ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি

নাশকতা চালাতে নীলফামারীকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে জেএমবি

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৩ মে ২০১৬

নাশকতা চালাতে নীলফামারীকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে জেএমবি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বড় ধরনের নাশকতা পরিচালনার জন্য নীলফামারীতে সংঘটিত হতে শুরু করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জেএমবি। এমনকি দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাকা-ের ছক করা হতো নীলফামারীতে বসেই। আবার হত্যাকা- ঘটিয়ে অনেক সদস্য নীলফামারীতে এসে আশ্রয় নেয়। এমন গোপন খবরে নীলফামারী গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ছয়টি হাতবোমা, একটি চাপাতি ও চারটি চাকু উদ্ধার করা হয়। সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতার হওয়া তিন জেএমবি সদস্যরা হলো নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের কিত্তিনিয়াপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুর রহমান (২৫), পলাশবাড়ী ইউনিয়নের আরাজি ইটাখোলা গ্রামের সাহেব আলীর দুই ছেলে মাসুদার রহমান ওরফে ইব্রাহীম ওরফে মাসুদ (৪২) ও মোশাররফ হোসেন (৩৮)। সোমবার বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নীলফামারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান। পুলিশ সুপারের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শহরের গাছবাড়ীতে পুলিশ হত্যাসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল জেএমবি সদস্যরা। তারা গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ওই পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও পুলিশের তৎপরতায় তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যাকা-ের জড়িত সদস্যরা তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত এবং জেএমবি সদস্য আব্দুর রহমানের বাড়িতে দুটি পিস্তল, ছয়টি হাতবোমা, একটি চাপাতি ও চারটি চাকু মজুর রেখে এসব হত্যাকা- ও নাশকতার পরিকল্পনার নিয়মিত বৈঠক হতো। ওই বৈঠকে বিভিন্ন জেলা থেকে আসত একাধিক জেএমবি সদস্য। তাদের উদ্দেশ্য অন্য ধর্মাবলম্বী, পুলিশ, বিচারক, খাদেম, পীর ও নাস্তিকদের জিহাদের মাধ্যমে হত্যা করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং দেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা। পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, গত ৩০ এপ্রিল শনিবার রাতে তাদের আটকের পর ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিন জেমবি সদস্য এসব পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নীলফামারী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
×