ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লোভী বা অবিশ্বাসীদের প্যানেলে নেয়া হবে না- অভিমত বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায়ের

আবারও সভাপতি নির্বাচিত হবেন সালাউদ্দিন

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ১২ এপ্রিল ২০১৬

আবারও সভাপতি নির্বাচিত হবেন সালাউদ্দিন

রুমেল খান ॥ ‘ফুটবলের জন্য কাজ করতে চাই। সবসময় কাজ করে পরিপূর্ণ তৃপ্তি পাইনি। এবার চাই আরও ব্যাপকভাবে কাজ করে ফুটবলকে কিছু দিতে। এজন্য পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে চাই। আশা করি আমাদের সালাউদ্দিন সাহেবই (কাজী মোঃ সালাউদ্দিন) আবারও সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হবেন। আমরা বাকিরা যারা নির্বাচিত হয়ে আসব তারা সবাই যেন পরিকল্পনা মতো কাজ করে ফুটবলের উন্নয়ন করতে পারি- সেটাই থাকবে লক্ষ্য। এ জন্যই এবার নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।’ কথাগুলো বাদল রায়ের, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান সহ-সভাপতি। সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিল খসড়া তালিকায় আপত্তি গ্রহণের শেষ সময়। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, শেষ মুহূর্তে রাজবাড়ী ডিএফএ এবং বাংলাদেশ বয়েসের মোট দুই ডেলিগেটের নাম নিয়ে আপত্তি এসেছে। মঙ্গলবার হবে আপত্তির ওপর শুনানি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে বুধবার। ৩০ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা ক্যান্টমন্টের এয়ারপোর্ট রোডের হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে। নির্বাচন প্রসঙ্গে বাদল আরও বলেন, ‘নির্বাচনে প্যানেল হতে পারে, আবার কেউ এককভাবেও অংশ নিতে পারে। সালাউদ্দিন ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা এবার চেষ্টা করব একত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা শক্তিশালী প্যানেল দাঁড় করাতে। স্বীকার করছি গত আট বছরে আমরা কিছু গ্যাপের কারণে সেভাবে কাজ করতে পারিনি। এবার যেন তেমনটা না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য থাকবে। ভাল কাজ আমরা করেছি অবশ্যই, কিন্তু সেটা ম্লান হয়ে গেছে কিছু কিছু কারণে। এবার আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। অনেক প্ল্যান করতে হবেÑ এ বিষয়গুলো আমাদের কাছে পরিষ্কার।’ নির্বাচনী সিডিউল অনুযায়ী ভোটারদের খসড়া তালিকা সোমবার দেয়া হয়। তালিকায় যাদের নাম আছে, তারা সবাই ডেলিগেট, কাউন্সিলর নন। তারা সবাই ক্লাব, জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, ডিভিশন, বিভিন্ন সংস্থা ... বাফুফে যখন কোন এজিএম ও নির্বাচন করে, তখন তারা বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে চিঠি দিয়ে জানতে চায় নির্বাচনে তাদের হয়ে কে অংশগ্রহণ করবে। তারা তখন নিজেরা মিটিং করে ঠিক করে কাকে এজিএম ও নির্বাচনে পাঠাবে। সংস্থাগুলোর নিজেদেরও একটি কমিটি থাকে। তারাই সিলেকশন করে নাম ঠিক করে বাফুফের কাছে পাঠায়। এখানে বাফুফের কোন হস্তক্ষেপ নেই। এই কমিটির বেশিরভাগেরই মেয়াদ ছিল একেবারে শেষের দিকে। বাফুফের মতো ওদের কমিটিতেও পরিবর্তন আসে। তখন বাফুফে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এবং তাদের কাছে এজিএম বা নির্বাচনে অংশ নিয়ে মতামত বা ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য চিঠি প্রেরণ করে। তারা তখন তাদের পক্ষ থেকে একজনের নাম বাফুফেকে প্রেরণ করলে বাফুফে সেই নামগুলোকে একসঙ্গে জাড়ো করে নোটিস বোর্ডে খসড়া তালিকা হিসেবে টানিয়ে দেয়। বাদল রায় বলেন, ‘আমরা বর্তমানে যারা বাফুফের কমিটিতে সিটিং অবস্থায় আছি, তাদের এই অবস্থাতেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে (যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করে সেটা নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। তারপর নির্বাচন কমিশন তার সিডিউল ঘোষণা করবে। বিতরণ করবে এ্যাপ্লিকেশন ফরম। আমরা আশা করছি সব প্রক্রিয়া খুব আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।’ গত আট বছরে বাফুফে পেশাদার লীগসহ অন্য লীগগুলোও নিয়মিত আয়োজন করেছে। সীমাবদ্ধতার কারণে ডেভেলপমেন্টর ক্ষেত্রে সেভাবে উন্নয়ন হয়নি। তবে একটি একাডেমি গঠন করা হয়েছে। একাডেমির মাধ্যমে বয়সভিত্তিক দলগুলোর কার্যক্রম নিয়ে চলছে অনেক সমস্যা এমনটাই জানান বাদল। তিনি আরও যোগ করেন, ‘জেলা পর্যায়ে সেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারিনি আমরা। আমরা এ বছর ফিফার সঙ্গে কথা বলে জেলা পর্যায়ে যেসব অভাব আছে, সেগুলো দূর করার জন্য দিক-নির্দেশনা পেয়েছি। তারা বলেছে তাদের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক হুবহু পদক্ষেপ না নিলেও চলবে। দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বাফুফে যেকোন পদক্ষেপই নিতে পারবে। আশা করি সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারব, যদি আবারও নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারি।’ সবশেষে বাদল বলেন, ‘যারা ফুটবলের জন্য সত্যিকারভাবে কাজ করতে আগ্রহী, তারা ইচ্ছে করলে আমাদের কাছে আসতে পারেন নির্বাচনে অংশ নেয়ার অভিপ্রায় নিয়ে। আমরা যাচাই করে যদি মনে করি তাকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে অবশ্যই তাদের নেব। তবে লোভী বা অবিশ্বাসী কাউকে প্যানেলে নেয়া হবে না।’
×