমার মনে হয় জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা রান করছে সাথে কিছু তরুণ ক্রিকেটার মডিফাই হচ্ছে, তো সবদিক দিয়ে ভাল হচ্ছে। প্রশ্ন ॥ আপনার জন্য এই সেঞ্চুরিটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? সাব্বির ॥ আসলে রান সব জায়গাতেই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ওয়ানডে, টেস্ট বা টি২০ হোক না কেন। তো আমি সবসময় নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। প্রথম দুটি ম্যাচে করতে পারিনি। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে নিজের শক্তি নিয়ে খেলেছি। হচ্ছে ইশাল্লাহ। পরবর্তী ম্যাচগুলো এভাবে খেলবো। প্রশ্ন ॥ কোন পজিশনটা নিজের জন্য উপযুক্ত মনে হয়? সাব্বির ॥ আন্তর্জাতিক ম্যাচে যদি আমি খেলি তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে পারবো না। প্রিমিয়ার লীগে সুযোগ পেয়েছি, কাজে লাগাচ্ছি। ভবিষ্যতেও কাজে লাগাবো। প্রিমিয়ার লীগে আমি তিন নম্বরে প্রথম, আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এ পজিশনে ব্যাটিং করিনি। তো যেখানে সুযোগ পাব সেখানেই ভাল করার চেষ্টা করব। প্রশ্ন ॥ লীগ শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? সাব্বির ॥ এখনও ওভাবে পরিকল্পনা করিনি। আশা করছি যেভাবে হচ্ছে এভাবে করতে পারলে বড় রান করতে পারব। প্রশ্ন ॥ প্রিমিয়ারে তো হলো, আন্তর্জাতিকে কিছু একটা করার আত্মবিশ্বাস পেলেন? সাব্বির ॥ রান সবসময় আত্মবিশ্বাস বাড়ায় যে কোন খেলোয়াড়ের জন্যই। এটা যদি আমি নিয়িমিত করতে পারি তাহলে আন্তর্জাতিকেও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস পাব। প্রশ্ন ॥ প্রিমিয়ার লীগে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা কবে হবে? সাব্বির ॥ সাড়ে তিন বছর অপেক্ষা করেছি। এখন দেখা যাক, কয় বছর অপেক্ষা করতে হয়। আশাকরি এই বছরই আরেকটা হবে।
×