ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পুুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১২ এপ্রিল ২০১৬

পুুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের উভয় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সোমবার মূল্যসূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর হারানোর কারণে উভয় বাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে কিছুটা উর্ধগতির পরে পরপর টানা দুই কার্যদিবসে শেয়ার বিক্রির চাপ কিছুটা বাড়ার কারণে সূচকের পতন ঘটেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সামিট পোর্ট এলায়েন্সের রাইট শেয়ারের চাঁদা গ্রহণ শুরু হয়েছে। এছাড়া সোমবার থেকে একমি ল্যাবরেটরিজের আইপিও এবং ১৭ এপ্রিল থেকে জিপিএইচ ইস্পাতের রাইট শেয়ারের চাঁদা গ্রহণ শুরু হবে। মূলত বাজারে নতুন তারল্য প্রবাহ কমে যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগকারীরা হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করেই এইসব চাঁদার টাকা যোগাড় করছেন। যার কারণে সার্বিকভাবে বিক্রির চাপ বেড়েছে। এছাড়া বাজারে নতুন ফান্ডের অভাবকেই দায়ী করছেন অনেকে। তাদের মতে, চাহিদা কম থাকলেও বাজারে নতুন শেয়ার ছাড়া এবং রাইটের মাধ্যমে চাঁদা গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। কিন্তু সেই হারে নতুন টাকা ঢুকছে না, এই কারণে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার কিছুটা ঘাটতি দেখা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২০৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার। যা আগের দিনের তুলনায় ৪৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা কম। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৪৬৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সকালে সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে সারাদিনেই ডিএসইতে পতনে লেনদেন চলেছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমতে থাকায় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচার আদেশও কমতে থাকে। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে চার হাজার ১৮৫ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক পাঁচ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৬৪ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক সাত পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৭৩ পয়েন্টে। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, কেয়া কসমেটিকস, ডরিন পাওয়ার, আমান ফিড, বিএসআরএম লিমিটেড, পাওয়ার গ্রীড, ইবনে সিনা, এক্সিম ব্যাংক, এসিআই ও তিতাস গ্যাস। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আরামিট, ইস্টার্ন কেবলস, বিডি ল্যাম্পস, ডরিন পাওয়ার, এক্সিম ব্যাংক, ইবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ন্যাশনাল পলিমার, শাশা ডেনিমস, ন্যাশনাল টিউবস ও আলহাজ্ব টেক্সটাইল। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আল আরাফাহ ব্যাংক, কেয়া কসমেটিকস, দুলা মিয়া কটন, ন্যাশনাল হাউজিং এ্যান্ড ফাইনান্স লিমিটেড, নিটল ইন্স্যুরেন্স, আরডি ফুডস, আইএসএন, জাহিন টেক্সটাইল, বিডি ওয়েল্ডিং ও সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসই সার্বিক সূচক ৯৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৪৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ১৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।
×